চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া ডিসি প্রজেক্টে থাকা কাশবনে চলছে ছবি তোলার হিড়িক। প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় পুরো প্রজেক্টেই ছেয়ে গেছে এখন কাশবনে। ডিসি প্রজেক্টের ভেতরেই নির্মিত হয়েছে মডেল মসজিদ। মডেল মসজিদ নির্মাণ হওয়ার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে কাশবনও।
মডেল মসজিদ ও কাশফুলে মিলে ডিসি প্রজেক্ট এলাকাকে হয়ে উঠেছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভান্ডার। প্রতিদিন কাশফুল দেখতে সেখানে ভীড় জমে হাজারো মানুষের। দুপুরের পর থেকেই সেখানে ঢল নামে প্রকৃতিপ্রেমীদের। মানুষ দল বেঁধে সেখানে যান কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা সেখানে গিয়ে ছবি তুলেন। প্রতিদিন হাজারের মানুষের পদভারে সেখানে এক অভ‚তপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সেখানে ছবি তোলার জন্য রয়েছে কয়েকজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকেই আবার খাদেমের অনুরোধ না শুনে মসজিদের বারান্দা, মসজিদের দোতলায় গিয়েও ছবি তুলেন। এতে করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। প্রকৃতিপ্রেমী আশরাফ মেহেদী বলেন, এই জায়গায় এলে আর বাড়ি যেতে মন চায়না। কাশবনে মিলিয়ে যেতে মন চায়।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা আজিজ আহমেদ বলেন- সুযোগ পেলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। কাশবনের সাথে মডেল মসজিদটিও এ জায়গার সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেখানে ঘুরতে যাওয়া হাফেজ মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, সৌন্দর্য্য মহান আল্লাহর দান। তিনি বলেন, মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা কারো উচিত নয়। তিনি ছবি তোলার সময় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এদিন সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মুস্তাফা মুন্না গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৮ এবং অনুচ্ছেদ-৮, ধারা-১ অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ এর সময়সূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয়, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি একই সময়ে ও স্থানে মনোনয়নপত্র জমাদান। ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ২১ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ। এরআগে সাধারণ সভা অনু্ষ্িঠত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত দু’দিন আগে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় দেড় দশকের অর্জনকে ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে যদি তারুণ্যকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি ।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি আরো বলেন, অতীতে আমরা উন্নত অর্থনীতির কথা, নানা স্বপ্নের কথা বলেছি। কিন্তু আজ দুঃস্বপ্ন হচেছ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, নানা অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নানা আক্রমণের দাপটে। আজ বেকারত্বে যুব সমাজ হতাশা ও নিরাশায় নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছি। কিন্তু বেকারত্বের ফলে আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ ডিজিটাল ব্যবস্থায় আসক্তিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, বাজেটে একশ কোটি টাকা তারুণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীর জন্য। বলা হয়েছে ২লাখ বিরাশি হাজার কর্মসংস্থানের কথা। কিন্তু বাজেটে এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই । যুব সমাজকে স্বউদ্যোগী হতে বলা হয়েছে । কিন্তু স্বউদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতাও প্রয়োজন। কারণ আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগই হচ্ছে যুব সমাজ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো না । তাই মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট যুবশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি আহবান জানান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবজোটের সভাপতি জাফর আহমেদ আকসির, বাচিক শিল্পী মনির হোসনে, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির। সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকরি মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনকে সভাপতি, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট বাছির মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য জেলা যুব মৈত্রীরকমিটি ঘোষণা করা হয় ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন বলেছেন, শিশুদের আনন্দভরা মন মানসিকতার ভতের দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সাম্য শান্তি সম অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মাহে রমজান আমাদের শিক্ষা দেয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকল শিশুর মাঝে যেন আনন্দ থাকে সে ব্যাপারে সকলের ভূমিকা রাখতে হবে। স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া সংগঠনটি ২০১৮ সাল থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে। এটি একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্ণালী আক্তার সহ সংশ্লিস্টদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
২৩ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উত্তর পৈরতলাস্থ প্রশান্তি বাড়িতে “স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া” সংগঠনের উদ্যোগে উন্নয়ন শিশুদের মাঝে ঈদের কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সংগঠনের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক স্বর্ণালী আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাবউদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, উপদেস্টা মোর্শেদা মতিন মিলি।
অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন তিতাস মানবিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সামসুন নাহার জেনি, অর্নব হক, সংগঠনের সোহানা, স্নেহা , রোজামনি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শতাধিক শিশুর মাঝে ঈদের কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে বিনামূল্যে শিক্ষা সহ নানামুখী সেবাকাজ বাস্তবায়ন করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ জামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম। ৮ দফা দাবিগুলো হচ্ছে :
১। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও আইসিইউ ব্যবস্থা চালু।
২। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো। ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার দেয়া অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স দেয়া ও স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
৫। পৌর এলাকার যানজট নিরসনে শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন।
৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিবতি দেয়া সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন চালু।
৭। তিতাস নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখনন ও আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের জন্য ড্রেন নির্মান।
৮। ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১৫৪ বছরের পুরানো এই পৌরসভার নাগরিক সেবা নেই। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কোন রাস্তা নির্মিত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রতিটি রাস্তায় পানি জমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতির রাজধানী হলেও নানাভাবে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কালোবাজারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রকৃত রিকসা চালকদেরকে লাইসেন্স না দিয়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। কোন কোন ব্যক্তি শতাধিক ও অর্ধশতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। যার দরুন প্রকৃত রিকসা চালকরা কোন লাইসেন্স পায়নি। তিনি বলেন, অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে তারা আগামী ২১ আগষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ও পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক আছমা খানম, জেলা সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অসীত রঞ্জন পাল, আহমাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও আল- মামুন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০ টি আলোকশিখা প্রজ্বলনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি উৎসবের শুভসূচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোকশিখা প্রজ্বলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সূচনাপর্বেও শিরোনাম ছিলো ভারতীয় শিল্পীদের আবৃত্তি পরিবেশনা। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এসময় আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের মেদিনীপুর থেকে সৌরেন চট্টোপাধ্যায়, সমন্বয় চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে বিপ্লব চক্রবর্তী,মলি দেবনাথ,অন্তরা দাস ও ত্রিপুরা থেকে বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী, দীপক সাহা।
অনুষ্ঠানের সূচনা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজি মাহতাব সুমন।
আবৃত্তিশিল্পীদের নানা ধরণের কবিতার উচ্চারণে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারি পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস) মো.সোনাহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ১৪ দল সমন্বয়ক হাজি হেলাল উদ্দিন, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফসিউর রহমান হাসান ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি আমার জন্য শ্লাঘার। আমি খুবই আনন্দিত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও সংস্কৃতির পথে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এ সংগঠনের ভূমিকা আমাদের প্রাণিত করেছে। যারাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে-সুন্দর সংস্কৃতির পক্ষে লড়াই করছে আমি তাদের পাশে আছি,থাকবো। আমার প্রতিটি সংকটে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আমার পাশে ছিলো। সংগঠনটির দুই দশক পূর্তিতে আমি সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
কলকাতা থেকে আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী ও মেদিনীপুরের আবৃত্তিশিল্পী সৌরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবৃত্তি অনুষ্ঠানে শতশত মানুষের উপস্থিতি দেখে আমরা খুবই উচ্ছসিত। আবৃত্তি এখানে গণমানুষের শিল্পে পরিনত হয়েছে। সুরের এই মাটি আবৃত্তিশিল্পের লালনেও আমাদের পথ দেখাবে।