ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকায় আইনমন্ত্রীর গুলশানের আবাসিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকের বিষয়ে মফিজুর রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যা চলছে, সে সম্পর্কে আদ্যপান্ত জানানোর পর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।জেলা আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে যে আমরা জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ দাবি করছি, তাও তাদের বলেছি। এ ছাড়া বিচারক ফারুক আহমেদও যে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি জরুরি মামলা গ্রহণ না করে, আইনজীবীদের সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ এবং ঢালাওভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। সেটাও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী জেলা জজসহ দুই বিচারক ও দুর্নীতিবাজ নাজিরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল গত ১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৪ জানুয়ারি জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আদালতের সব এজলাসের দরজা ও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাত কার্যদিবস আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হোক আমরা তা চাইনা। ৪ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যে কালচারের জন্য ৫ আগষ্টে পরিবর্তন হয়েছে, যে প্র্যাকটিসের জন্য একটা পরিবর্তন হয়েছে, এই দলবাজি বা এই সমস্ত মামলাবাজির জন্য, সেই জিনিসটাই যদি আবার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে পার্থক্যটা কোথায় তাই না। আমরাও চাই ভবিষ্যতে এসবের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। বেলা শেষে আমরা সেই ধরণের চর্চা করতে চাই না।
মতবিনিময় সভায় ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আমরা একটা গাইডলাইন দিয়েছি, আমরাও এসবের বিরুদ্ধে। আমরা চাই না, প্রেসক্লাবের সদস্য কিংবা সাংবাদিক যারা আওয়ামী লীগের পদে নেই, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হোক। এটা আমরাও চাই না। যারা দলে আছে সেটা সাংগঠনিকভাবে আইন অনুযায়ী যেটা করার দরকার সেটা হবে। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে নেই, পদে নেই কিংবা সাংবাদিক হিসেবে কারো বিরুদ্ধে মামলা হোক আমরা চাই না। আমাদের তরফ থেকে উম্মুক্তভাবে ঘোষণা, আমরা পাশে আছি। আমাদের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা দরকার সেটা করব। একটা জিনিস কি আমরা এখন সরকারি দল না। আমরা এখনো বিরোধী দল। একটা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার চলছে। এই সরকারে অনেকে মনে করতে পারে আওয়ামী লীগের প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আমরা কিংবা আমাদের দলের কারো কোনো প্রভাব নেই। আমার জানা মতে কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করেনা। আমরা সকলে মিলেই সকল অন্যায়-অবিচার প্রতিহত করব। খালেদ হোসেন শ্যামল বলেন, আমরা একটা সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই। যেখানে আমরা সবাই মিলে বসবাস করতে পারি। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হারুন ভাই (অ্যাডঃ হারুন আল রশিদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য) এবং সাচ্চু ভাই ( অ্যাডঃ লুৎফুল হাই সাচ্চু, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য) সময়ে যে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ছিল, সেই সময়টা আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। যাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হয়রানি না করে। তিনি সম্প্রতি সময়ে হওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ভবিষ্যতে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারসহ র্সবদলীয় একটি সভা আহবান করা যেতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এই ধরণের গোলটেবিল বৈঠক করতে পারেন, যেখানে মুক্ত আলোচনা হবে। সাংবাদিকতা করে আওয়ামী লীগের পদে নেই কিন্তু তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বা অনেক নিরীহ ব্যবসায়ী আছে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, প্রশাসনকেও ডাকেন। স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দলে সবাইকে ডাকা হোক, আমরাও থাকব। একটা আলোচনা করা হোক। প্রশ্নগুলো উত্থাপন হোক। প্রশ্নগুলো তোলা হলে আমার মনে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আর এমন হবে না (ঢালাও মামলা)। পুলিশ এখন অনেক সক্রিয় হয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দুদের আশ্বস্ত করতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সভা ডেকেছি। পূজার সময় আমরাও মুভমেন্ট করব। আমরা তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যেন তারা নির্ভয়ে পূজার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন। বেলা শেষে আমরা একটা সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাই। আপনারা যে কোনো সময় আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মঞ্জু অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খাঁন রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ ৮ জুলাই সোমবার সকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আইরিন মৃধার সভাপতিত্বে ও সানিউর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোটার বিরোধিতা করছি না। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। আর কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান বলেন, ‘কোটার কারেণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। যা কখনও কাম্য হতে পারে না। পিছিয়ে পড়া জনগৌষ্ঠীর জন্য সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা মনে করি, কোটা পদ্ধতির সংস্কার প্রয়োজন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাম্য চাই। আমাদের চাকরি ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা থাকুক তবে সেটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে। তাহলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোটার কারণে বঞ্চিত হবে না। আর এর মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।
বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আজ ২২ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বারে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কৈশর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জীবনের এই ইচ্ছাটুকু আপনাদের মাধ্যমে আজ সকলের কাছে প্রকাশ করেছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন দলীয় মনোনয়ন পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান খাঁন, সমাজসেবক মুন্সী শাহআলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাছের শিক্ষার্থী (ছাত্রছাত্রী) দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক শ্রেণির কোচিং নির্ভর শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই কারিকুলাম তোমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে তোমরা বিশ্বের যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারো। তাই তোমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকতে হবে। লেখাপড়া খেলাধুলার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বিশ্বের যোগ্য মানুষ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের পর আর মোবাইল আর মোবাইল ফোন থাকবে না। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তখন ৩০ সেকেন্ডে পৃথিবীর যেকোন স্থানে চলে যাওয়া যাবে। তোমাদেরকে তখন অত্যাশ্চর্য বিশ্বে বসবাস করতে হবে। রোগ নিরূপন করতে তখন ডাক্তার লাগবে না। যন্ত্র রোগ নিরূপন করবে। রোবট প্রায় সবকিছু করবে। সেজন্য বিশ্বের উপযোগী যোগ্য নাগরিক হয়ে গেেড় উঠতে তোমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা আমাদেরকে এদেশ এনে দিয়েছেন তাদেরকে এবং মা বাবাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৈতিকতা অর্জন করতে হবে।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন চিনাইর গ্রামে অবস্থিত চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এবং আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান চত্বরে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) গভর্ণিং বডি ও আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মাউশি’র (গ্রেড-১) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মহাবিদ্যালয় (কলেজ) পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি ও বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, উপাধ্যক্ষ এ.কে.এম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন, আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
মহাবিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় শিল্পীরা মন মুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পালাক্রমে অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন সহকারি অধ্যাপক মহিবুর রহিম, প্রভাষক স্বর্ণা আক্তার, প্রভাষক মোঃ শাহিন মিয়া, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পংকজ মধু ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক রোখসানা বেগম।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।