চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে আদিয়াত নামের ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তাবালরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আদিয়াত ওই এলাকার মো: আমান হোসাইন সুমনের পুত্র।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাড়ির লোকজনের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি অশান্তি সৃষ্টি না করে তাহলে বিএনপি কখনও অশান্তি সৃষ্টি করবে না। শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনও চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না। বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এ দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।’
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মোড়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং ১০ দফা দাবি আদায়সহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষের কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।
‘বিএনপি’র পাশে কোনো বন্ধু নাই’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু নাই, আমাদের বন্ধু আছে। আর দেশের বাইরে যদি বন্ধু না-ই থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির বন্ধু।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
বক্তব্য শেষে পদযাত্রাটি টাউন হল থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার, আমলাপাড়া হয়ে গঙ্গাদাস গুহ রোডস্থ বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী কলাগাছ বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের যুবকদের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী কলাগাছ বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী এই কলাগাছ বাইচ অনুষ্ঠান দেখতে ওই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষ বাহিরপাড়া মুন্সীবাড়ির শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে অবস্থান করেন। উপস্থিত সকলে এই অভূতপূর্ন আয়োজন দেখে আনন্দিত এবং উল্লাসিত বোধ করছেন।
তোফায়েল শেখ ও চুন্নু মিয়া বলেন, অনেক দিন যাবত আমাদের গ্রামে এ রকম আয়োজন করা হয়নি, আজকের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে।। ,গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী এই কলাগাছ বাইচ প্রতিযোগিতা ধরে রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে দর্শকরা জানিয়েছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কাতারের দোহায় র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকনোমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন কনভারসেশন উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কিউইএফ’র এডিটর অ্যাট-লার্জ হাসলিন্ডা আমিনের উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতএব, আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং আমি এখানে এসেছি আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে? জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতা দখল না করার জন্য এসেছি, বরং আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’
কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গোনায় ধরত না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। এখন, মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, জনাব ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারাই (পর্যবেক্ষক) পাঠাতে চায়, তিনি এরই মধ্যে সবাইকে বলেছেন, – ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তবে তারা পাঠাতে পারে। সুতরাং, আমি আপনাকে বলতে পারি যে আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তাঁর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু, অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে। ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি-যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’
আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে-আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’
জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’
হাসলিন্দা আমিন বলেন, ‘ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই, বাংলাদেশ অনুসরণ করে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে-দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তে আটক হয়েছেন সাবেক বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গতকাল ২৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে তাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর হেফাজতে নেওয়া হয়। বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মো. শরীফুল ইসলাম তার আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানিয়েছে, প্রথমে স্থানীয়দের হাতে আটক হন শামসুদ্দিন মানিক। পরে বিজিবিকে ডাকা হয় ঘটনাস্থলে। জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোন সীমান্ত থেকে আপিল বিভাগের সাবেক এ বিচারককে আটক করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সে সময় বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে টকশোর উপস্থাপিকার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে টকশো শেষ হওয়ার পর ওই উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেও তিরস্কার করতে দেখা যায় তাকে। এ ঘটনায় তখন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে অবশ্য এক আইনি নোটিশের প্রেক্ষিতে তিনি তার ব্যবহারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
সম্প্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের নামে নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
একই অভিযোগে ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবী মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে আরেকটি মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিচারপতি মানিককে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দূরে সরিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট যথোপপযুক্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কি বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ৩ জুন শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন (ঢাকা জেলা ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগরের হাজার হাজার উৎসাহী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাদের দলীয় প্রধানকে দেখতে সমবেত হওয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি একটি মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাই, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
প্রায় ৭.৬২ লাখ কোটি টাকার এত বিশাল বাজেটের বাস্তবায়নে যারা শঙ্কিত, তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান, এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সূত্র : বাসস