চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দীদের নিয়ে মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকালে টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল শেখ সুজাউর রহমান, ডিআইজি প্রিজন ঢাকা বিভাগ, এস এম ফজলুল হকসহ কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ময়দানে মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করবে।
এদের মধ্যে ৯টি দল কারাগারে থাকা বন্দীদের নিয়ে গঠন করা। এছাড়া আরও একটি দল কারা স্টাফদের নিয়ে গঠন করা। এই মোট ১০টি দল মাসব্যাপী এই টুর্ণামেন্ট খেলবেন। এছাড়া তিনিও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান অতিথি মাশরাফি বিন মর্তুজা সহ আগত অতিথিবৃন্দ ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে কারাগার ত্যাগ করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
১৯৭৭ সালে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তার বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই হত্যাকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বজনদের আশ্বস্ত করে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা এর বিচার পাবেন। কারণ আপনারা আজ যার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অভিভাবকত্বে আছেন, তিনিও আপনাদের মতো একজন ভিকটিম (ভুক্তভোগী)। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তাদেরকে হত্যার মাধ্যমেই কিন্তু এই চেইন অব কিলিংয়ের উদ্বোধন করেন জিয়াউর রহমান আর খন্দকার মোশতাক।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষ হত্যা করে আনন্দ পেতেন। তার স্বভাব ছিল তিনি একজনকে লাগিয়ে দিয়ে অন্যকে হত্যা করতেন। তার কারণ হচ্ছে, তিনি যে অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছেন, সেই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য, তাকে এই হত্যাগুলো করতে হবে।
সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন সংসদ-সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
চলারপথে ডেস্ক :
পঞ্চাশ বছরের পথ চলায় জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে (সাধারণ প্রস্তাব) আনা প্রস্তাব উত্থাপনকালে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভাষণ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার ওপরে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য ও সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবে বরা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করবো, গড়ে তুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’
প্রস্তাব উত্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলি। তাই ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পরে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। যার ফলে একটা স্থিতিশীলতা আছে। মাঝে মাঝে আমাদের প্রতিবন্ধকতা, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। তারপরও বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ৫০ বছরের পথ চলায় জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে আছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। ৫০ বছরের পথপরিক্রমা অনেক ক্ষেত্রেই মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বার বার সামরিক ফরমান জারি করে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও জাতীয় সংসদের ওপর আঘাত হেনেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল সামরিক ও স্বৈরশাসনের পালাবদলের মধ্য দিয়ে সংবিধানের চার মুলনীতিতে আঘাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইনে পরিণত করা ছিল সংসদীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরবর্তী সময়ে সপ্তম সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
?প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে মন্ত্রীর পরিবর্তে সদস্যদের নির্বাচিত করা হচ্ছে। বিরোধী দলের সদস্যদের থেকে স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হচ্ছে। সিপিএ ও আইপিউতে সভাপতিত্ব ছিল বাংলাদেশের সংসদের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আস্থার প্রতীক।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সংসদ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত- একথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, বর্তমান সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলের নেতা, একজন হুইপ, চারজন স্থায়ী কমিটির সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন নারী। জাতীয় রাজনীতিকে নারীদের উৎসাহিত করতে সংসদে নারী আসন ৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদের ধারবাহিক অগ্রযাত্রা, সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থায়ীত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্র রচনা করেছে। জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। দারিদ্র বিমোচন, দুর্যোগ মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের মঞ্চ মহান জাতীয় সংসদ সরকারের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্জনসমূহ সংসদে আলোচনার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি বিরল দৃষ্টান্ত জাতির সামনে রেখে গিয়েছিলেন জাতির পিতা যে, ইচ্ছা থাকলে কত দ্রুত একটা দেশকে পুনর্গঠন, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন করা যায়। আজকে তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণপরিষদ এবং প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি করেছিলেন- দেশের স্বাধীনতা এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা আছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি যত্ন সহকারে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
প্রথম জাতীয় সংসদের আরেক সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ষড়যন্ত্র নানা দিকে বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
তিনি সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চান। কিন্তু সেখানে বাধা আছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে চাকরি দিয়েছিল তারা বাধা।
সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সরকারি দলের এই জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য বলেন, গ্রামের মানুষ এখন একবেলাও অভুক্ত থাকে না। সংসদ সদস্যরা এর সাক্ষী।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আর যাতে কোনো সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসতে না পারে সেইদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে রোববার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আকস্মিক ও বড় ধরনের বন্যায় যথাসময়ে পূর্বাভাস দেওয়ার লক্ষ্যে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ উজানের দেশগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য চাওয়া হবে। এজন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, জনগণকে যথাসময়ে সহজ ভাষায় বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী ও কুমিল্লায় গণশুনানি করা হবে। জনগণের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সব বাধা দূর করতে হবে। উপদেষ্টা এ সময় ফেনী নদীর মাছের ঘেরসহ সব অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, হাওরে যাতে বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। হাওরে স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সব পাম্প চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ব্যবস্থা, হাওর এলাকায় কার্যক্রম এবং গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালের গৌরনদীতে নানা বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মো. আরিয়ান (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে গৌরনদী পৌরসভার দিয়াশুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আরিয়ান গৌরনদী উপজেলার লেবুতলী গ্রামের মো. আলাউদ্দিন খন্দকারের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন ঢাকায় কর্মস্থল ঢাকায় থাকায় সুবাদে শিশু আরিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে তার মা দিয়াশুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। মঙ্গলবার দুপুরে খেলার ছলে আরিয়ান নানা বাড়ির পুকুরে পড়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর নানা বাড়ির পুকুর থেকে স্বজনরা শিশু আরিয়ানের মরদেহ উদ্ধার করেন।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন এই তথ্যর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।