অনলাইন ডেস্ক :
৩ টা কেমু দিয়েছি। টাকার জন্য আর দিতে পারছি না। ডাক্তার আরও কিছু পরীক্ষা দিয়েছে। তাও করাতে পারছি না। সারা শরীর ব্যাথায় অস্থির হয়ে যায়। বালিশ চাপা দিয়ে শুয়ে থাকি। টাকার অভাবে ওষুধ খেতে পারছি না। স্বামী নাই। ছেলেও নাই। আয় রোজগার করার মত কেউ নাই।
এভাবে নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত পঞ্চাশোর্ধ জোসনা বেগম। তিনি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আরু মিয়ার মেয়ে। বিগত ২ বছর ধরে জটিল ক্যান্সার রোগে ভুগছেন। প্রতিবেশি ও দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন।
বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। সমাজের হৃদয়বান মানুষের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আছেন এই অসহায় নারী।
সরজমিনে সোমবার সকালে দরুইন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দু’চালা ছোট্ট একটি টিনের ঘরে শুয়ে আছেন জোসনা বেগম। শরীর অনেকটা শুকিয়ে গেছে। মাথার চুল কমে গেছে। চুলের রং লালচে হয়ে গেছে। বুকের হাড় গুলো যেন শরীর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
জোসনা বেগম বলেন, নোয়াখালির দুলাল মিয়ার সাথে বিবাহ হয়। স্বামী সাগরে মাছ ধরার কাজ করতো। স্বামীর সাথে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছোট্ট দুটি মেয়ে নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। ৩০ বছর আগের কথা। হঠাৎ একদিন জাহাজ ডুবে স্বামী মারা যায়। স্বামীর লাশটি খোঁেজ পাইনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর শশুর-শাশুড়ী ঘর থেকে বের করে দেয়। ছোট দুটি মেয়ে ও গর্ভের একটি সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পরে যাই। বাসা বাড়িতে কাজ করেছি। গার্মেন্টস্-এ চাকরি করে ৩টা মেয়েকে লালন পালন করেছি। গত ৩ বছর আগে করোনার সময় কাজ কাম চলে যাওয়ায় বাড়িতে চলে আসি। এর কিছু দিন পর আমার ক্যান্সার ধরা পরে। এরপর থেকে অসুস্থতায় ভুগছি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, বহু কষ্ট করে বাবা হারা মেয়েগুলোকে বড় করে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কপালে সুখ সয় না। ছোট মেয়ের জামাই একটি সন্তানসহ তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেছে। এখন মেয়ে ও নাতি আমার সাথেই থাকে। নিজেই খেতে পারি না। তারমধ্যে দুটি মানুষ আমার উপর। আমি অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
তিনি বলেন, আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ায় আমার আর কেউ নাই।দরুইন গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ অহিদ মিয়া বলেন, জোসনা বেগম ক্যান্সার আক্রান্ত। তার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নাই। সে খুব অসহায় অবস্থায় আছে। হৃদয়বান মানুষ যদি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে দাঁড়ান। তাহলে হয়তো তিনি চিকিৎসাটুকু করতে পারবে।
জোসনা বেগমের মেয়ে ঝর্ণা বেগম বলেন, বাবা নাই। নানা-নানিও নাই। একটি শিশু সন্তান নিয়ে মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছি। মায়ের কিছু হয়ে গেলে কোথায় যাবো। তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেন। তার বিকাশ নম্বর ০১৮৭৮৮৬২৭১১
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আজ ২০ মে সোমবার বিকেলে মোটরসাইকেল আটকে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
আচরণবিধি অনুসারে, ১৯ মে রাত ১২টা থেকে ২২ মে রাত ১২টা নাগাদ ভোটের এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কসবা পৌর এলাকার তেতৈয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়।
এরপর আখাউড়া পৌর এলাকার মায়াবী সিনেমা হল মোড় ও বাইপাস এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে পুলিশ সুপার জানান, অবৈধ মোটরসাইকেল এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকার ছাড়া মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে তারা নির্বাচনের পর মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারবেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা ও শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দুই দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ওই দুই দিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেন থেকে পড়ে নিখোঁজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের সোহেল মোল্লা তানভীরের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ২ জুন রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার রায়পুরা ও কুমিল্লা জেলার গৌরিপুর এলাকার মাঝামাঝি স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
তানভীরের বয়স বাস্তবে ১৭ বছর। তবে প্রবাসে যাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট করতে গিয়ে কাগজে কলমে বয়স কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ৩১ মে বিকেলে সে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন পার হওয়ার পর উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
তানভীরের আত্মীয় মো. হাসান জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। লাশ আসার পর বাড়িতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন তানভীর। বোন আশামণির বিয়ে হয়ে গেছে। পরিবারটিতে বাবা-মা ছাড়া আর কেউ রইলো না।
সোহেলের মামা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমার বোনের পরিবারে আর্থিক অনটন ছিলো না। ভাগিনা যেন জীবনের প্রতি দায়িত্বশীল হয় সেজন্য তাকে প্রবাসে পাঠানোর চিন্তা করা হয়। এছাড়া প্রবাসে যাওয়া ও প্লেনে উঠার খুব শখ ছিলো তানভীরের। তার বাবা কখনো ছেলের শখ অপূর্ণ রাখেননি। প্রবাসে যাওয়ার বিষয়টা একরকম তার শখ পূরণ করার বিষয়ও কাজ করেছে।’
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘গত তিনদিন নৌ পুলিশসহ আমরা লাশ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করি। গতকাল রবিবার দুপুরে রায়পুরা এলাকায় এক জেলে পানিতে লাশ ভাসতে দেখে সেখানকার পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাড়ে ছয়লাখ টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা তানভীরের। ৩১ মে সকালে ঢাকায় যাওয়ার পর জানতে পারেন তানভীরের জন্য বিমানের টিকিট ম্যানেজ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সি। তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগামী পাঁচ সাত দিনের মধ্যে টিকিট ম্যানেজ করে তানভীরকে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় তানভীর ও তাঁর স্বজনরা উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর সিট থেকে উঠে দরজার সামনে আসেন তানভীর। মুহূর্তেই সে মেঘনা সেতুতে পড়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে সঙ্গে থাকা স্বজনরা বুঝতে পারেন তানভীরই পড়ে গেছেন। এরপর থেকে তার লাশ খোঁজাখুজি শুরু হয়। রবিবার এক জেলে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে তানভীরকে শনাক্ত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকান্ড করে এখনও যে খুনীরা বেঁচে আছে তাদেরকে ধৃত করে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আদালতের রায় কার্য করবো।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়ার বাইরে নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর ছায়া এত বিশাল তা বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছে। আমরা কেউ-ই সেই ছায়ার বাইরে নয়। সকলে মিলে আল্লাহর কাছে আমাদের নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চাইব। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চাইব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোক দিবস পালন করবো। ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে তাকে সহযোগিতা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের ৫ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ জয়নাল আবেদীন, এফএবিপি।
এজেন্ট ব্যাংকের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তন্তর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান খন্দকার, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, ব্যাংকের গ্রাহক মোঃ ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় গ্রাহকদেরকে নিয়ম মেনে লেনদেন করার অনুরোধ করেন। কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছান ৪ বছর ব্যাংক পরিচালনা করে ৫ম বর্ষে পদার্পণ করায় গ্রাহকদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি গ্রাহকদেরকে আশ^স্ত করেন বলেন, আপনাদের কষ্টার্জিত আমানত এ ব্যাংকে সুরক্ষিত থাকবে।
বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে। বক্তারা বলেন, ব্যাংকে এসে গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়।
গ্রাহকদেরকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং ব্যাংকের সফলতা কামনা করে বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোঃ ওবায়দুল হক।