অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা আজ ১৩ অক্টোবর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। বৃহস্পতিবার সিনেমাটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেন। এ সময় তাঁর পাশে বসা ছিলেন বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভও।
সিনেমা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে কী বলেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের আরিফিন শুভ জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনে করেছে আমি তুলে ধরতে পেরেছি, আমি পেরেছি কি না সেটা ভাবার বা প্রয়োজন আমি দেখি না। যাঁর বাবার চরিত্র করেছি তার মনে হয়েছে আমি পেরেছি। যিনি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, একজন কন্যার যদি তাঁর বাবাকে নিয়ে মনে হয়, আমার বাবার চরিত্র এ সুন্দর করেছে। উনি রীতিমতো আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে করছে? কীভাবে করলা এত সুন্দর করে?’
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কিছু বলার আছে কি না এমন প্রশ্নে আরিফিন শুভর উত্তর, ‘আমার তিন বছরের চেষ্টা সিনেমায় দেওয়া আছে। মানুষ দেখুক সেটার জন্য অপেক্ষা, নতুন করে কিছুই বলার নেই।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশের ১৫৩ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ শতাধিক অভিনেতা কাজ করছেন সিনেমাটিতে।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুট শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে হিসেব করে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৪ এপ্রিল।
১০ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। সাধারণত যাত্রার ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট শুরু করে রেল। তবে এবার ঈদের ক্ষেত্রে ৭দিন আগে পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট।
ঈদযাত্রা কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণে ১৩ মার্চ বুধবার দুপুর আড়াইটায় রেলভবনে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৈঠক শেষে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম সংবাদ সম্মেলনে রেলের ঈদের প্রস্তুতি সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বুধবারের বৈঠকে বিশেষ ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পূর্বাঞ্চলের টিকিট সকালে ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিকেলে বিক্রি হবে। কমলাপুর থেকে চাপ কমাতে দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেন রাজধানীর বনানীর ক্যান্টরম্যান্ট স্টেশন থেকে ছাড়া হবে। জয়দেবপুর স্টেশন থেকেও কিছু ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত পথের ট্রেনগুলোতে কোচের (বগি) সংখ্যা বাড়ানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। আমাদের উন্নয়নে বা আমাদের অগ্রযাত্রায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক- সেটা আমরা চাই না, সেটা আমরা বরদাশত করব না।
আজ ২ জুলাই রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী রূপ তো এ দেশের মানুষ দেখেছে। এদের কাছে রাজনীতি বলে কিছু নেই, ক্ষমতা হচ্ছে তাদের অর্থ বানানোর মেশিন; ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। ওরা যদি ক্ষমতায় আসে, আবার এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে; এ দেশের সর্বনাশ করে দেবে। কাজেই সেটা যেন তারা করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কানাডার ফেডারেল কোর্ট এই কথাই বলেছিল যে বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে কথা বলার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আছে, কথায় কথায় নালিশ করে, তো নালিশ করে কি হয়! ওই যে কথায় আছে না, ‘নালিশ করে বালিশ পাবে’। ওরা কিন্তু ওটাই পাওয়ার যোগ্য।
বিএনপির হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে আওয়ামী সভাপতি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- কেউই বাদ যায়নি তাদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে, মানুষকে গুলি করে মারা, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, চোখ তুলে নেওয়া, হাত কেটে নেওয়া- এমন কোনো সন্ত্রাসী কাজ নাই বিএনপি না করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর কারও প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়নি। প্রতিশোধ যদি নিতে যেতাম, তাহলে ওই বিএনপি বা জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না।’
এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাণহানি ও নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব বিষয়ে বিচার নিশ্চিতে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের কাজ করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, পুলিশ মারা, বিভিন্ন সময় আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা, বহু আসামি এখনও ঘুরে বেড়ায়। এরা যেন ঘুরে বেড়াতে না পারে। এদের যেন যথাযথ শাস্তি হয়। এদের যেন বিচার হয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিউজিটিভ (পলাতক) হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোশাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে। চোরের বড় গলা- কথায় আছে, সেই চোরের বড় গলাই আমরা শুনি। এত সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র, একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যার চেষ্টা, আইভী রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী হত্যা করেছে- মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি এমন কোনো অপকর্ম নাই যে না করে গেছে। আজকে সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক।’
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ‘মাই হাউস, মাই ফার্ম’, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ‘মাই ভিলেজ, মাই টাউন’ ইত্যদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামগুলো এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমার লক্ষ্যই হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।
তিনি বলেন, ‘৬ বছর নির্বাসনে থেকে ফেরার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। দেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে যাইনি। নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ, রিকশা-ভ্যানে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন করছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি দেশবাসীর মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছিলেন। যার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে এমন সময়ে হত্যা করা হয়েছিল যখন দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।’
টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাকে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। সাধারণত অন্য সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার দেখাশোনা করেন। আমাকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দারা আমার এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশে বেশি নজর দিতে পারছি।’
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান। এ সময় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতিতে থাকার অনুরোধ জানান। তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রুপা আক্তার সামিয়া (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর ইটেরপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মা ওই অটোরিক্সায় ছিলেন।
এ ঘটনায় অটোরিক্সা চালক মানিক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. সোহেলের মেয়ে। সে স্থানীয় কামানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়ের মৃত্যুতে মা আমেনা বেগম অচেতন হয়ে পড়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
পরিবার সূত্র জানায়, সামিয়াকে নিয়ে তার মা আমেনা কামানখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় সামিয়ার বড় বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এতে সামিয়া ও তার মাসহ তাদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য অটোরিক্সায় করে ইটেরপুল এলাকায় যাচ্ছিলেন। ইটেরপুল এলাকার পৌঁছার আগে সামিয়ার ওড়না অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। এতে সামিয়ার গলায় ফাঁস লাগে। সামিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সামিয়ার বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য মা ও সামিয়া অটোরিকশাতে উঠে। কিন্তু পথেই অটোরিক্সার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে আমার মা অচেতন হয়ে পড়েছেন। আমার পুরো শরীর কাঁপছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অটোরিক্সা চালককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার দুটি দোকান থেকে ১৪ বস্তা ভিজিএফ’র চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনিরা সুলতানা অভিযান চালিয়ে এসব চাল উদ্ধার করেন।
জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলার সান্তাহার পৌরসভায় সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। এসময় বিতরণ করা চালগুলো পৌরসভা কার্যালয়ের পাশে নতুন বাজারে দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুনিরা সুলতানা সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। চাল ব্যবসায়ী ইউসুফ আলীর দোকান থেকে নয় বস্তা এবং অপু মন্ডলের দোকান থেকে পাঁচ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা সুলতানা জানান, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সুবিধাভোগীদের ভিজিএফের চালগুলো কিনছিলেন। আমরা সেখানে পৌঁছানোর কিছু আগেই তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর দু’টি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চালগুলো জব্দ দেখানো হয়েছে। তাছাড়া এসব চাল ‘ভিজিএফ’র বুঝতে না পেরে কেনার কারণে ওই ব্যবসায়ীদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। এসব চাল কেনাবেচা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।