চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিড়ালের সাথে খেলা করতে গিয়ে দোতলা থেকে পড়ে সাদাফ নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৭ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা এলাকা থেকে আহতাবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সাদাফকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশুর বাবা রাজু বলেন, সাদাফ (৪) বাসার দোতলায় বিড়ালের সঙ্গে খেলা করছিল। সেখান থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখা গেছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ভিআইপির নিরাপত্তা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক উম্মুক্ত করা হবে জনসাধারণের জন্য। এ কারণে আগামী ১২ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হবে। প্রস্তুতির নানা ধরনের কাজ রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। তাই আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে যথারীতি সবাই প্রবেশ করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ সদস্যদের সম্মুখ সারির মানুষ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পুলিশ আগে খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিল, এখন পুলিশকে আলোময় বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ ১৭ মার্চ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি- তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না।
নির্বাচন যতই কাছে আসবে ষড়যন্ত্র ততই তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, এইটা মনে রেখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই যুদ্ধাবস্থার সুযোগে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করবে ষড়যন্ত্রকারীরা।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটা মস্তবড় সম্ভাবনার দেশ। সেটাকে আমরা বাস্তবতায় নিতে পারিনি। নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে। এই সম্ভাবনাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই। যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন দেশের পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি ভোগ-দখলে রাখা যাবে না। এর বেশি থাকলে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে। সরকার যথাযথ ক্ষতিপুরণ প্রদান করে বাড়তি জমি খাস করবে। কোন কোম্পানি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণের সিলিং থাকবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ভূমি সংক্রান্ত প্রতারণা, জালিয়াতির দায়ে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে ওই আইনটি পাস হয়। বেশকিছুদিন ধরেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইনটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ভূমিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে স্বার্থান্বেষী, ভূমিদস্যু, জালিয়াতচক্র, কোটারি গ্রুপ পরোক্ষভাবে এই আইনের বিরোধিতা করেছে। সরকারের সম্মতি ও ভূমিমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানের কারণে অবশেষে আইনটি প্রণয়ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “আইনটি নিয়ে কাজ করার সময় অনেকেই তাকে বলেছেন, ‘এই আইনে হাত দিলে হাত পুড়েও যেতে পারে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার হওয়ার পর অবশেষে আইনটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য, দলিল যার, জমি তার– এটি কার্যকর করার জন্য এই আইনটি খুব প্রয়োজন ছিলো। এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরাট একটি সাফল্য।”
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কিভাবে মানুষকে ভূমির হয়রানি, ভোগান্তি থেকে রেহাই দেওয়া যায়– এই চিন্তা মাথায় রেখেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ভূমি নিয়ে এখন কেউ জবরদস্তি করলে, কোনো অন্যায় করলে তার বিচার হবে ফৌজদারি আইনে। হোল্ডিং কোম্পানি হোক আর যেই হোক বেআইনিভাবে কেউ কোন জমি দখল, বেহাত করতে পারবে না। আগে ওইসব অন্যায়কারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে কোনো আইন ছিল না, এখন হয়েছে।’
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ‘এই আইনের আওতায় ব্যক্তি পর্যায়ে কোনোভাবেই ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি নিজ নামে রাখেতে পারবে না। উত্তরাধিকার, দান, হেবা বা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ায় পাওয়া জমি হলেও ৬০ বিঘার বেশি নিজের নামে রাখতে পারবে না। যাদের নামে এর চেয়ে বেশি জমি থাকবে তাদেরকে অবশ্যই সরকারের কাছে বাড়তি জমির ঘোষণা দিতে হবে। সরকার ওইসব এলাকার মৌজা রেট অনুযায়ি ক্ষতিপুরণ দিয়ে ওই জমি খাস করে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনটিতে ভূমি সংক্রান্ত আট ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণা, জালিয়াতির ক্ষেত্রে সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পুরো আইন ফৌজদারি আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শান্তিতে রাখতে এ ধরনের একটি যুযোপযোগী আইন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেভেলপাররা কোনো কথা নেই অন্যের জমিতে মাটি ফেলা শুরু করে– এটা এখন ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ ক্ষেত্রে আগে তাদেরকে প্রতিরোধ করা কঠিন ছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিপর্যায়ে একশ বিঘা কৃষিজমির মালিকানার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরশাদ সরকারের আমলে একটি আদেশ জারি করে ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘা জমির মালিকানা কথা বলা হয়। এরশাদ সরকারের ওই আদেশটিই এবার আইনে পরিণত করা হলো।’
চলারপথে রিপোর্ট :
রিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাট কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মো. ওয়াজ কুরুনী (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওয়াজ কুরুনী উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ওয়াজ কুরুনী ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলে পাট কাটছিলেন। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবার আলী জানান, ওয়েজ কুরুনীকে সাপে কাটলে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামে সাপের কামড়ে বর্ষন মহন্ত (১১) নামের এক কিশোর মারা গেছে। ওই কিশোর ভাবখন্ড গ্রামের দেবাশীষ মহন্তের ছেলে। বৃহস্পতিবার তার লাশ দাহ করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই কিশোরের বসতঘরের ভিতর মাটির গর্তের ভিতরে পা গেলে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে সাপের বিষের ওষুধ না থাকায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বর্ষনের মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে-ওপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৮১টা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। ইসি যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। যার কারণে এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি? আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেওয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলিনি, সব জানি বলেই বলেছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বার বার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এ দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে। বার বার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ তে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ তে এসেও আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এ সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নিয়েছেন।