চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৪ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বারেরা এলাকার ফোর স্টার ফ্লাওয়ার মিল সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. অনিক খান (১৮) গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের জালাল উদ্দিন খাঁন কবিরাজের ৪র্থ ছেলে এবং কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল।
অনিক তার পরিবারের সঙ্গে পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
নিহতের বড় ভাই অপূর্ব জানায়, গত ৬ মাস আগে তাদের মা মারা যান। তাদের পরিবার এখনও সেই শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে আদরের ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হলো।
অপূর্ব আরও জানায়, বুধবার রাতে বারেরা এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পথে ভেজা সড়কে পিছলে পড়লে একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আফসার বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে আটক হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে গিয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, মহাসচিবকে তার গুলশান দুইয়ের বাসা থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
এর আগে বাসা থেকে তুলে নিতে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সব সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার সাহসী সন্তানেরা বারবার রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, উন্নয়ন শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রত্যেকটি জেলায় সুষম বণ্টন করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাসের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন জেলার গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়। অথচ এখানকার মানুষ গ্যাস থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না, যেখানে উন্নয়ন হলেও নিজের এলাকার মানুষ বঞ্চিত হয়।
পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল, সেই পরিবর্তন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে আবারও সবাইকে নিয়ে রাজপথে জীবন দিয়ে দেশকে নতুনভাবে সাজানো হবে।
আখতার হোসেন আরো বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ, গত অর্ধশতকে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হয়েছে।
পথসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহ্দী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, এনসিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং ২০২১ সালের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে এনসিপি প্রতিনিধি দল।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পদযাত্রা শুরু হয়। এ সময় দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পদযাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জনসমাবেশে রূপ নেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মসূচি শেষে এনসিপির নেতারা দুপুরেই হবিগঞ্জে উদ্দেশে যাত্রা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর বান্দ রোড কেন্দ্রীয় হেমায়েতউদ্দীন ঈদগা ময়দানে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ক্বারীদের নিয়ে বরিশাল নগরীতে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল কুরআন একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুল হাই জানান, বরিশালে আন্তর্জাতিক এই ক্বিরাত মাহফিলে ক্বিরাত পরিবেশন করেন মরক্কোর ক্বারী ইলিয়াস আল মিহয়াউঈ, পাকিস্তানের ক্বারী হাম্মাদ আনওয়ার নাফীসী, ইরানের ক্বারী হামীদ রেজা আহমাদী ওয়াফা, মিশরের শাইখ ইয়াসির শারক্বাউঈ এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংগঠন ‘ইক্বরা’র আমন্ত্রণে এসব বিদেশি ক্বারী বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন- আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বক্তব্য রাখেন বরিশাল আল কুরআন একাডেমির প্রধান উপদেষ্টা মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের সভাপতি ও বিএম কলেজ ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসাইন ও প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রব জানিয়েছেন- আল-কুরআনের মোহময় সুরে প্রকম্পিত হয়েছে বরিশালের ময়দান।
ক্বিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তৈয়বুর রহমান আজাদ জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলো ঢাকার সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী ও হ্যাভেন টিউন নাশিদ ব্যান্ড, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংসদ, হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী ও সূচনা সাংস্কৃতিক সংসদ।
মাহফিলে মহিলাদের জন্য ছিলো আলাদা প্যান্ডেল। বিশাল এলইডি ডিসপ্লেতে তিলাওয়াত শোনার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
মঞ্চের ব্রাকগ্রান্ড ও মাঠের দুই প্রান্তে বিশাল ডিসপ্লেবোর্ডের মাধ্যমে বিদেশি ক্বারীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন আগত কুরআন প্রেমী হাজার হাজার দর্শক।
বর্ণিল আলোর ঝালকানি আর কুরআনের মোহনীয় সুর একাকার হয়ে তৈরি করে এক নৈসর্গিক পরিবেশ। যা বরিশালবাসী মনে রাখবেন অনেক দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, এই দেশে সন্ত্রাসীদের জন্য জায়গা হবে না। অপরাধী ধরতে কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। জামিনে কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান ওরফে পিচ্চি হেলাল ও আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন
এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে যেসব সতর্কতা মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। কোনো সন্ত্রাসী আইনের আওতা থেকে রক্ষা পাবে না। সে পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক। তাদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, অবশ্যই তারা গ্রেফতার হবেন।
আরও পড়ুন
সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সম্প্রতি এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ইমনের বিরুদ্ধে এলিফেন্ট রোডে মাল্টিপ্লানের দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় এক নম্বর আসামি করা হয়।
রেজাউল করিম বলেন, কোনো চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের ঠিকানা এই দেশে হবে না। পুলিশ তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় বন্দুক, বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ভরা মৌসুমে কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বাড়ানো তারই একটি প্রকৃত উদাহরণ। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকরীরাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন
ব্যয় বৃদ্ধির চাপে ব্যবসা গোটাতে চান উদ্যোক্তারা
ডিবিপ্রধান বলেন, কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে আমি ব্যক্তিগতভাবে রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। যতদিন কাজ করবো ততদিন দেশ ও জনগণের সেবা করেই থাকবো। অন্যায়ের কাছে কোনোদিন মাথা নত করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না।