চলারপথে রিপোর্ট :
বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
পুলিশী বাধার কারণের বিএনপির মিছিলটি জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে আয়োজিত সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহির। এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী আজম, জেলা জেলা যুবদলের আহবায়ক মনির হোসেন, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, যুবদলের সহ সভাপতি রাশেদ কবীর আখন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারটি চোরাই গরুসহ মো. কাউসার (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ ৩ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক কাউসার ওই এলাকার মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে বাড়িতে জমা করছিলেন কাউসার ও তার এক সহযোগী। গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে কাউসারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে চারটি চোরাই গরু পাওয়া যায়। গরুগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি কাউসারকে আটক করা হয়।
ওসি আরো বলেন, কাউসার পেশাদার গরু চোর। তিনি বিভিন্ন সময় গরু চুরি করে বিক্রয় করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু।
ডেপুটি কমান্ডার গাজী রতন মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারুল হক ফরিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহনেওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোঃ আহসানউল্লাহ হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোট ১৬ টি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৪১৮ জন জিপিএ-৫ পায়। এর মধ্যে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকেই ৩১৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ বাকি ১৫টি কলেজ থেকে মাত্র ১০১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ফলাফল বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। ফলাফল বিবরণী অনুযায়ি ওই ১৬টি কলেজ থেকে মোট চার হাজার ১৮৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে তিন হাজার ২৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। পাশের হার ৭৭.৭৫। ফলাফলের দিক থেকে অন্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এক হাজার ৬৭ জন পরীক্ষা দিয়ে শতকরা ৯২.৪১ হারে ৯৮৬ জন উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৭ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে। কলেজটির পাসের হার ৮২.৮৭। ৮৬.৬৫ হারে পাশ করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। এছাড়া বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ থেকে নয়জন, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ থেকে ছয়জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজ থেকে একজন জিপিএ-৫ পায়।
বাকি নয়টি কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। কলেজগুলো হলো, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, আলহাজ বেগম নুরুন্নাহার কলেজ, লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, এ মোনেম কলেজ, সুহিলপুর আলহাজ হারুণ অর রশিদ কলেজ, অণে¦ষা বিদ্যাপীঠ (স্কুল ও কলেজ), শালগাঁও কালীসীমা স্কুল এন্ড কলেজ, সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ১৬ কলেজের মধ্যে ১০টি কলেজে পাশের হার ৫০ এর উপরে। এর নিচে পাশ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাদেকপুর থেকে ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে ১১.১১ হারে একজন, শালগাঁও থেকে ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৯.৩২ হারে ৩৬ জন, অণে¦ষা থেকে ৪৬.১৫ হারে ৩৯ জনের মধ্যে ১৮ জন, আইডিয়াল থেকে ৪২.৭৮ হারে ১৮০ জন থেকে ৭৭ জন, লায়ন ফিরোজুর থেকে ৪২.৮৬ হারে ৭০ জন এ ৩০ জন ও নুরুন্নাহার থেকে ৩৩.৩৩ হারে ৬৯ জন থেকে ২৩ জন পাশ করে।