ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকায় আইনমন্ত্রীর গুলশানের আবাসিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকের বিষয়ে মফিজুর রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যা চলছে, সে সম্পর্কে আদ্যপান্ত জানানোর পর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।জেলা আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে যে আমরা জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ দাবি করছি, তাও তাদের বলেছি। এ ছাড়া বিচারক ফারুক আহমেদও যে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি জরুরি মামলা গ্রহণ না করে, আইনজীবীদের সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ এবং ঢালাওভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। সেটাও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী জেলা জজসহ দুই বিচারক ও দুর্নীতিবাজ নাজিরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল গত ১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৪ জানুয়ারি জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আদালতের সব এজলাসের দরজা ও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাত কার্যদিবস আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
চলারপথে রিপোট
নেত্রকোনা শহরে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৪২০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে মালিককে দুই মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার সময় শহরের অজহর রোডের রূপালি ট্রান্সপোর্ট কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন-অজহর রোডের রূপালি ট্রান্সপোর্টের মালিক অনিক রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান (এন ডিসি) পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের খবরে আজ সন্ধ্যার আগে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৪২০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। আইন অনুযায়ী দুই মাসের বিনাশ্রম জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, হিসেব অনুযায়ী প্রতি কেজি পলিথিন ১০ হাজার টাকা। জব্দকৃত পলিথিন চার হাজার দুইশত কেজি।
স্টাফ রিপোর্টার :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেছেন, সাংবাদিকরা হলেন দেশের বিবেক। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। তিনি আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকতা অনেক সমৃদ্ধ। এখানকার সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ। যা অন্যান্য জেলায় নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকগণ সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ের সাথেও জড়িত। তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেন। তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন- আমি সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে সম্ভবপর সকল ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা করব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচএম সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকী মূল্যে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিবিসির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে এই বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৭০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার ১৬ হাজার ৬১৮ জন কার্ডধারীর মধ্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার মেড্ডা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষিদেরকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়।
এতে জেলা প্রশাসক শাহাগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম। এ সময় সফল মৎস্য চাষীদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সংলগ্ন কুরুলিয়া খালে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে তারু মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৫ মে রবিবার ভোরে উপজেলার বুধল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হত্যার শিকার তারু মিয়া বুধল বাজারে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন। গত ২৮ এপ্রিল বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তারু মিয়া নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারু মিয়া উচ্ছৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করতেন। তিনি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায় তারু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো এমনটাই জানা যায়। এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ের মনে দিনে দিনে ক্ষোভ জন্ম লাভ করে। সেই ক্ষোভ থেকে তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেয়ে তানজিনা আক্তার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার রাতে তানজিনা আক্তার তার বাবার খাবারের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তার, তারু মিয়ার স্ত্রী ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভাড়াটে খুনি সুমনসহ আরো কয়েজকন মিলে রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ঝোপ-ঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে ফেলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল দুপুরে ওই ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তারু মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. মহিউদ্দিন শেখ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে। গত শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।