চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি দুলাল ঘোষ এর সভাপতিতে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সভার প্রথম অধিবেশনে বিগত বছরের আয় ব্যয় উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সবার সর্ব সম্মতিক্রমে শাহাদাত হোসেন লিটনকে (দৈনিক মানবজমিন) সভাপতি ও মোঃ ফজলে রাব্বিকে (দৈনিক ইত্তেফাক) সাধারণ সম্পাদক করে দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন (ডেইলি বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম (দৈনিক যায়যায়দিন), তাজবীর আহমেদ (দৈনিক আমাদের সময়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম (প্রতিদিনের সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক- নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম রনি (দৈনিক খোলা কাগজ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল মামুন (বিজয় টিভি), কার্যকরী সদস্য- মোঃ রফিকুল ইসলাম (দৈনিক আজকের হালচাল), দুলাল ঘোষ (দৈনিক সংবাদ), নাসির উদ্দিন (দৈনিক সমকাল)।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
মালয়েশিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়া স্বামী রাকিব হাসানের সন্ধ্যান চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী। ২৬ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের রাকিব হাসানের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রাকিব হাসান ওই গ্রামের মেহেদী হাসানের পুত্র। তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের দাবী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে প্রবাসীর স্ত্রী নাহিদা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাকিব হাসানের মা লক্ষ্মী বেগম।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদা আক্তার বলেন, একই গ্রামের অহিদ মোল্লার ছেলে আজাদ মিয়া আমার স্বামীকে ভিসা দিয়ে মালয়েশিয়া নেয়। গত ৮ জানুয়ারি আমার স্বামী মালয়েশিয়া যায়। আজাদ মিয়া বলেছিল আমার স্বামীকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবে। প্রায় এক মাস ৫ দিন আমার স্বামী আজাদ মিয়ার রুমে ছিল। কিন্তু চাকুরী হয়নি। হঠাৎ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আজাদ মিয়ার ছোট ভাই ইসহাক মিয়া তার ফেসবুকে প্রচার করে আমার স্বামী তাদের রুম থেকে মোবাইলসহ কিছু জিনিষপত্র নিয়ে চলে গেছে। এ খবর জানার পর আমার শাশুড়ী আজাদ মিয়াকে ফোন দেয়। কিন্তু আজাদ মিয়া ফোন ধরে না। উল্টো আজাদ মিয়া মালয়েশিয়ান পুলিশের নিকট অভিযোগ করে। পুলিশ এসে রুম থেকে আমার স্বামীর পাসপোর্ট উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামীর কোন খোঁজ পাচ্ছি না। আমি আমার স্বামীর সন্ধ্যান চাই।
নিখোঁজ রাকিব হাসানের মা লক্ষ্মী বেগম বলেন, আমার ছেলে যদি রুম থেকে চলে যায়, তাহলে পাসপোর্ট রেখে যাবে কেন। আমি আজাদকে ফোন দিলেও সে রিসিভ করে না। তার পরিবারকে জানিয়েও কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।
লক্ষ্মী বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আজ কয়েক দিন ধরে আমার ছেলে নিখোঁজ। আমি তো মা। আমার একটাই ছেলে। আপনারা আমার ছেলেকে যেভাবে পারেন বের করে দেন।
এদিকে, মোবাইল ফোনে আজাদ মিয়ার কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাকিব মিয়াকে বিদেশে আনিনি। সে নিজে এসে আমার রুমে ছিল। না জানিয়ে চলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারী তার মেয়েকে ফিরে পেতে সাংবাদিকদের কাছে এ আকুতি জানিয়েছেন। আজ ২১ মে রবিবার দুপুরে হরিজন কলোনীর নিজ বাড়িতে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আকুতি জানান।
ভুক্তভোগী মেয়েকে ফেরত পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এক পর্যায়ে বলে ফেলেন, ‘এই পুলার ভয়ে আমি কম বয়সে মায়ারে বিয়া দিছি। বিয়ার পরে এই পুলা আমার মাইয়ারে অপহরণ কইরা নিয়া গেছে। অহন থানাত গিয়া বিচার দিলে ভাগায় দেয়। অহন আমি আফনেরার কাছে বিচার চাই। আমার মায়ারে জামাইয়ের কাছে ফিরাই দেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর ভাতিজা লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মেয়েকে ফেরত পেতে সহযোগিতা চান।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আল্পনা (ছদ্মনাম) নামে হরিজন কলোনীর এক মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। কলেনীর রানা হরিজন নামে এক ছেলে তাকে উত্যক্ত করতো। এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়। এতেও রানা দমে না যাওয়ায় মেয়েটিকে গত ৩ মে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সারতে মেয়েটি বাবার বাড়িতে এলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রানা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দিতে গেলে সেটা নেওয়া হয়নি।
রানা হরিজনের ভাই নয়ন হরিজন বলেন, ‘নানা কারণে আমার ভাই রানাকে ত্যাজ্য পুত্র করেছে বাবা। তবে এটা ঠিক যে আমার ভাই ওই মেয়েকে অপহরণ করেনি। বরং ওই মেয়ে আমার ভাই নানাভাবে বকায়দায় ফেলে তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে মেয়েটির এক কাকাতো ভাই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।’
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। উভয় পক্ষকে সোমবার বিকেলে থানায় ডাকা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আখাউড়া ও বিজয়নগর থানার মামলার ওয়ারেন্ট ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ১৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌরশহরের দেবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে আলী নেওয়াজ, মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের আক্কাছ মিয়ার মেয়ে মোছা. নরুনাহার আক্তার ওরফে খাদিজা আক্তার, আক্কাছ মিয়ার স্ত্রী মোছা. মিনা বেগম ও স্বামী আক্কাছ মিয়া, ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত আজিজ খন্দকারের ছেলে মো. বিল্লাল মিয়া খন্দকার, দুর্জনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আফজাল হোসেন, পৌরশহরের টানপাড়া গ্রামের রৌফ মিয়ার ছেলে মো. আলাল মিয়া ও একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. রায়হান, পৌরশহরের রাধানগর গ্রামের মৃত আলমগীর ভুইয়ার ছেলে মো. রনি ভূঁইয়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গোয়াল গাংগাইল গ্রামের জনাব আলীর ছেলে মো. মালু মিয়া ওরফে বাবু, পৌরশহরের খড়মপুর মৃত মুছা মিয়ার ছেলে মো. বাবু মিয়া ও মো. জাকির মিয়া এবং উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. রোমান মিয়া।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে সংঘর্ষে সাকিব মিয়া (২৫) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তন্তর-তিনলাখপীরের মাঝামাঝি স্থানে এই ঘটনা ঘটে।নিহত সাকিব মিয়ার জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিব মিয়া শনিবার সকালে মোটর সাইকেল নিয়ে কসবা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসার পথে মোটর সাইকেলটি তন্তর-তিনলাখপীর বাজারের মাঝামাঝি স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরোহী সাকিব মিয়া নিহত হয়।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।