চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পুলিশের পৃথক ৩টি অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৪ কেজি গাঁজাসহ ৫ জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় বিএমপি’র বিমানবন্দর এবং কাউনিয়া থানা।
আজ বুধবার বিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোনা মিয়ারপুল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (৩০) নামে একজনকে আটক করে। আটক সাইফুল ঝালকাঠীর নলছিটি ডিগ্রি কলেজ এলাকার বেপারী বাড়ির আবদুল বারেক বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ আটক সাইফুলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে।
এদিকে একই রাতে নগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা পূঁজা মন্দির এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রামের আজিজ বেপারী (৬৫) এবং সদর উপজেলার চরকাউয়া হিরন নগরের আমান খানকে (৫৪) আটক করে।
অপরদিকে একই রাতে কাউনিয়া থানার আরেকটি দল ওই রাতে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকেরগঞ্জে মো. সুমন হাওলাদার (২৬) ও বন্দর থানার মুসলিমপাড়ার মোসাম্মাত লাকী আক্তারকে (৩৩) ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কাউনিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিএমপি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় এ ঘোষণা দিয়েছেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, শনিবার হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। আমরা সকাল ৮টা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিয়েছি। হাসপাতালে আমরা ছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো নিরাপত্তা ফোর্স এখানে দেখি নাই। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের সামনে নিরাপত্তা ফোর্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখি নাই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার জন্য আজ থেকে সারা দেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
হামলাকারীদের আটক ও শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দুই দফা দাবি জানানো হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দাবি পূরণের আশ্বাস না মেলায় দুপুরে সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগের দাবি জানান ডা. আব্দুল আহাদ বলেন। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও কর্মস্থলে নিরাপদ নিশ্চিতের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় রোববার সারাদেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকালে ইন্টার্নি চিকিৎসক এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন, ঢামেকের নার্স ও কর্মচারীরা। নার্সদের পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমাদের দাবি, সকল কর্মস্থলে নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। সকাল থেকে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা জরুরি বিভাগে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আব্দুল আহাদ বলেন, প্রথম ঘটনা আমাদের নিউরো সার্জারি বিভাগে। একজন আবাসিক ডাক্তার অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে যায়। রোগীর লোক তাকে বের করে তার উপর ধস্তাধস্তি করে, ডাক্তারকে মারে। তাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের আরেক ডাক্তার ওখানে যান, তখন তার ওপরও অতর্কিতে আক্রমণ করে। কলার ধরে তাকে ২০১ নম্বর অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে পরিচালকের সামনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম, দুইটা সিদ্ধান্ত, আমাদের চিকিৎসকদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিই, আপনারা দেখেছেন, সেখানে কত লোক থাকে। ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট আর্মি পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। সশরীরে উইথ আর্মস সেখানে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল প্রশাসন এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই চিকিৎসক বলেন, কালকে রাতে আরও দুটি ঘটনা ঘটে, একটা ঘটনা হচ্ছে, একটি গ্রুপ বাইরে আরেকটা গ্রুপকে আক্রমণ করেছিল। সেই গ্রুপ সেবা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সিতে এসেছিল চিকিৎসা সেবা নিতে, তাদের যে বিরোধী পক্ষ ছিল, তারা ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে চলে গেছে। তাই, আমরা দেখছি এখানে রোগীও নিরাপদ না। আপনারা কোথায় সেবা নিতে আসবেন। এখানে রোগীও নিরাপদ না।
তিনি বলেন, আরেকটা ঘটনা, ইমার্জেন্সি রুমে একজন কিডনি রোগী এসেছিল, অনেক ইমার্জেন্সি রোগী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে ডক্টর ও মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা হয়। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স ওসেক ভাঙচুর করা হয়। তাই আমরা দেখতে পাই এখানে ডক্টর রোগী কেউই নিরাপদ না।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ মহান শিক্ষা দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ ও একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন।
১৯৬২ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশনে’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল-পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। এক পর্যায়ে হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন।
সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা আজ সকালে হাইকোর্ট-সংলগ্ন শিক্ষা অধিকার চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় ডোবার পানিতে ডুবে মিনহাজ নামে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিহত মিনহাজ খেলা করার সময় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় মিনহাজ।
স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে তাকে ভাসতে দেখে। দ্রুত উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাহিদূজ্জামান সূর্য জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি আমিরুল ইসলাম ওরফে রাসেলকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিরুল ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় ১৪ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব জানায়, ২০০৯ সালে ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়। ওই মামলার আসামি ছিল আমিরুল। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আমিরুল পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’