চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ-২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) এর সংবাদ সম্মেলন ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আজ ৫ অক্টোবর ২০২৩, সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ)।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, তিনি যদি নৌকার মনোনয়ন পায় তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল আশুগঞ্জ) আসনে ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার প্রতি ফলন ঘটাতে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিকল্প নাই।
প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) সুদূর জাপান থেকে করোনা কালে সরাইলে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এই সময় তিনি নগদ অর্থ বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও একটি অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছিলেন। এছাড়া তার মানবিক সহায়তা থেকে বাদ যায়নি, গরীব অসহায়রাও। তারাও পাচ্ছেন তার নিয়মিত সহায়তা।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণেও তিনি কাজ করেছেন। তিনি সরাইল উপজেলার ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংর্বধণা প্রদান করেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁর পরিবারের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ভাল কাজের জন্য ৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমি জন্মগত ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের দলের প্রতি ত্যাগ আছে। আমিও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সব কিছু বিবেচনা করে যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাব।
আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেলে র্দীঘ দিনের হারানো এই আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও আমার নেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
চলারথে ডেস্ক :
চলতি বছর (২০২৩ সাল) সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার। নিবন্ধন শেষ হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার হজযাত্রী নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় হারানো ১৪৩টি মোবাইল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে সাতক্ষীরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
আজ ২৫ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মোবাইল ও উদ্ধারকৃত টাকা ফেরত দেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার এএমজে সোহেল, ডিআইও ওয়ান ইয়াসিন আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মে-জুন মাসে ১৪৩টি হারানো মোবাইল প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া বিকাশে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ১০ জন গ্রাহকের খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইল ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের এই সেবা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবা অব্যহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনো ভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।
ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খবরটি জানার সাথে সাথে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।
নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সাথে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার তার জায়গায় কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।
এ সময় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
আজ ১১ জুন রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
দশবছর পর জামাত ঢাকায় সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতএব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন।
অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে। তবে তারা বিচারে যতক্ষণ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে অপরাধী দল হিসেবে বলা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও ফোরামের অন্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত দু’দিন আগে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় দেড় দশকের অর্জনকে ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে যদি তারুণ্যকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি ।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি আরো বলেন, অতীতে আমরা উন্নত অর্থনীতির কথা, নানা স্বপ্নের কথা বলেছি। কিন্তু আজ দুঃস্বপ্ন হচেছ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, নানা অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নানা আক্রমণের দাপটে। আজ বেকারত্বে যুব সমাজ হতাশা ও নিরাশায় নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছি। কিন্তু বেকারত্বের ফলে আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ ডিজিটাল ব্যবস্থায় আসক্তিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, বাজেটে একশ কোটি টাকা তারুণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীর জন্য। বলা হয়েছে ২লাখ বিরাশি হাজার কর্মসংস্থানের কথা। কিন্তু বাজেটে এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই । যুব সমাজকে স্বউদ্যোগী হতে বলা হয়েছে । কিন্তু স্বউদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতাও প্রয়োজন। কারণ আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগই হচ্ছে যুব সমাজ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো না । তাই মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট যুবশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি আহবান জানান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবজোটের সভাপতি জাফর আহমেদ আকসির, বাচিক শিল্পী মনির হোসনে, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির। সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকরি মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনকে সভাপতি, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট বাছির মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য জেলা যুব মৈত্রীরকমিটি ঘোষণা করা হয় ।