চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি আমিরুল ইসলাম ওরফে রাসেলকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিরুল ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় ১৪ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব জানায়, ২০০৯ সালে ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়। ওই মামলার আসামি ছিল আমিরুল। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আমিরুল পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের দূর্গাপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম ক্ষেতলাল উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।
র মধ্যে একই উপজেলার দাশড়া গ্রামের শাহীন মিয়ার সঙ্গে জ্যোৎস্না বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে প্রেমিক শাহীনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী জামিরুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জ্যোৎস্না বেগম।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জেলে কুব্বাত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে কুব্বাত হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আমিসহ আমার চারজন সহযোগী ট্রলারে পদ্মায় মাছ ধরতে যাই। পদ্মায় বর্তমানে মাছের আকাল পড়েছে। রাতে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাহিরচর এলাকায় জাল তুলতেই বড় কাতল মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় আড়তে আমি মাছটি ২০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি ক্রয় করেছি। পরে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজের এক দিন পর মাছের ঘেরের পানি থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়া এলাকায় লাশগুলো পাওয়া যায়। এ সময় তারা একে অপরের হাত ধরে ছিল।
মারা যাওয়া তিন শিশু হলো উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়া এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে তৌহিদা বেগম (১০) ও ছেলে আমির হোসেন (৫) এবং ছাবের আহমদের মেয়ে হুমায়রা বেগম (৮)। হুমায়রা সম্পর্কে তৌহিদা ও আমিরের ফুফাতো বোন। তারা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল বিকেলে তৌহিদা, আমির হোসেন ও হুমায়রা টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে মাছ ধরতে যায়। সন্ধ্যা ছয়টায় তারা হুমায়রার বাড়ি আসে। এরপর আবারও তারা একসঙ্গে ঘর থেকে বের হয়ে তৌহিদাদের বাড়িতে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাতটা বাজলেও তারা বাড়ি না পৌঁছানোয় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় একটি মাছের ঘেরের পানিতে তাদের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে বিলের পানি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, নিখোঁজ তিন শিশুর লাশ বিলের পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৩ সালে ২৫ মে যুবক মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়। তখন চিকিৎসকদের কাছে মোতালেব ওয়াদা করেছিল কখনো আর এসব জিনিস খাবেন না। কিন্তু কলমগুলো বের হতে কোনো কষ্ট না হওয়ায় যুবক মোতালেব আবারও লোহার সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি খেয়ে ফেলে। পরে পেট ব্যথা শুরু হলে পুনরায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফায় চিকিৎসকরা পরীক্ষ-নিরীক্ষার পর এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে মোতালেবের পেট থেকে পুনরায় লোহার তাঁতের সুচালো সরঞ্জাম, কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলত নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
মোতালেব হোসেন জানান, গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন অনেক কলম বের হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যথা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আবারও এগুলো খেয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর খাব না।
হাসপাতালের চিকিৎসক ইরিন আলম বলেন, গত মাসের ১৩ মে মোতালেব হোসেন পেট ব্যথা-বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যথা কমে না। এরপর আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা পাই তার পেটের ভেতর লোহার মতো সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি থেকে দেখা যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে ৪টি ধারালো লোহার তাঁতের সরঞ্জাম, একটি কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
তিনি বলেন, এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। যখন ভাল থাকে তখন কিছু করেন না। কিন্তু যখন মনে রোগটা একটু বেড়ে যায় সে অখাদ্য নানা জিনিসপত্র খেয়ে ফেলে। তাকে মানসিক চিকিৎসাও প্রদান করা হচ্ছে।
সার্জারি ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত বছর মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়েছিল। এবারও যখন পেট ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় তখন আগের সিনটম তার মধ্যে দেখা যায়। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা পর তার পেটের ভিতর থেকে এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে কলম ও সুচোলো জাতীয় ধারালো জিনিসগুলো বের করা হয়। গত বছরও অপারেশন ছাড়া বের করায় সে কষ্ট না পাওয়ায় আবারও সে এগুলো খেয়েছিল। তবে এবার ওয়াদা করেছেন আর খাবেন না।
তিনি আরো জানান, মোতালেব বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে। রোগটি পিকাসিন্ডোম নামে বিরল মানসিক রোগ। এ রোগের আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ খাবারের জিনিসের পোড়ামাটি খায়। কিন্তু মোতালেব যেগুলো খেয়েছে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। তারপরও আল্লাহর রহমতে আমরা সুস্থভাবে সেগুলো বের করেছি। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর সোনাগাজীতে পানিতে ডুবে জান্নাতুল ফেরদৌস হুমায়রা নামের তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী পৌরসভা এলাকার ৬ নম্বার ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামের ফরায়েজী বাড়ির পুকুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিশুটির পিতার নাম সাইফুল ইসলাম।
শিশুটির দাদা আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, সকালে মহিলারা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলো। এরই মধ্যে হুমায়রাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাকে ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আইয়ুব আলী খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।