স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৬ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৩ জুলাই রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার পশ্চিম মাইজছড়া গ্রামের মোঃ মিলন (৪২), হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চন্দনা গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন (৩২), একই উপজেলার শাইলগাছ গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নূরুল হক (৩৮) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের শামসুদ্দিনের মনির হোসেন (৫৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, রবিবার সকালে পৃথক সময়ে টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই ফার্মেসিকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে চিকিৎসকদের জন্য দেওয়া ট্রায়াল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন দিনাজপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক মমতাজ রুনী বলেন, ভোক্তার অভিযোগ ও তদারকির অংশ হিসেবে নিয়মিত অভিযান চলছে। অনিয়ম পেলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনের গুজবে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়া যাত্রীদের পিষে গেছে অন্য একটি ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের পাচোরো এলাকায় মর্মান্তিক এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, জলগাঁও অতিক্রমকারী একটি ট্রেনের কামরায় আগুনের গুজবে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের নিচে পড়ে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
দেশটির লখনউ থেকে মুম্বাই চলাচলকারী সুপারফাস্ট এক্সেপ্রেস ট্রেন পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন ধরেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের যাত্রীরা রেললাইনে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে পাচোরোর পারধাদে রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, জলগাঁওয়ের পাচোরার পারধাদে স্টেশনের কাছে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ট্রেনে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কোনও যাত্রী ট্রেনের চেইন টানলে সেটি থেমে যায়। পরে ট্রেনের আতঙ্কিত যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পুষ্পক এক্সপ্রেস লখনউ থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা চেইন টেনে ট্রেনটি থামায়। লোকজন ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তখন কর্ণাটক এক্সপ্রেস তাদের পিষে যায়। আগুন নাকি অন্য কোনও গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। তবে, প্রাথমিকভাবে ট্রেনে আগুন লাগার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গুলাবরাও পাতিল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতিপক্ষের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশিদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কথা কাটাকাটির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ সভায় যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নিহতের পরিবার। নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদ তার বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছিলেন। গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকালে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি হারুনুর রশিদের তিলের জমিতে বার বার পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এ নিয়ে হারুনুর রশিদ তাদেরকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেয়। আনু মিয়ার বাড়িতে হারুনুর রশিদ যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করবে এটা ভাবাও যায় না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজহার ভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।