চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার জালনোট এবং জাল নোট ছাপানোর সরঞ্জামসহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফেনী সদর থানাধীন আকরামপুর মৃত আবু তালেবের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন আদশা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ রাসেল (৩২) ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার রামখানা কদমতলা এলাকার আজিজ রহমানের ছেলে মোঃ রুবেল ইসলামও হৃদয় (২০)।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার জাল টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, জালনোট তৈরির ডাইস ৩টি, জালনোট তৈরির গ্লাস ২টি, ট্রেসিং পেপার ১ কেজি ও ২৫০ পেজ নোট ও জাল নোট ছাপানোর প্রিন্টারে ব্যবহারের বিভিন্ন রংয়ের কালি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গত ৬ অক্টোবর বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকার আব্দুল আজিজ মোল্লার মালিকানাধীন ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কতিপয় আসামীরা জালনোট প্রস্তুত করে বিক্রয় করে আসছে। সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি জাল নোট প্রস্তুত করা অবস্থায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে এবং বিপুল পরিমাণ জালনোট ও সরঞ্জামাদি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, জাল নোট প্রস্তুত করে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব (ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ) সহ বিভিন্ন সময় ঢাকাসহ আশ-পাশের সকল জেলায় জালনোট বিক্রয় করে থাকে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। আর এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। কাল্পনিক নামে খাদ্যদ্রব্য বিপণনও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আজ ৫ জুলাই বুধবার এসব বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল, ২০২৩’ উত্থাপণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। ১৯৫৬ সালের ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট এবং ১৯৭৯ সালের ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স বাতিল করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, এই বিলের মাধ্যমে চালের পোলিশিং বন্ধ করতে পারলে চার লাখ মেট্রিক টন চালের অপচয় রোধ করা যাবে। তিনি বলেন, বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হলেও এই জাতের কোনো ধান বা চালের অস্তিত্ব নেই।
গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০ টাকা হওয়ার পর ভারত থেকে তড়িঘড়ি করে তা আমদানি করা হয়েছে। তাহলে আমরা কিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম। এই থেকেই বোঝা যায়, দেশে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। যদিও বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন মন্ত্রী। কারণ, তিনি নিজেই একজন বড় মাপের গুদাম ব্যবসায়ী। মোকাব্বির খান বলেন, খাদ্যে উদ্বৃত্ত নিয়ে আমরা গর্ববোধ করলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারিনি। ফলে যে কারণে দেশের প্রায় সকল মানুষ কোনো না কোনো ব্যধিতে আক্রান্ত। এজন্য তিনি রাষ্ট্রের নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বিলের সাজাসংক্রান্ত ধারার সমালোচনা করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই ধরণের আইন কোথাও শোনা যায়নি। অপরাধ না করলেও তাকে সাজা ভোগ করতে হবে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এটা একটা ভয়াবহ আইন। এই আইনের আওতায় যে কাউকে যে কোনো সময়ে ধরা যাবে। ঘুষের একটা মহোৎসব শুরু হবে দেশে। যে কাউকে ধরে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়ে দেওয়া যাবে। এই আইনের ফলে দেশের কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। কৃষকরা ভাল দাম পাওয়ার আশায় অনেক সময় মজুত করেন। তারাও এই আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি আইনের সাজা কমানোর জন্য মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
এসব সমালোচনার জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব। কৃষকদের নানা প্রণোদনা এই সরকার দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকৃত মজুতদারদের চিহ্নিত করা সহজ বিষয়। কৃষকদের ওপরে এই আইন প্রয়োগের কোনো আশঙ্কা নেই। এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তাতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও সরকার সেই পথে হাটেনি। বোরো মওসুমের ভালো ফলনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী এবার চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, একজন সদস্য আমাকে গুদাম ব্যবসায়ী বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার কোনো গুদাম নেই-এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি আমার গুদাম থাকার প্রমাণ করতে পারেন, তাকে ওই গুদাম নিবন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিলে খাদ্যদ্রব্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, চাল, ধান, গম, আটা, ভুট্টাসহ যেকোনো প্রকার দানাদার খাদ্যদ্রব্য। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুতসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। তবে এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য।
বিলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনসংক্রান্ত কিছু অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই রূপ জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করলে তা হবে অপরাধ। খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অপসারণ বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করলে সেটিও অপরাধ হবে। এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশ্রণ করে উৎপাদন ও বিপণন করলে সেটিও হবে অপরাধ। লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা চললেও তা অপরাধ হবে। আর এসব অপরাধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন–সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে তা হবে একটি অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালত থাকবে। এই আদালত ‘খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত’ নামে অভিহিত হবেন। এই আইনের অধীন কিছু অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতেও করা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’
চলারপথে ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ২২ এপ্রিল শনিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শনিবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসে চাঁদ দেখা যাওয়ায় এবার রমজান মাস ২৯ দিনেই শেষ হলো। শনিবার শুরু হচ্ছে শাওয়াল মাস। শাওয়ালের প্রথম দিনই মুসলমান সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। সে হিসেবে আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদ উদযাপন হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের পাঁচটি জামাত হবে এবং দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলাগুলোতেও ঈদের নামাজের জামাত হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের দিন সকাল ১০টায় তাঁর বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে হোটেল পরিচালনা ও খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় ফল ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর।
আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরে অভিযান চালিয়ে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৩ সিপিসি-১দিনাজপুরের স্কোট কমান্ডার এএসপি সালমান নুর আলমসহ র্যাব সদস্যরা।
দিনাজপুর শহরে স্টেশন রোড এলাকায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা ও ঘোল এর বোতলে তথ্য ট্যাগ না থাকায় মামা বিরিয়ানি হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় স্বাধীন ফল ভান্ডারকে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযানের পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ রুনী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান রমজানকে কেন্দ্র করে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে এবং অনিয়ম পেলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।