চলারপথে রিপোর্ট :
ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের দায়ে দুটি ক্লিনিককে ৮০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে হালদারপাড়ার দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা ও মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মোঃ আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডেঙ্গু টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগে দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ন সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের ডা. আরিফুল ইসলাম, ডা. রাফিয়াতুর রাফা এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সায়মন মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে ও দাতিয়ার এলাকার আবুল ফায়েজের ছেলে ওমর ফারুক রনি (২০)।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা। গ্রেফতার সায়মন মিয়া ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জনস্বার্থে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শহরের টেংকের পাড় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে জেলা নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোঃ হাবিব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন আইনজীবী এ,একে,এম মোঃ শাহদাৎ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কুমিল্লা সমিতিরি সহসভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম,এম জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ খাইরুল নোমান, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক মজুমদার প্রমুখসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণ কালে বক্তারা, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেল। বক্তব্যে তিনি সেশনজট, করোনায় বয়স হারানো লক্ষ লক্ষ বেকার যুব সমাজের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যতিত বিশ্বের সকল দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এর উপরে এবং কোন কোন দেশে বয়সসীমা উন্মুক্ত।
বিগত ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা যুক্তিসংগতভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার তৈরী করার সাড়ে চার বছর পার হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন আগামী নির্বাচনী ইশতেহার আপনারা কাদেরকে নিয়ে করবেন।
তরুণদেরকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখছে সে স্বপ্ন একটি দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে তরুণদেরকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে।দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়েনের অগ্রযাত্রায়। আমরা চাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করে সেশনজট, করোনায় বয়স হারানো লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী সমাজকে হতাশা মুক্ত করে যুব সমাজেরও উন্নয়ন করা হোক। লক্ষাধিক বেকার যুব সমাজ আজ হতাশাগ্রস্ত হয়ে চার দেয়ালে বন্দি। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে, সুযোগগুলো উন্মুক্ত করে এই বিশাল যুবশক্তিকে কাজে লাগানো হোক। অন্যথায় মুখ তুবড়ে পড়বে আগামীর উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে আরিফা সুলতানা বলেন, দেশে গড় আয়ু বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, এই স্বপ্নের পথে ৩২ বছরের পুরনো এনালগ সিস্টেম চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ কে বিলুপ্ত করে স্থায়ীভাবে বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীতকরণ করা হোক। লক্ষ লক্ষ শৃংখলিত শিক্ষার্থী সমাজকে ৩০ এর ভয়াবহ কারাগার থেকে ম্ক্তু করা হোক। করোনার কথা বিবেচনা করে সব দেশ স্থায়ীভাবে তাদের বয়সসীমা বৃদ্ধি করেছে আর বাংলাদেশ দিয়েছে বৈষম্যমূলক ব্যাকডেট সিস্টেম। এই বৈষম্যমূলক সিস্টেম বাদ দিয়ে অবিলম্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করে দেয়া হোক। সবশেষে শত শত শিক্ষার্থী শ্লোগানে শ্লোগানে চাকরিতে বয়স সীমা ৩৫ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।