অনলাইন ডেস্ক :
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে তুললেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে ২-১ ব্যবধানে জিতে ইউরোর মূল পর্বে উঠেছে ফরাসিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বজায় রাখে ফ্রান্স। সপ্তম মিনিটেই এমবাপ্পের গোলে এগিয়েও যায় তারা। এরপর ৫৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
জোড়া গোলে জাতীয় দলের জার্সিতে এমবাপ্পের মোট গোলসংখ্য এখন ৪২টি। কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিকে (৪১) ছাড়িয়ে ফ্রান্সের জার্সিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এমবাপ্পে। তার সামনে আছেন-আতোঁয়া গ্রিজমান (৪৪), থিয়েরি অঁরি (৫১) এবং অলিভিয়ের জিরু (৫৪)।
৮৩তম মিনিটে ডাচদের হয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন হার্টম্যান। কিন্তু এরপর আর নিজেদের রক্ষণে কোনো আক্রমণ শানাতে দেয়নি ফ্রান্স। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে ইউরোর মূল পর্বে উঠেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তায় নেদারল্যান্ডস। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান গ্রীসের।
অন্যদিকে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে বেলজিয়াম। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ২-৩ গোলে জয় পেয়েছে বেলজিয়ানরা। ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে গোল করেছেন লুকেবাকিয়ো এবং তৃতীয় গোলটি রোমেলু লুকাকুর।
তবে এই ম্যাচ হারলেও অস্ট্রেয়িার আশা শেষ হয়ে যায়নি। আগামী সোমবার আজারবাইজানের বিপক্ষে জিতলেই জার্মানিতে যাওয়ার টিকিট কাটবে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
নীলফামারীর সৈয়দপুরের জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এলে বাইরে অবস্থানরত বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ও দর্শনার্থীরা স্বাগত জানান। অনেকেই তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। বেবী নাজনীন হাত নেড়ে সংবর্ধনার জবাব দেন।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দেশ আমাদের সকলের। আমাদের দেশের প্রতি ভালবাসা চিরন্তন।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। বিএনপির কথা উল্লেখ না করে বলেন, দলের সাথে ছিলাম, দলের সাথে আছি। অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো ছাত্র-জনতার পাশে থাকবো।
পরে তিনি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাঙ্গালীপুরের বাসায় যান এবং কিছু সময় কাটান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাড. ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর থেকে নিত্যনতুন ইতিহাস গড়ে চলছে বসুন্ধরা কিংস। আজ ২৬ মে শুক্রবার কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা।
প্রথম ক্লাব হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে (গত ৭৫ বছরে) টানা চারবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েছে কিংস।
এবার কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই। ১৭ ম্যাচে ১৫ জয়ে ৪৬ পয়েন্ট অস্কার ব্রুজন শিষ্যদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৪।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রবসনের পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দোরিয়লতন গোমেজ। তবে ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ৩৮ মিনিটে দীপক রায়ের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। দুই মিনিট পরেই (৪৫+৫) মোরসালিনের গোলে স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কিংস। শেখ রাসেলকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ম্যাচের ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দোরিয়েলতন। ৬৯ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর গোল ব্যবধান কমায় রাসেল। ৭৬ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন দোরিয়েলতন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমান কেনেথ ইকেচুকু।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ম্যাচের শেষ দিকে জ্বলে ওঠে কিংস অ্যারেনার ফ্লাডলাইট। উৎসবের আমেজে কোনও কমতি ছিল না কিংসের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন কানায় কানায় পরিপূর্ণ কিংস অ্যারেনার দর্শকরা।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় দলের ব্যস্ততা না থাকায় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মাতাচ্ছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে সম্প্রতি কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন তিনি। মন্ট্রিয়াল টাইগার্সের হয়ে ৪ ম্যাচ খেলে ২৫.৫০ গড়ে করেন ১০২ রান। স্ট্রাইকরেটও আকর্ষণীয়, ১৫৪.৫৫। তাছাড়া বল হাতে ৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে পুরো আসর না খেলেই সাকিব যোগ দেন শ্রীলঙ্কায়। গল টাইটান্সের হয়ে বর্তমানে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন তিনি। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা বসে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হওয়ার খবর জানতে পারেন সাকিব। অধিনায়ক হওয়ার সুখবর পেয়েই হয়তো স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাদের নিয়ে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন সাকিব।
পরিবারের ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। ছবিতে আছেন পরিবারের পাঁচ সদস্যের সবাই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিশিরের কোলে আছে ছোট মেয়ে আর ছেলে সাকিবের কোলে। বড় মেয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ছবিটিতে শিশির ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘ফ্যামিলি আউটিং।’
ইতোমধ্যে গল টাইটান্সের হয়ে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার খেলে ফেলেছেন ৫ ম্যাচ। যেখানে ৪ ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১৭.৫০ গড় ও ১২৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭০ রান। ৭.০৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
বিশেষ প্রতিনিধি:
অনলাইন ডেস্ক :
জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো । কিন্তু শেষ দিনে প্রথম সেশন পর্যন্তও টিকল না ভারত।
তাদের উড়িয়ে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ‘গদা’ নিজের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত চতুর্থ ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানেই। যার ফলে ২০৯ রানের দাপুটে জয় পায় অজিরা।
দ্য ওভালে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৪ ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করছিলেন ২০ রান নিয়ে। মূলত তাদের ব্যাটে টেস্ট বাঁচানোর আশা দেখেছিল ভারত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই সাজঘরে যেতে হয় কোহলিকে। স্কট বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে রোহিত শর্মার দল। জয় তো দূরের কথা ড্রয়ের আশাটাও তখন ফিকে হয়ে যায়। ন্যাথান লায়নের স্পিন তোপে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও সেরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের হয়ে লায়ন চারটি, বোল্যান্ড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি ও প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
মর্যাদার লড়াইয়ে এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাব দিতে নেমে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। বড় লিড পেয়ে ভারতের জন্য লক্ষ্যটা পাহাড়সম করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে ভারতকে জিততে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ২০ বছর আগেও ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই ইতিহাস আর ভাঙা হয়নি ভারতের, পরপর দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হলো খালি হাতে। একইসঙ্গে ঘুচাতে পারেনি ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পূরণ করলো আইসিসি ট্রফি জয়ের চক্র। প্রথম দল হিসেবে আইসিসি স্বীকৃত সব শিরোপা জিতেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ফাইনাল-সেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড।