চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সুবিধাপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার সুবিধাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের ফেলে যাওয়া ৫টি বস্তা তল্লাশী করে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দ্বীপা রানী কর (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দ্বীপা রানী করের স্বামী টুটন কুমার সাহা (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহত দীপা রানী কর কুমিল্লা জেলার বাঙরা থানার খোশঘর গ্রামের কালিপদ চন্দ্র করের মেয়ে।
সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কসবা থানায় তিন জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আগামী শুক্রবারে বাবার বাড়ী যাওয়ার কথা ছিলো দ্বীপার। তাদের একটি এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত দ্বীপা রানী করের মা সুমা রানী কর জানান, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর সাহার ছেলে টুটন কুমার সাহার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। মেয়েকে নিতে আসলে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বাবার বাড়িতে যেতে দিতোনা শশুরবাড়ী লোকজন। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে যায়। এনিয়ে সালিশ বৈঠক করলে তাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে হুমকি দেয় তারা। হিন্দু হওয়ায় মেয়েকে স্বামী সংসার করানোর চেষ্টায় তাদের হুমকির ভয়ে কোনো সালিশ ছাড়াই আবারো স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। তাদের ভয়ে এক বছর ধরে মেয়েকে দেখতে আসিনা আমরা। এই সপ্তাহে দীপার বড় চাচা প্রবাস থেকে আসার কথা। মেয়ে বলেছিলো জেঠা আসলে আগামী শুক্রবার আমাদের বাড়িতে জেঠাকে দেখতে যাবে। তা আর হলোনা। পাষন্ড শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েটাকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অঝোঁরে কাঁদতে থাকে মা সুমা রানী কর। অদুরে দাড়িয়ে নীরবে চোখ মুছছিলেন বাবা কালিপদ চন্দ্র কর। তাদের মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
কসবা থানা ওসি (তদন্ত) রিপন দাস জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসরাফিল (১৮) খেউড়া গ্রামে গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ফুফাতো ভাই বাবু মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি একই গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসরাফিলের অটো গ্যারাজে তার ফুফাতো ভাই বাবু মিয়াকে বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা মেরামতের কাজ করাতেন। ইসরাফিল মেরামত কাজের ৫শ টাকা বাবুর কাছে পাওনা ছিল। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার ঘাতক বাবু স্থানীয় গ্রাম্য মেলা উপলক্ষে ইসরাফিলের গ্যারাজের সামনে দোকান বসায়। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবু ইসরাফিলকে মারধর করেন। পরে ইসরাফিল তার বাবাকে নিয়ে মারধরের বিষয়টি জানাতে ফুফুর বাড়িতে গেলে তাকে দেখে ক্ষুব্ধ হন বাবু। একপর্যায়ে বাবু কাঠ দিয়ে ইসরাফিলের বুকে আঘাত এবং বেদম মারধর করেন। এতে ইসরাফিল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক বাবু মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থা থেকে ছাইমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ছাইমার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে ছাইমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল ৮ মে বুধবার রাতে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেয়াইর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যান।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে ছাইমার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৭ টার দিকে বোনের জামাই কবির আমাকে ফোন করে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। তাদের ঘরের খাটের ওপর ছাইমার মরদেহ পড়ে আছে। মূলত তাকে হত্যা করে ওই পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আবুল কালাম ও আবদুল মান্নান নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে ও আবদুল মান্নান একই উপজেলার নোয়ামোড়া গ্রামের রাব্বানী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ঘর তল্লাশী করে ১৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, কালাম ও মান্নান এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে আদায় কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কসবা পৌরসভার হিসাব রক্ষক মোঃ বশির আহমেদের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ইন্সপেক্টর মোঃ মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার মোঃ আবু ছালেহ ভূঁইয়া সহ সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, কসবা পৌর এলাকার ১০ হাজার ২১৭ জন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের আওতায় রয়েছেন। অবশিষ্ট থাকলে তাদেরকেও হোল্ডিং ট্যাক্স এর আওতায় আনা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার কসবা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে পৌরবাসী সহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পৌর প্রশাসকের কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটির সদস্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি এস আই মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল্লাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর মিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি তুহিন কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন।