চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীর বেলাবোতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু’জন।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফায়জুর রহমান (৪০) সুনামগঞ্জ উপজেলার বিরাই উপজেলার ছৌয়ব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে একটি মালবাহী ট্রাক ঢাকা যাচ্ছিল। ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রাক রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে উভয় ট্রাকের চালক ও হেলপার আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে ট্রাক চালক ফয়জুল মারা যান।
বেলাবো থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় একজন ট্রাক চালক মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডং মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।
ব্যাংককে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। থাইল্যান্ডের গভর্ণমেন্ট হাউসে আজই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।
এর আগে সকাল ১০টা ১২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে তার এ সফর।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর। এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।
সফরকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরো দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউনের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এক প্রজন্মের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সাফল্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সাফল্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে দুটি সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয় সফরে তিনি দেশটিতে বিস্ময়কর উন্নয়ন দেখেছেন।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে লি জাং-কিউন বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে ওডিএ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখন ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী।
গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মামলার রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে রায় হয়েছে তা রায় কার্যকর করার চেষ্টা সরকারের সব সময় থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবে।
আজ ২ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সব সময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।
তড়িৎ গতিতে বিচার করার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এক দিকে বলা হয় যে, এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূল গতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয়, বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে, তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে… শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ-এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। কথা হচ্ছে, দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাটা না করাই উচিত।
বিএনপিকে শেষ করে দিতে এসব রায় দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন বিএনপি যখন রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা।
বিএনপি বলছে এটি ফরমায়েশি রায়-এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই, আপনারাই জানেন। তারাই এই দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছে।
তারপরে হাইকোর্টে এই দুর্নীতি মামলা দায়েরের পরে যিনি আসামি তার পক্ষে যাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন সেটা নাকচ করে দিলেন, এরপর আপিল বিভাগে গেছেন ওনারা। আপিল বিভাগ নাকচ করার পরে এই দায়িত্ব বর্তায় বিচারিক আদালতে। এখানে তারা যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্যক ধারণা আছে কিনা আমার সন্দেহ, বলেন আইনমন্ত্রী।
ডেস্ক :
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ইসি সচিব সন্ধ্যায় স্পিকার দপ্তরকে ফোন দিয়ে সময় চেয়েছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন। এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসেব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসেবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে এ চার বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
গতকাল ১২ আগস্ট সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের এই চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি।
এদিন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলম ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক
মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক
এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।