অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে গণঅনশন করছে দলটির নেতাকর্মীরা। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
গণঅনশনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরীক জোটের নেতারা সংহতি জানিয়েছেন এতে।
এদিকে, ১২ দলীয় জোট সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিজয় নগর পানির ট্যাংক সামনে এই কর্মসূচি পালন করছে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্স সামনে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়া গণফোরাম ও পিপলস পার্টি মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছে।
খালেদা জিয়ার অনতিবিলম্বে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ভিন্নধর্মী কর্মসূচি পালন করেছে চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) বিএসএমএমইউ শাখা। শনিবার সকাল ১১টায় শাহবাগে বিএসএমএমইউ সংলগ্ন পূবালী ব্যাংকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনীতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা আইনি ব্যাপার। এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্ন নেই। তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নাই এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না-এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেয়া হয় তা মানতে হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি। অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
আজ ১৪ জুন বুধবার বিকেল ৫ টায় চট্টগ্রাম মহানগর কাজীর দেউড়িতে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ শ্লোগানে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ীর চোরাস্তার মোড়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল ।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দিতে পারবো, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরী হবে, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে সেই বাংলাদেশ আমরা চাই, নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে যেখানে মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা হবে। মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোড় বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরী হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বেলা বাড়ার সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান নোয়াখালী, কুমিল্লা ফেনীসহ পুরো বিভাগ থেকে লোকজন সমাবেশস্থল কাজীর দেউড়ি মোড় জড়ো হতে শুরু করে। সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে মঞ্চে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে , বিভিন্ন জেলায় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, না কি আপনারা চেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে এ বদলি দরকার।
কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তারা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বড় আকারে রদবদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, একশ কোটি টাকা ব্যয় হবে, এ টাকা কে দেবে- এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, একশ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে? তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারবো। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগেন। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।
সব প্রার্থীদের বডিগার্ড দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো সম্ভব হবে না। এতো বডিগার্ড দেওয়া যাবে না। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য।
কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে- এমন প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপ পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি আমাদের নিবন্ধিত দল নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে আমরা দুই হাজার ৭১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।
পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি এবং একটি স্থানে ডাবল জমা দেওয়ার তথ্য জেনেছি- এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছে।
যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি, সেখানে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ওখানে স্বতন্ত্র হিসেবে পূরণ করেনি সে। মনোনয়নপত্রে আওয়ামী লীগ লেখা আছে। সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটি স্বতন্ত্র হিসেবে, আরেকটি দলীয় হিসেবে পূরণ করতে হয়। তিনি (সংশ্লিষ্ট প্রার্থী) দলীয় হিসেবে পূরণ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন। পরে তার বৈধতা বা অবৈধতা সেটা বাছাইয়ের সময় নির্ধারিত হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ার হোল্ডিং ৪ কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ার হোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত ৫ বছরের দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০টাকা। এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।
এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা ও অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
চলারপথে ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগেও বলেছি, এখনও বলছি, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে যাওয়ার আগে এর অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা করা হবে। এর আগেও আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে যাতে এই আইনটির বিষয়ে এমন মনে না হয় যে, এটা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা করা। উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থাই থাকবে এতে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে ১৪শ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য ১২শ ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বাক-স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখেন এবং তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখা হয়, যা বহু গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে রাখা হয়নি। তাই কেউ যদি এমন দুশ্চিন্তা বা কল্পনা করেন যে, শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সময় এমন একটি আইন হবে, যেখানে জনগণের বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, সেটা সঠিক নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো যদি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এগুলো তো স্পষ্ট।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।