চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পানিতে ডুবে রাফি আহমেদ হিমেল (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কেরানীগঞ্জের সারিঘাট এলাকার খালে এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে রাফির বাবা গাড়িচালক রায়হান মিয়া জানান, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ায় থাকেন। দুপুরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশে সারিঘাট খালে গোসল করতে যান। সেখানে গোসলের এক পর্যায়ে সাঁতার না জানা রাফি পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর তার নজরে এলে পানির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় রাফি। সে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচনের আয়োজনের অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রাকিবুদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনার ও সচিবদের বিরুদ্ধে আসামি হয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ তিন মেয়াদে থাকা সংসদ সদস্যদেরকেও আসামি করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি করেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, গত তিন নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ‘অবৈধভাবে’ সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় তাদেরকেও মামলার আসামি করা হয়েছে বলে জানান কফিল উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষ চলছে।
দলীয় নেতারা বলেন, কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারীরা বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে উপজেলার মিয়াবাজার হোটেল তাজমহলের সামনে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদর, বাতিসায় এবং চিওড়ায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সমাবেশ আহ্বান করে। একই সময়ে সাবেক পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারীরাও মহাসড়কে জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মিছিল করার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। অন্যদিকে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া চৌদ্দগ্রাম বিসিক গেট এলাকায় একটি মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে সাবেক মেয়র মিজান গ্রুপের মঞ্জুর আজাদ,পরাশ উদ্দিন রিপন এবং সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারী বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন, আবুল হাশেম মেম্বার ও লিমন চৌধুরী আহত হয়েছেন। অন্যদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের লোকজন জামায়াত শিবির নেতাদের নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে এসেছিল। তাই আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।
হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, চট্টগ্রামগামী লেন আপাতত বন্ধ আছে। জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ছয়টি নির্বাচনী অঞ্চলের আওতাভুক্ত উপজেলাগুলোর নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৩৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কমিশন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা শাখা এ সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকা অনুযায়ী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে প্রথম ধাপে ৪৫টি, দ্বতীয় ধাপে ৪৪টি, তৃতীয় ধাপে ৩৪টি ও চতুর্থ ধাপে ১৪টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে এসব অঞ্চলের ১৫ জেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ছয়টি নির্বাচনী অঞ্চলের ৩৪৪টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ জানায় ইসি। দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম গত ৬ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন, চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ (শেষ) ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। প্রথম ধাপের তফসিলের পর পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একেকটি ধাপের তফসিল হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈশাখী মেলা চলাকালে দুই গ্রামের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। আর সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানালেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ও লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকায় বৈশাখী মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের একজনের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষের কয়েকশ’ লোক স্থানীয় একটি মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বোট ক্লাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একরামুজ্জামান নিজেই নাসিরনগরের সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এতে উপজেলা পরিষদ, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। এসময় গণপূর্ত মন্ত্রীও তাকে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন।
একরামুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হুদা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্যার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের যোগদান করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তাকে সাদরে গ্রহণ করে নেন।
ওই সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একরামুজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন পান ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
মতবিনিময় সভায় একরামুজ্জামান বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আমাকে আপনাদের সামনে রেখে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই গ্রহণ করাকে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ও কৃতজ্ঞচিত্তে মেনে নিচ্ছি। নাসিরনগরের ৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এখানে আছেন। কে আমার নির্বাচন করেছেন, কে করেননি তা মাথায় রাখিনি। আমি এখন সবার প্রতিনিধি। কোনো ভেদাবেদ না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।