চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রবাস ফেরত চাচার সাথে মেঘনা নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে নদীতে ডুবে দুই চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার দুটো পরিবারের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। বাড়ী ঘরে ভীড় করছেন শোকার্ত এলাকাবাসি।
স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কবিরের ছেলে আদনান (৪) ও হকসাবের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪) তাদের আপন চাচা প্রবাস ফেরত আজিজুলের সাথে মেঘনার তীরে ঘুরতে যায়। চাচা তাদের দুই ভাইকে নদীর তীরে বসিয়ে রেখে নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় চাচার অজান্তে দুটি শিশুই নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। গোসল শেষে চাচা শিশু দুটিকে তীরে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জেলেদের জাল দিয়ে নদীতে খুঁজতে থাকেন। ঘটনার বেশ কিছু সময় পর তাদেরকে নদী থেকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুটি শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের লোকজন শিশু দুটির লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিবচরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাবিলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওই এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ইয়াছিন হাওলাদার (২৩) এবং দাদন মিয়ার ছেলে জোবায়ের মিয়া (২১)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শিবচরের কাবিলপুর এলাকার মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ব্রিজের উপর থেকে দুই যুবককে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি এন্ড্রয়েট ফোন সেট জব্দ করে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, ‘এ ব্যাপারে শিবচর থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র বলছে, এবারের এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আইনের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এ আইনের খসড়া করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে খসড়ায় কি কি থাকবে, সেটা নিয়ে আজকে আমরা আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।
আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।
এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।
এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ গত ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসবো।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘বাংলা ব্লকেট’ কর্মসূচি থেকেই সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধই রয়েছে। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল করবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত।
২৮ জুলাই রবিবার সকালে এ তথ্য জানান তিনি। সরদার সাহাদাত বলেন, ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে। ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা।
তিনি আরো বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া রেলগেট এলাকায় কোট আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৩ হাজার ৫২৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুছনী গ্রামের ইউনুছ এর মেয়ে জোছনা মনি (২১), কক্সবাজার সদর উপজেলার বাজারঘাটা গ্রামের মৃত জহির আহমেদের মেয়ে রিয়া মনি (২২), টেকনাফের আলিকালি গ্রামের মুত্তুল হোসেনের মেয়ে সায়মন জনি (২০)।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় মাদক কারবারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মহিপালস্থ ফ্লাইওভারের নীচে রাস্তার উপর ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল ওইস্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও শপিং ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ১৮টি নীল রংয়ের পলিপ্যাকের ভেতর থেকে ৩ হাজার ৫শত ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন সুকৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনীসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে।