চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এসময় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ের সময় হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী নামে এক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কাওছার, আবুল হোসেন, ছোট কামাল, হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী, বেলাল, আনোয়ার হোসেন, রিপন, কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর ও আবুল কালাম বাহার। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় লিপি ও নূর নাহারকে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মুকবুল হোসেনের ঘরে ডাকাতদল হানা দেয়। পরে ডাকাতির সময় মকবুল বাধা দিলে ডাকাতদল তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন নিহতের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত।
আজ ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, সেদিন আমার কেউ ছিল না। যাদের রেখে গিয়েছিলাম এসে পেয়েছি সারি সারি কবর। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ।
‘কাজেই আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছি। আমাদের হারাবার কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। শুধু একটাই কাজ- বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। যেভাবে আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেই বাংলাদেশই আমি গড়ে তুলতে চাই। আমার বাবার স্বপ্নটাই আমি পূরণ করতে চাই।
বিএনপি-জামায়াত থেকে জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো মানুষের মধ্যে যদি মনুষত্ববোধ থাকে তাহলে জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় জীবন্ত মানুষগুলোকে ওই বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে হত্যা করছে। গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই তাদের কাজ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। তার আদর্শ বুকে নিয়ে ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা উন্নয়ন করি, আমরা সৃষ্টি করি, ওরা ভাঙে, ওরা নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, জনগণের কল্যাণ করতে জানে না। কাজেই ওদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছিল সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মাতারবাড়ী এলাকায়। সেখানে এক জনপদের বদলে যাওয়ার সাক্ষী সাগরপাড়ের অগণিত মানুষের দলে দলে যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন আর জনসভা কেন্দ্র করে সকাল থেকে ছিল মানুষেল স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।
উপচেপড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ জনসভা মাঠে মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। নজিরবিহীন গণজমায়েতে পূর্ণ মাতারবাড়ী টাউনশিপ মাঠ। প্রায় তিন দশক পর মাতারবাড়ী আসা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন সব শ্রেণি-পেশা আর বয়সী মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৯৫ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মাতারবাড়ীবাসীকে, তা বাস্তব করেন সরকারপ্রধান হিসেবে।
এর আগে সকালে দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের গ্যাস বহির্বিশ্বের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি, তাই আমাকে পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি একটি চক্র। আমি ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না।
রিরোধীদলকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। তাদের বলবো, ঢাকায় খুবই উন্নতমানের আই ইনস্টিটিউট করা আছে, সেখানে মাত্র ১০ টাকা টিকিট কেটে চক্ষু পরীক্ষা করে নেবেন।
তিনি আরও বলেন, আজ দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গর্বের দিন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। গত ১৫ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেসব বিরোধী দলীয় নেতাদের চোখে পড়ে না, তাদের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি যে আমাদের বিরোধী দল, তারা আমাদের উন্নয়নটা চোখে দেখে না, এগুলো বলার কিছু নাই। চোখ থাকতে যারা অন্ধ হয় তাদের আর কী বলব।
‘তাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি- আমি কিন্তু ঢাকায় খুব আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি, চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তারা সেই আধুনিক আই ইনস্টিটিউটে যেয়ে চোখটা দেখিয়ে আসতে পারেন। মাত্র ১০ টাকার টিকিট লাগে, বেশি লাগে না। আসলে তাদের চোখের দোষ না, মনের দোষ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৪টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘গ্যাস, পানি, বিদ্যুতে ভর্তুকি পৃথিবীর কোনো দেশ দেয় না। আমরা দিচ্ছি এখনো। তবে নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মানুষের জন্য বিদ্যুতের দামের দুটি স্লট (আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ) করে দেব।’
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির ভয়াবহতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিটি জিনিসের কী দাম চিন্তাও করতে পারবেন না। আমাদের দেশে তবু চলছে। তবে যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের চলতে তো একটু কষ্ট হচ্ছেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার আদর্শে কাজ করেছে। দেশকে আরও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য।’
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি কার্যালয়ে আপনারা তালা মেরে রেখেছেন, ঢুকতে দিচ্ছেন না, ঘিরে রেখেছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনো সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিবহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
গতকাল সোমবার খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অবরোধে বেশিরভাগ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে– এ বিষয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।