অনলাইন ডেস্ক :
পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ইয়ামাল অরলান’। রাশিয়ার এ জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বিকালে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজ শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার এমভি ইয়ামাল অরলান জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট অসীম কুমার সাহা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬৮ প্যাকেজে থাকা ২ হাজার ১২১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে গত ৩১ আগস্ট রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইয়ামাল অরলাম জাহাজটি। জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। বিকালে জাহাজ থেকে এসব মেশিনারি পণ্য জেটিতে খালাসের কাজও শুরু হয়েছে। খালাস করা এসব মেশিনারি পণ্যের অধিকাংশই সড়ক পথে আর ভারী কিছু মালামাল নদী পথে দ্রুত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি স্যাপোডিলা একটি জাহাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্প মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস এবং একশ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমূখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাওয়ের কিনেছি।বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছে। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে একপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব মিয়া (৩৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংসার গ্রামে সামিউন বাসির ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল শুক্রবার। বিকেলের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম পাড়া দলকে উত্তর পাড়া দল পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পশ্চিম পাড়া দল উল্লাস শুরু করলে উত্তর পাড়া দলের কয়েকজন বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় কয়েকজনের নেতৃত্বে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে ৫/৬ জন আহত হন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াকুব মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা. শরিফুল হক বলেন, ইয়াকবের পিঠে ছুরিকাঘাত লাগে। তার শরীর থেকে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করছি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন বলেন, হত্যার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।
আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির (বিজিএফসিএল) আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে ৷
একসময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এই কূপ থেকে আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার পর দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. শোয়েব।
তিনি জানান, পরিত্যক্ত হওয়ার পর কূপটির ওয়ার্কওভার (সংস্কার) করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স ৷ ৪৫ দিনে ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কূপটি খনন করেছিল চীনের কোম্পানি সিনো প্যাক।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘তিতাস-২৪নং কূপ থেকে আজ (শুক্রবার) হতে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘বাপেক্সসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবিরাম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার সকালে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রিগ্যান পাঠান (৩২) কান্দিপাড়া এলাকার ইয়াছিন পাঠানের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, শুক্রবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রিগ্যানের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, ছিনতাই, মাদক, চুরি, অস্ত্র, বিস্ফোরক আইনে ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসী। দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।