নবীনগর প্রপতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকদের সংগঠন নবীনগর প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে -দুপুর ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।নবীনগর প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, সভাপতি পদে মাই টিভি ও মানব জমিনের প্রতিনিধি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাইদুল আলম সোরাফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দৈনিত রুপসি বাংলা মোঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ,সহ-সভাপতি পদে এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জহিরুল হক (জ.ই বুলবুল), সহ-সম্পাদক পদে দৈনিক ভোরের দর্পণের দেলোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু মোঃ মনিরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর ও আপ্যায় সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মিঠু সূত্রধর পলাশ, সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও পাঠাগার সম্পাদক পদে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের সাধন সাহা জয়, এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে টিভি ওয়ানের সম্পাদক এস এ রুবেল।কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাটিভির প্রতিনিধি পিয়াল হাসান রিয়াজ, ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি মোঃ মনির হোসেন। উল্লেখ, নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। ফলে নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর অংশগ্রহণে ৬টি পদে নির্বাচন হয়ে ৬ জন জয়ী হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামে আগুন লেগে এক কৃষকের দুই গরুসহ গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ওই কৃ কের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘরের আব্দুর রশিদ ডিলার বাড়ির কৃষক আব্দুর রহমানের গোয়ালঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হুমায়ূন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বরাতে আব্দুর রহমানের চাচাতো ভাই মো. খোরশেদ আলম জানান, আজ সকালে গোবর পরিষ্কার করার জন্য রান্নাঘর থেকে বাঁশের পাত্র দিয়ে ছাই এনে গোয়ালঘরে রাখা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেই ছাই থেকে গোয়ালঘরে রাখা পাটে আগুন ধরে যায়। পরে মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়ালঘরে পাট ছাড়াও অনেক পাটখড়ি, লাকড়ি, চাল, চালের পাত্রে নগদ টাকা রাখা ছিল। স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে দুটি গরুসহ পুরো গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষক পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির ফরহাদ শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বিষয়টি জানলাম। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চলারপথে ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেছেন, কার সঙ্গে সংলাপ? যাদের এতটুকু ভদ্রতা নেই, তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ?
আজ ১৩ মার্চ সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে গত ৪ থেকে ৮ মার্চ এই সফর করেন তিনি।
গতবারের মতো এবারও কোনো সংলাপ হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে সংলাপ হয়েছে। ২০ জন, ৩০ জন নিয়ে এসে সংলাপে বসেছে। চা-বার্গার খেয়ে গেছে। এতে কী লাভ হয়েছে। আগেই ভোট থেকে নিজেরা সরে গেছে তারা।
শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ ধৈর্য্য দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে তারা। এরপরও সেই খুনিদের সঙ্গে বসেছি দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমাকে সবাই না করেছে ফোন করতে। তবুও আমি তখন তাকে (খালেদা জিয়া) ফোন করি। আমার সঙ্গে কী ব্যবহারটাই না করল? উনি অবরোধ তুললেন না। কী অপমানিত হতে হলো?
খালেদা জিয়ার বাসায় যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ছোট ছেলে মারা গেল। আমি তার বাসায় গেলাম। দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো। আপনারা দেখেছেন, আমাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয় নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা এতটুকু ভদ্রতা জানে না তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, কেউ কি পারবে বাবার খুনিদের সঙ্গে বসতে?
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম; আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই’।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ৫ বারের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খান, আকবর আলী, আবুল কালাম, আলী আজগর ভূঁইয়া, সামছু মিয়া মেম্বার, জালাল উদ্দিন, মোকলেছুর রহমান, মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।
তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র থেকে আমি শুরু করেছিলাম, আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আবার আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি যেন আপনাদের বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতবর্ষী উদযাপন কমিটির আয়োজনে এ উপলক্ষে দিনব্যাপী ২২ জুন শনিবার বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহন, এএসপি বিল্লাহ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কৃষিবিদ মোঃ সাজিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ভিপি আব্দুল রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, জসিম উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান, জাকারুল হক চেয়ারম্যান, মেহেদী জাফর দস্তগীর, চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন সরকার, প্রফেসর আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
শত বছর উৎসব অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনায় করেন সালাউদ্দিন বাবু আব্দুল মাজেদ।
এ সময় বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
প্রধান অতিথি ফয়জুর রহমান বাদল এম.পি বলেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার আলো বিস্তারে শতবছরের পুরনো এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পরে এক মনোগ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই।