চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা (বিরাসার-পাইকপাড়া) খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়া চকলেট ফ্যাক্টরীর সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস।
উদ্বোধনের পরপরই ভেকু নিয়ে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী, জামাল হোসেন, ওমর ফারুক জীবনসহ পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘরের ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
এছাড়াও খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলবাজরা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটি দখল করে রেখেছে। অতিমাত্রায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়না । ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালটি পরিষ্কার করা হলে ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে। ফলে বৃষ্টি হলেও শহরে কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা।
এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত বলেন, পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার সকল খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বিরাসার থেকে পাাইকপাড়া তিতাস নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ন এই খালটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। খালের পাশের রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। খালের যে ময়লা-আবর্জনা আমরা অপসারণ করছি তা ডাম্পিংনে নেওয়া হয়েছে। এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর টাউন খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকায় যত পুকুর আছে সেইসব এলাকার কাউন্সিলরদের নিয়ে পুকুরগুলোও ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী (২৬) গ্রেফতার হয়েছেন। ৯ এপ্রিল বুধবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোর শহরের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেড্ডা এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। বুধবার বিকেলে ভাদুঘর থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে এবং রাতে থানায় হস্তান্তর করে। তাকে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ্যাডহক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ এপ্রিল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ্যাডহক কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, এ্যাডহক কমিটির সদস্য মামুন খান, মো. আজিম, জাহাঙ্গীর আলী, মাইনুল ইসলাম চপল, তানিম শাহেদ রিপন, আকিব জাবেদ মুন্না ও আবুল হাসনাত মো. রাফি।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক এ্যাডহক কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় তিতাস নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে গিয়ে নৌকা ভেঙে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নৌকায় থাকা ইউএনও, এসিল্যান্ড ও থানার ওসিসহ স্টাফরা পানিতে পড়ে যান। পরে তারা সাঁতরে তীরে উঠে প্রাণে রক্ষা পান। গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার কাঞ্চনপুরে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা কয়েকজন জানান, সদর উপজেলার কাঞ্চনপুরে তিতাস নদী থেকে রাতে অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। গোপন খবরের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি নৌকাযোগে তিতাস নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের স্থানে যাচ্ছিল। নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর মাঝে ভেঙে ডুবে যায়। এতে নৌকায় থাকা ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসিসহ সবাই পানিতে পড়ে যান। মধ্যরাতে অন্ধকারে নদীতে এ ঘটনা ঘটায় এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। পরে তারা সাঁতরে নদীর তীরে ওঠেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, আমি ভেবেছিলাম কাছাকাছি কোনো জায়গায় যাবে। নৌকা উনারাই নিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নৌকাটি অনেক নড়বড়ে ছিল। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায়, টিএ রোডস্থ জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুমারশীল মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয্ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, দীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক ফয়েজী, শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহসিনুল করীম হারুনী, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এম আবু হানিফ নোমান, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাও. নূরুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও. ফয়জুল্লাহ মুহসিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও. আল আমীন হোসাইনী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরাইলী অব্যাহতভাবে বোমা বর্ষণ করে আরেকবার প্রমাণ করেছে তারা ধর্ম ও মানবতার শত্রু এবং আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি। ইসরাইল যুগে যুগে নিন্দিত, আগ্রাসী বর্ণবাদী ও অভিশপ্ত সন্ত্রাসী জাতি। পাশবিকতাকে ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে, বর্তমান জাতিসংঘের ভূমিকায় বিশ্ব মুসলিম বিস্মিত ও মর্মাহত। তিনি জাতিসংঘকে মুসলিম নিধনকারী সংঘ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্বমুসলিমকে মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান। সেই সাথে আরব বিশ্বকে মুসলমানদের পক্ষে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে শহর প্রকম্পিত করে।