চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাবেন ২০ অক্টোবর। এর আগে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও পরামর্শ সভা করে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের বাছাই শেষে এ নির্বাচনে ছয় প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নিয়ম অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল), আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন বাছাইয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোট থেকে দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে মনে করছেন ভোটাররা।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ১৪ অক্টোবর শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছের ঘোষপাড়ায় এক সভায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশে দুটি নির্বাচন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর। এ দুটি নির্বাচনের দিকে বিশ্ব তাকিয়ে আছে। সরকার যদি এ নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি করে, একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে দেয়, যদি দরজা বন্ধ করে দেয়, যদি রাতের অন্ধকারে সিল মারে, তাহলে সরকারকে ফলাফল ভোগ করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে আমি রাজপথে নামার ঘোষণা দিলাম।
মৃধা আরো বলেন, ৫ নভেম্বর নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু দেখতে চাই। আমরা চাই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ স্লোগান বাস্তবায়িত হোক। আমরা চাই একটা সুন্দর নির্বাচন। মানুষ চুন খেয়ে দই দেখলে ভয় পায়, চুন আর দই যেন একাকার না হয় তা সরকারের কাছে আকুল আবেদন।
সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। এটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে দেখাতে পারেন আমি সুন্দর নির্বাচন দিয়েছি। আগামী দিনেও এ ধরনের নির্বাচন দেবো। এটা আপনার জন্য ভালো এবং মঙ্গল হবে। আর উল্টাপাল্টা হলে, বাধা দিলে বাধবে লড়াই। এ লড়াইয়ে আমরাই জিতবো।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে ৩ অক্টোবর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত/ ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে/ নতুন নিশান উড়িয়ে/ দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক/ এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে হে স্বাধীনতা।’ সত্যিই বাংলায় এসেছে সেই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা। আর আজ বাঙালির সেই গৌরবদীপ্ত দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি।
বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকেরা শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর যে আগ্রাসন চালিয়েছিল, এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাঙালিরা। তারা ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মৃত্যুপণ লড়াই ও রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা।
প্রতিবছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা জানায় মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি।
এই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরেই ভাষার প্রশ্নে একাত্ম হয় বাঙালি। ১৯৪৮, বায়ান্ন পেরিয়ে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টির পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে কেঁপে উঠেছিল জেনারেল আইয়ুবের গদি। জনতার সাগরে সৃষ্টি হয়েছিল তাল স্রোতধারা। ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত ছিল গ্রাম-শহর, জনপদ। শত ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
কিন্তু বাঙালির হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে করতে থাকেন কালক্ষেপণ। পর্দার আড়ালে প্রস্তুত হয় হিংস্র কায়দায় বাঙালি হত্যাযজ্ঞের ‘নীলনকশা’।
কিন্তু ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণেই পাওয়া যায় মুক্তির দিকনির্দেশনা। আক্ষরিক অর্থেই তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসন চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। সেই প্রবল প্রদীপ্ত আন্দোলনের জোয়ারে ধীরে ধীরে বাঙালির হৃদয়ে আঁকা হয় একটি লাল-সবুজ পতাকা, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের ছবি।
কিন্তু বাঙালির আবেগ, সংগ্রাম ও মুক্তির আকাক্সক্ষাকে নির্মূল করতে অস্ত্র হাতে নামে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে নিষ্ঠুর গণহত্যা।
সেই কালরাত্রি থেকেই শুরু হয় মৃত্যু, ধ্বংস, আগুন আর আর্তনাদ, পৈশাচিক বর্বরতা। কিন্তু ওই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম অর্জন- মহান স্বাধীনতা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লেগে ১৮৭ মণ ধানভর্তি একটি নৌকা তলিয়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ধানভর্তি নৌকাটি পানিতে ডুবে যাওয়ার ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর জিঞ্জিরাম নদীর রাবার ড্যাম ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী একই ইউনিয়নের আলগার চর গ্রাম থেকে ১৮৭ মণ ধান কিনে নৌকায় সায়দাবাদ ঘাটে যাচ্ছিলেন। পথে খেওয়ার চর এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর ওপর রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লাগে নৌকাটির। এ সময় পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধানভর্তি নৌকাটির মাঝখানে ভেঙে তলিয়ে যায়। এতে ১৮৭ মণ ধান ও একটি শ্যালোমেশিনসহ নৌকাটি তলিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টার পর মাত্র চার মণ ধান উদ্ধার করেন। তবে এ দুর্ঘটনায় নৌকায় থাকা ৬ জন মাঝি বেঁচে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ধান ব্যবসায়ী নুর ইসলাম জানান, ধারদেনা করে কোনোমতে এই ব্যবসা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। হঠাৎ এই ক্ষতি হয়ে গেলো। আমি পথে বসে গেলাম।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ধানভর্তি একটি নৌকা ব্রিজের পিলারে থাক্কা লেগে নদীতে ডুবে গেছে। ওই নৌকাটিতে আনুমানিক ১৯০ মণ ধান ছিল বলে জানতে পেরেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি জমির মালিকানার বিধান রেখে সংসদে আরও একটি বিল পাস হয়েছে।
বিলে উল্লেখ করা হয়, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।
এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই হবে। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও ভোগ করতে হবে একই সাজা।
বিলে আরও বলা হয়, সবশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকার সূত্রে বা হস্তান্তর ও দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরিস্তর কাটার সাজা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। নতুন আইনের আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকরা নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারসমূহ নিশ্চিত, ভূমিবিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি থেকে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সে অনুযায়ী রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। রূপরেখা অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম চলবে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ শেষে বাংগাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, সে ফ্যাসিস্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সে যেই হোক না কেন। যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হয়। দেশে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। অনেক মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলাগুলোর কার্যক্রম যেন শেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন নাহিদ ইসলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে বিদ্যমান ইটভাটার ৬০ শতাংশই অবৈধ। এসব ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সারাদেশে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) মোট ইটভাটার সংখ্যা সাত হাজার ৮৮১টি। এর মধ্যে তিন হাজার ২৪৮টি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি চার হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৭৭২টি অভিযান পরিচালনা করে তিন হাজার ৩৭টি ইটভাটার থেকে ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৯০৭টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারদলীর এমপি এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশেরর শহরগুলোতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। আগামী ২০২৫ সালে দৈনিক বর্জ্য ৪৭ হাজারে উন্নীত হবে।
তিনি আরো জানান, কঠিন বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ (বর্তমানে তিন হাজার টন) প্লাস্টিকজাত।
সরকারি দলের আরেক এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি নমুনা শুমারি (শস্য) ২০২০ অনুসারে, বর্তমানে দেশে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪২ একর। দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ শূণ্য দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ হারে কমছে বলে মন্ত্রী জানান।