চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস- এর উদ্যোগে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এ চক্ষু শিবির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ সদর ও বিজয় নগর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন স্কাউটরা ভাল কাজে সবসময়ই মিশে থাকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কাউটিং আন্দোলনকে গতিশীল রাখতে সবসময়ই পাশে থাকবো।
তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেবামনস্ক মানুষ প্রয়োজন লায়ন্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি একেএম রেজাউল হকের ব্যবস্থাপনায় প্রাক্তন স্কাউটদের এ কর্মসূচি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ বারের মতো লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান একেএম রেজাউল হক ঝুনু এমজেফ, পিসিসিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উদ্বোধনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক মীর,উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, উপদেষ্টা অরুণাভ চক্রবর্তী টিংকু অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলালউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধরী মন্টু, জেলা বারের পিপি অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীন শাহীন।
সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সভাপতি শাহ আলমগীর, এহতেশামুল বারী তানজিন।
বক্তারা সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটদের অবদান তুলে ধরেন। চক্ষু শিবিরে বাংলাদেশ লায়ন ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকবৃন্দ ২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার দুই পুত্র মাহিন (১৪) ও মহিন (৭) কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় খুনি জহিরুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের মেয়ের জামাই এবং নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগিরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, বাঞ্ছারামপুর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক স্বাগত সৌমের আদালতে সোপর্দ করা হলে জহিরুল ইসলাম ত্রিপল হত্যাকান্ডে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসবিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) মোঃ সোনাহর আলী শরীফ বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের কন্যা আনিকা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। দাম্পত্য কলহের জের ধরে আনিকা আক্তার প্রায়ই তার বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলার মাধবদী গ্রামে চলে আসতো। বর্তমানেও আনিকা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে।
বড় বোন শিল্পী আক্তারের পরিবারে প্রভাব বিস্তার করতো নিহত জেকি আক্তার।
দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সোমবার সকাল ৮টার দিকে খালা শ্বাশুড়ি জেকি আক্তারের বাসায় আসে জহিরুল ইসলাম। সেখানে নাস্তা খেয়ে সে চলে যায়। রাত সাড়ে রাত ৮টার দিকে জহিরুল ইসলাম পুনরায় জেকি আক্তারের বাড়িতে যায়। পরে জহিরুল জেকি আক্তারের কাছে তার শাশুড়ি (শিল্পী আক্তার) ও তার স্ত্রীর সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শুরু করলে জেকি আক্তারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জহিরুল ইসলাম ঘর থেকে বটি দা নিয়ে জেকি আক্তারকে মাথার পিছন দিকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে। জেকি আক্তারের চিৎকারে ঘুমিয়ে থাকা তার বড় ছেলে মাহিন মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জহিরুল তাকেও কোপ দেয়। মাহিন দৌড় দিয়ে নিজ রুমে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা ও চিৎকার শুরু করলে জহিরুল সেখানে গিয়ে গামছা দিয়ে মাহিনের মুখ বেঁধে ফেলে পরে তাকে টেনেহিচড়ে মায়ের পাশে এনে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
এসময় ছোট ছেলে মহিন ঘুম থেকে উঠে দরজায় দাড়িয়ে থাকলে মহিন তাকে চিনে ফেলতে পারে এইকথা চিন্তা করে মাহিনের শয়নকক্ষ থেকে একটি বাটাল এনে মহিনের দিকে তাকালে মহিন ভয়ে বাথরুমে চলে যায়। পরে জহিরুল বাথরুমে গিয়ে মহিনের কন্ঠনালীতে বাটাল ঢুকিয়ে দেয় ও পরে তার মাথায় বাটাল ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত তার লাশ বাথরুমে ফেলে রাখে। এসময় ঘুমিয়ে থাকা ৭ মাসের ওজিহা তাকে চিনতে পারবেনা ভেবে জহিরুল তাকে খুন করেনি। পরে রাত ১টার দিকে জহিরুল জেকি আক্তারের ঘরের দরজায় তালা দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ত্রিপল খুনের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের বাসার দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রী জেকি আক্তার দুই পুত্র মাহিন ও মহিনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের উদ্যোগে সাড়ে ৩’শ চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহরের পাইকপাড়াস্থ সানসাইন এডুকেশন হোমে দিনব্যাপী বিনামূল্যে এই চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ক্লাব সেক্রেটারী রোটারিয়ান মনিরুল আলমের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান ডা. ফখরুজ্জামান ভূইয়া, রোটারিয়ান ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন, রোটারিয়ান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, রোটারীয়ান ডাঃ সুখেন্দু বিকাশ তালুকদার, রোটারিয়ান সাংবাদিক মো: শাহাজাদা, রোটারিয়ান আনিসুর রহমান, রোটারীয়ান আশরাফ আহমেদ, রোটারিয়ান ডা. মোঃ শওকত হোসেন, রোটারীয়ান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, রোটারীয়ান ডাঃ ইয়ামালী খান, রোটারীয়ান ক্ষমা রানী কর, রোটারীয়ান খসরু মিয়া, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ, রোটারিয়ান হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
চক্ষুু শিবিরে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা: মালিক ইফতেখার সিদ্দিকী ও ডা: ফাতেমা সহ আরো কয়েকজন চিকিৎসক দিনব্যাপী ৩৫০ জন চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির ৩ মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা গতকাল শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বিকেল তিনটায় স্থানীয় গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুল মিলনায়তনে আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিফাত আমিন।
কর্মশালার সমন্বয়কারী সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, নাসিরনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক সিফাত নাসরিন নিতু, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, ইব্রাহিম খান সাদাত, রিপন দেবনাথ, নুসরাত জাহান বুশরা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন বলেন, সাহিত্য একাডেমি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করে আসছে। তবে ১৯৯২ সাল থেকে তিন মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রমিত বাংলা শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা এখনো সাংগঠনিক গন্ডিতে সীমাবদ্ধ। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সাংগঠনিক চর্চার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হব।
প্রশিক্ষক রিফাত আমিন বলেন, বর্তমানে আবৃত্তির সাথে অসংখ্য তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে খুব আশার বিষয়। কারণ সাংগঠনিকভাবে সৃজনশলীলতার চর্চা মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং সুন্দর ও সৃজনশীল চিন্তায় সহায়ক হয়। উদ্বোধনী ক্লাসের পরে শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আখতার ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘরে থাকা আইপিএস সংযোগ স্থাপন করতে যান আখতার। এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসে। এতে তিনি স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়নি। পরিবারের যদি কোনো অভিযোগ থাতে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।