পুড়িয়ে দেয়া হল কারেন্ট ও চায়না জাল

জাতীয়, 3 October 2023, 549 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে দুইটি বিলে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নে বাহাদুরপুর এলাকায় ও শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বলিয়াদী বাজার সংলগ্ন বিলে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে ১৮০০ মিটার অবৈধ চায়না ও ২৫০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈরে ঢালজোড়া ইউনিয়নে বাহাদুরপুর বিলে ও শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বলিয়াদী বাজার সংলগ্ন বিলে বিভিন্ন সময় অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরে আসছে মৎস্য শিকারিরা। মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকার বিলে অবৈধ চায়না জাল ও অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য শিকারী মাছ ধরছিল। মৎস্য সংরক্ষণ বাস্তবায়নে দুপুরে ওই এলাকার বিলে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। অভিযান চালিয়ে ১৮০০ মিটার অবৈধ চায়না দোয়ানী জাল ও ২৫০০মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১লাক ৪০হাজার টাকা। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এসময় স্থানীয় লোকজনকে মৎস্য সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা মুলক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেয় মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী কর্মকর্তা মুসলেউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জুয়েল রানাসহ আরো অনেকে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৎস্য সংরক্ষণ বাস্তবায়নে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

অক্টোবরে ১০০ বৈদ্যুতিক বাস চলবে রাজধানীতে

জাতীয়, 9 May 2023, 1101 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে অক্টোবরে গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ১০০ এসি বৈদ্যুতিক বাস বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। এ বছরের মধ্যেই ১০০টি বৈদ্যুতিক বাস নামবে, যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালনা করবে।

তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ঢাকা শহরকে পরিবেশবান্ধব নগরে পরিণত করতে পারব। আমরা বায়ুদূষণের যে তকমা ছিল তা থেকে বের হতে পারব।

দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ১৭ জুন

জাতীয়, 7 June 2024, 250 Views,

অনলাইন ডেস্ক
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

আজ ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হবে।

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৬ জুন। আর ১৫ জুন পবিত্র আরাফাত দিবস।

খাদ্য দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

জাতীয়, 10 May 2023, 1135 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের তদারকিতে অসংগতি ধরা পড়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্কতামূলক জরিমানা করা হয়েছে। আজ ১০ মে বুধবার সকাল সাড় ১০টা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ,সার্কিট হাউজ ও হাটকালুগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ এ তদারকি পরিচালিত হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, ফ্লাওয়ার মিল, মুদিখানা ও চাউলের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার সময় সার্কিট হাউজ এলাকায় মেসার্স নিউ তানিয়া ফ্লাওয়ার মিলে আটা, ময়দা ও ভূষিতে ওজন, মেয়াদ, মুল্য ইত্যাদি না লেখা ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক শহিদুল্লাহকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা ও হাটকালুগঞ্জ এলাকায় মেসার্স মর্ডান স্টোরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানে রেখে বিক্রয় করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলিমুজ্জামানকে ৩৮ ও ৫১ ধারায় ১০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান,জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ কাজ সার্বিক সহযোগীতায় ছিল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একদল পুলিশ।

আজ পবিত্র শবে কদর

জাতীয়, 18 April 2023, 1135 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। আজ লাইলাতুল কদর। এটি একটি সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে।’ ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ ‘এ রাতে ফেরেশতারা ও জিবরাইল তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন। শান্তিময় এ রাত ফজরের সূচনা পর্যন্ত’। (সুরা কদর)।

এ রাত কোরআন নাজিলের রাত। মহত্ব ও গুরুত্বসহকারে মহান আল্লাহর ইবাদতের রাত। এ রাত হলো হাজার মাস তথা তিরাশি বছর চার মাসের চেয়ে উত্তম। ওই ব্যক্তির চেয়েও ভাগ্যবান আর কে হতে পারে, যে এ রাতে নির্ঘুম থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার সুযোগ পেয়েছে। এ পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে আসে মানবজাতির জন্য বরকত, রহমত ও কল্যাণ নিয়ে।

সূর্যাস্তের পরপরই এ রাতে মহান আল্লাহ তার আরশ থেকে প্রথম আকাশে নেমে আসেন। মায়া আর দয়া নিয়ে, প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে মানবজাতিকে ডাকেন আর বলেন, ‘কে আছ পাপী! তুমি ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছ দুঃখী! আমি তোমার দুঃখ মোচন করব। কে আছ রোগী! আমি তোমাকে সুস্থ করে দেব। কে আছ দায়গ্রস্ত! আমি তোমাকে দায়মুক্ত করে দেব। তোমাদের কার রিজিকের প্রয়োজন! আমার কাছে চাও, আমি তার রিজিক বৃদ্ধি করব।’ মহান আল্লাহ এভাবে ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন। যারা তার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রার্থনায় লিপ্ত হয়, তারা কল্যাণকামী হয়। সৌভাগ্যবান হয়।

শবে কদরের রাতে কুরআন নাজিল সম্পর্কে আল্লাহতাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫)। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরও বলেন, ‘উজ্জ্বল কিতাবের শপথ! নিশ্চয় আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী, যাতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয় আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। এ হলো আপনার প্রভুর দয়া, নিশ্চয় তিনি সব শোনেন ও সব জানেন। তিনি নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল ও এ উভয়ের মাঝে যা আছে সে সবের রব। যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাস করো; তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনিই তোমাদের পরওয়ারদিগার আর তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও। তবু তারা সংশয়ে রঙ্গ করে। তবে অপেক্ষা করো সে দিনের, যেদিন আকাশ সুস্পষ্টভাবে ধূম্রাচ্ছন্ন হবে। (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-১০)।

শবে কদর ও কোরআন অবতরণ এবং এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহ কোরআনে ‘সুরা কদর’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। তাতে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে ঊষার উদয় পর্যন্ত। (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।

শবে কদরের রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ রাত গুনাহ মাফের রাত। হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)। এ রাতের কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।

কিয়ামুল লাইল: ‘কিয়ামুল লাইল’ অর্থ হলো রাত্রি জাগরণ। মহান আল্লাহর জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে- ‘তারা রাত্রি যাপন করে রবের উদ্দেশে সিজদাবনত হয়েও দাঁড়িয়ে থেকে’ (সুরা ফুরকান : ৬৪)।

‘তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করে না; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা গজবের ভয়ে এবং রহমতের আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমালের পুরস্কারস্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কী জিনিস গোপনে রাখা হয়েছে’ (সুরা সিজদা : ১৬-১৭)। নবীজি (সা.) একদিন সাহাবায়ে কেরামদের (রা.) সামনে বনি ইসরাইলের এক উপাসকের কথা বলছিলেন। সে ব্যক্তি এক হাজার মাস ধরে আল্লাহর ধ্যান ও সাধনায় লিপ্ত ছিল। এ কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আফসোস করতে লাগলেন আর বললেন, আমরা এত বছর ইবাদত করব কীভাবে? তাছাড়া আমাদের অনেকে তো এত বছর বেঁচেও থাকি না। ঠিক তখনই জিবরাইল (আ.) এ রাতের সুসংবাদসহ সুরা কদর নিয়ে নবীজির (সা.) কাছে হাজির হলেন এবং এ উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে প্রমাণ করে দিলেন। (তাফসিরে মাজহারি)।

নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি)। এ রাত হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার রাত। হজরত আয়েশা (রা.) একবার রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে কী দোয়া করব? তখন নবীজি (সা.) বললেন, তুমি এ দোয়াটি করবে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন; তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমাশীল! ক্ষমাকে তুমি ভালোবাস। অতএব, আমাকে তুমি ক্ষমা কর।

নবীজির (সা.) সময় অনেক সাহাবী (রা.) রমজানের ২৭ তারিখকে লাইলাতুল কদর হিসেবে স্বপ্ন দেখেছেন। সাহাবীরা (রা.) নবীজিকে (সা.) স্বপ্নের কথা জানালে নবীজি (সা.) বলেন, আমিও এমনটা স্বপ্নে দেখেছি। হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি-নবীজি (সা.) ২৭ রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদরের রাত বলেছেন।’ অন্য হাদিসে রয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি দুর্বল অথবা কোনো কারণে অক্ষম হয়ে থাকে, সে যেন রমজানের ২৭ তারিখ রাতে ইবাদত করে।’ (মুসলিম)। আরেক হাদিসে এসেছে-নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেতে চায়, সে যেন তা রমজানের সাতাশতম রাতে অনুসন্ধান করে। (মুসনাদে আহমদ)।

মুজিব ও স্বাধীনতা সংগ্রহশালা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 24 June 2024, 214 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি আজ ২৪ জুন সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছিলেন।

এ সময় ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন স্পিকার।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির প্রশংসা করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানান। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’।

এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারা বর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালি ইতিহাস।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।