চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরে এক ব্যবসায়ীর আড়াই লাখ টাকা ছিনতাইয়ে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে বগুড়া শহরের রেলগেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেফতার চারজন হলেন- মো. জন্টু শেখ (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৬০), মো. হাবিব খান (৬০) ও সহিদ (৪৫)।
পুলিশ জানায়, গত ৭ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের নিচাবাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন করেন ব্যবসায়ী মো. নুরুল আমীন খাঁন (৫৫)। পরে টাকাসহ ব্যাগটি নুরুল আমীন তার মোটরসাইকেলের পেছনে রাখেন। এসময় টাকাভর্তি ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার বুধবার রাতে বগুড়া শহরের রেলগেট এলাকা থেকে ওই চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার চারজনের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোকশেদুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী চৌধুরী ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারখানা পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন।
সেমিনারে জেলায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশু শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে এবং এ পর্যন্ত ৮টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, আবাসিক হোটেল রেস্তোরাঁ ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, এদিন দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হয়। সভায় তালিকা চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- পঞ্চগড়ের রেজিয়া ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের দ্রৌপদি বেবি আগরওয়াল, নীলফামারীর আসিকা সুলতানা, জয়পুরহাটের ডা. রোকেয়া সুলতানা, নাটোরের কোহেলি কুদ্দুস, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জারা জেবিন মাহমুদ, খুলনার রুনু রেজা, ঝালকাঠির ফরিদা আক্তার বানু, বরগুনার ফারজানা, ভোলার খালেদা বানু, পটুয়াখালীর নাজনীন নাহার ফরিদা, ময়মনসিংহের উম্মে ফারজানা, নেত্রকোনার নাদিয়া বিনতে আমিন, জয়পুরহাটের মলি, ঝিনাইদহের কল্পনা।
কুমিল্লার আরমা দত্ত, সাতক্ষীরার লায়লা, খুলনার মুন্নুজান সুফিয়ান, গোপালগঞ্জের বোয়া আহমেদ, ঢাকার শবনম জাহান, ঢাকার পারুল আক্তার, বরিশালের শাম্মী আহমেদ, ঢাকার নাহিদ, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা, লক্ষ্মীপুরের অনিমা, শেখ আনারকলি, নরসিংদীর মাসুদা সিদ্দিক, গাজীপুরের মেহের আফরোজ, ঢাকার হাসিনা বারি, লক্ষ্মীপুরের ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালীর কানন আরা বেগম, নোয়াখালীর ফারিয়া খানম, চট্টগ্রামের দিলারা, চট্টগ্রামের ওয়াশিকা সিদ্দিক আয়েশা, ঢাকার সানজিদা খানম ও রংপুরের নাসিমা জামান ববি।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে এবার ৪৮ আসন পাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
চারপথে রিপোর্ট :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই প্রয়োজনীয় সময়ের একদিনও বেশি ক্ষমতায় থাকবে না।
তিনি জানান, এই সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গঠিত এবং আমাদের দায়িত্ব হলো এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন হতে পারে।
আজ ১৭ নভেম্বর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এবং উন্নয়ন সংস্থা এআরডির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করে।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ই নিচ্ছি। সংস্কারের কাজে কোনো ধরনের বিলম্ব হবে না। তবে, এই সময়টা কেউ যদি বেশি মনে করে, তা হলে সেটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করছে। আমরা একদম চাই না, আমাদের সময়ের একদিনও বেশি থাকুক। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের রিপোর্ট পাওয়া যাবে এবং তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, তা যেন পূর্বের অনাচার, দুর্নীতি ও অত্যাচারের দিকে ফিরে না যায়। আমরা পুরোপুরি সবকিছু ঠিক করতে পারব না, তবে যদি সঠিকভাবে নির্বাচিত সরকার গঠিত হয়, তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান এবং এআইইউবির অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম। মেলার উদ্বোধনের পর ফরিদা আখতার অতিথিদের সঙ্গে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। মেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ক্লাব অংশগ্রহণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর এলাকার পুকুর হতে মাছ ডাকাতির সময় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ১৪জন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-৫।
আজ ১১ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে ১৯ বস্তা মাছসহ তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এই তথ্যগুলো জানান।
আটককৃতরা হলো, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়– চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২), জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ্জল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগ গ্রামের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)। আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ লুট করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়ার আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ লুট করে পিকআপে লোড করার সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে হাতেনাতে আটক করে।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে কার্প জাতীয় মাছ-৩৬৫ কেজি, মাহিন্দ্রা পিকআপ-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), মাছ ধরার জাল-০২ টি, মোবাইল ফোন-০৫টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), সিম কার্ড- ১০ টি, চাকু-০১ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ও ছোট হাসুয়া-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ডাকাত দলের নেতা শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে।
তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এই ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে,দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত বলে জানায়।
আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতেই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। সেটার একটি সফলতা আনার জন্য কাজ করবো।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর বলে যে মন্তব্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন করেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বচনকালীন সময়ে কোনো সহিংসতা ছিল না। কোনো দেশের নির্বাচনের সময় স্কারমিসেচস (আন্তঃকোন্দল) যেটা হয়, ততটুকুই হয়েছে। এমন কোনো বড়ো ঘটনা ঘটেনি, যেটাকে অনেক সহিংসতা বলা যায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাদের মামলা এখনো চলমান। বিচার আদালত করেন, সরকারের কোনো হাত নেই। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবো। কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত কারণে তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার দেশবাসীর প্রতি এবং নির্দেশনা আমাদের প্রতি, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনেক অগ্রগতি সাধারণ করেছে। প্রথম কথা হলো, কোভিড মহামারি ছিল, তখন বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চ্যুয়াল আদালত স্থাপন করে আমরা বিচার ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কারাগারেও যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক মামলার সুরাহা করা হয়েছে। আমরা অনেক আইন করেছি, বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন। এই আইনে যে সংশোধন করা হয়েছে, নারীদের ইজ্জতের ব্যাপার ছিল সেখানে। এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ। এভাবে আমরা অনেক আইন করেছি। তারপর নির্বাচন আইন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে আইন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে যে আইন করা হয়েছে, তাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগই যথেষ্ট কাজ করেছে। তাতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বহুদিন ধরে মামলা জটের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় গেল ১০-১৫ বছর আমাদেরকে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি।