চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অগ্নিকাণ্ডে গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরু ও ২শ মন ধানসহ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত রশুদ মীর এর ছেলে মোঃ তাহের মীর এর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত তাহের মীর ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মোঃ তাহের মীর জানান, রাতে মশার উপদ্রব থেকে গরুকে বাচানোর জন্য প্রতিদিনের ন্যায় গোয়ালঘরে মশার কয়েল জালিয়ে রাখি। রাত আড়াই টার দিকে হঠাৎ করে পাশের বাড়ির চাচাতো ভাইয়ের ডাক শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গে। উঠে দেখি আমার ঘরে আগুন জ্বলছে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়ালে থাকা চারটি গরু এবং দুইশ মন ধানসহ ঘরটি পুড় যায়। ফায়ার সার্ভিসকে বহুবার কল দিলেও তারা আসে নাই। আগুনে আমার প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ স্টেশন লিডার মোঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী বলেন, খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ড মধ্যে আমরা স্টেশন ত্যাগ করে গ্রামীণ ছোট রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমকি ভাবে মনে হয়েছে ধরনা করা হচ্ছে মশা মারার কয়েক থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতি করেছি।
সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বজ্রপাতে মো. মামুন মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
১৯ মে রবিবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন ওই গ্রামের মো. সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিকেলে ঝড় শুরু হলে মাঠে বেঁধে রাখা গরু আনতে যান মামুন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে দুই ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ জুন রবিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে ছোট ভাই রুবেল ও আলমগীরের সাথে দুলাল মিয়ার বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহ তৈরি হতো। ৭ জুন শনিবার দুপুরে কোরবানির মাংস কাটার সময় ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সাথে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগির দুলাল মিয়াকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগির পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় মোঃ মোকাব্বির (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সোমবার রাতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেফতারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিক্ষা চাইতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক নারী। তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ঘাতক মো. মানিক মিয়াকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মানিক মিয়া শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা মিয়ার ছেলে।
নিহত আমেনা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমেনা বেগম কিশোরগঞ্জ সদরের ফজলুল হকের স্ত্রী। তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারী ভিক্ষা চাইতে গেলে মানিক মিয়া তার ওপর হামলা করে। হামলার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে সে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দিয়েছে। ওই নারীর পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে দুইশ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজয়নগর উপজেলা থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৪টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৯০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক ২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. আল-আমিন (৩০) বিজয়নগর ও শামীম (২৬) সরাইল উপজেলার । পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক আসামি ও জব্দকৃত মালামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।