চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মাদক পাচারকারী হলো কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত দেঠৎ মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রকাশ রয়েল(৩৮)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এস. আই মোঃ মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ এলাকার নোয়ামোড়া- গোপীনাথপুর সড়কের থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামকে আটক করে। তাকে তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি মাদক মামলা ও ০১টি অন্যান্য ধারায় মামলা সহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় এ উপহার দেওয়া হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার নিঝুম পুরুষোত্তম পাটেল মোট পাঁচ প্যাকেট মিষ্টি বিজিবির আখাউড়া (আইসিপি) ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেনের হাতে তুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় বিভিন্ন আয়োজনে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০০ কেজি আনারস শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।
২৩ জুন রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি বক্সে করে কিউভেরাইটি জাতের আনারস বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভারতের ত্রিপুরার হর্টিকালচাররের সহকারী পরিচালক ড. দীপক কুমার বৈদ্য বাংলাদেশে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় হাই কমিশানারের এএসও সজীব চক্রবর্তীর নিকট আনারসগুলো হস্তান্তর করেন।
আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্টে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার দীপক হাজিজা, ৪২ বিএসএফ এর ইনচার্জ সন্তোষ কুমার, আখাউড়া কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, আখাউড়া আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৭ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
আখাউড়া চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে আজ ১৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেক যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরুর দিন শুধু শুক্রবারই প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
ভারতগামী কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন পর ভিসা পেয়েছেন। তাই ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটির কারণে চাপ অনেকটা বেশি। সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রধান শিক্ষক, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেন।
বক্তারা, ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য প্রথমত ম্যানেজিং কমিটির তদারকির অভাব এবং প্রধান শিক্ষকের লিডারশীপের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংকট, ছাত্র, শিক্ষক—অভিাবকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা এবং পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সভায় ফলাফল ভালো করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে, ম্যানেজিং কমিটির তদারকি বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষককে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, অভিভাবক সমাবেশ, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া ইত্যাদি।
জানা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৪০ জন। উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮জন। শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৩ জন।
কয়েকটি স্কুলের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। গড় পাসের হার ৫৪.৫৫। জিপিএ—৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪। মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০% । ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ২৮%।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৯ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে আখাউড়া উপজেলা এসেছে। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।
আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি। তিনি আরোও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।