চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়া। দিনব্যাপী অঝর বৃষ্টি এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদক বিরোধী সমাবেশ। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন। হঠাৎ মঞ্চের মধ্যস্থান থেকে দাঁড়িয়ে হুশিয়ারী দিয়ে সমাবেশস্থল থেকে বেড় হয়ে যেতে বললেন সমাবেশে অবস্থান নেয়া মিনার মিয়া নামে চিহ্নিত একজন মাদক কারবারিকে। এসময় উপস্থিত লোকজনের জোড়ালো উচ্চস্বরে সমর্থন জানিয়ে সাবেক সচিবকে অভিবাদন জানান অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন। ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে ইসলামপুর বাজারে ইসলামপুর গ্রামবাসীর ব্যানারে ইমরানুল ইসলাম নিপুর উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও তার সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও মাদক বিরোধী সমাবেশ বুধন্তি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী সায়্যিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এড. আজিজুর রহমান হেলালের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আলহাজ্ব কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া, নিউ লাইন গ্রুপের এমডি লায়ন আকরাম খান, এলাইন্স প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. ইয়ামিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী হারিছুর রহমান, প্রভাষক মনছুরুল হক আকিক, এড. আকতার উন নবী আপন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াদুল হক বাবু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা এমরানুর রহমান নিপুর উপর হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী কাজী মাহমুদুল হাসান শারেকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। এবং শিক্ষানগরী ইসলামপুরকে মাদকমুক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক ও মানহানিকর অভিযোগ তুলে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের প্রতিবাদে পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।
আজ ৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার পিছনের মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ডা. আলী মিয়া, আব্দুল হাই, আব্দুর রহিম, আজিজুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, তাজুল ইসলাম খান, সামসুল হক খান, আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, জিয়া আলমগীর ও ছাত্রছাত্রীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, তোহিদ ইমরান, আশরাফুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো জন্য পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাড়ার এক মহিলা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পাচারকালে ১৬২ বোতল ফেনসিডিলসহ আনোয়ার হোসেন ও মান্না আহমেদ সুমন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের সাফা গ্রামে ও মান্না আহমেদ সুমনের বাড়ি একই জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মাইজ গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা ছিল। গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাদের অনেক জেল জুলুম খাটতে হয়েছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারেনি। আমরা চাইনা আমাদের মত মিথ্যা মামলায় কেউ হয়রানির শিকার হন।
গতকাল ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বুধন্তি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের বিচার করতে হবে। আমরা ৩১ দফার বাস্তবায়ন চাই এবং বর্তমান সরকারকে সব ধরণের সহায়তা করব। যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।
বুধন্তি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ও আজিজুর রহমান হেলালের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পিপি শফিকুল ইসলাম, এড. তরিকুল ইসলাম রুমা, নিয়ামুল হক,উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জমির দস্তগীর, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজুয়ানুল হক শিষ, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মিজানুল ইসলাম, কাজী সজল মিয়া, হামিদুল হক খোকা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নয়ন মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সাঁতার প্রতিযোগীতা।
স্থানীয় ভূইয়া মানবকল্যাণ পরিষদ এই সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় মোট ১০টি ইভেন্টে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সাতারু মোস্তাক মিয়া বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।
ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ভূঁইয়া বলেন, সাঁতার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করি। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করব। তিনি বলেন, মূলক ঈদের আনন্দ উদযাপন করতেই আমরা এই আয়োজন করি।
এ ব্যাপারে ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছরও সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিলাম। এ বছরও করেছি। তিনি বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা যুব সমাজকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। সেজন্যই আমরা এই আয়োজন করি।
প্রতিযোগীতা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামীম আহমেদ সহ অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এদিকে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সাঁতার প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত হন।