ধনী, গরিবের জন্য বিদ্যুতের দাম আলাদা হবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 19 October 2023, 572 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘গ্যাস, পানি, বিদ্যুতে ভর্তুকি পৃথিবীর কোনো দেশ দেয় না। আমরা দিচ্ছি এখনো। তবে নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মানুষের জন্য বিদ্যুতের দামের দুটি স্লট (আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ) করে দেব।’

আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির ভয়াবহতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিটি জিনিসের কী দাম চিন্তাও করতে পারবেন না। আমাদের দেশে তবু চলছে। তবে যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের চলতে তো একটু কষ্ট হচ্ছেই।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার আদর্শে কাজ করেছে। দেশকে আরও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য।’

Leave a Reply

আশুগঞ্জে ইয়াবা ও প্রাইভেটকারসহ ৩জন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জ উপজেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ হাজার Read more

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর

চলারপথে রিপোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. Read more

গাঁজা ও পিকআপসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট: আশুগঞ্জে সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক বিশেষ…

চলারপথে রিপোর্ট : কোন রাজনৈতিক সংগঠনে পদ-পদবী রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস Read more

কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে উঠান বৈঠক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও Read more

আখাউড়া স্থলবন্দরে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ Read more

নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে Read more

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উদ্যোগে মতবিনিময় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির…

উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা Read more

ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার Read more

নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও Read more

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে…

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার Read more

বিজয়নগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত

জাতীয়, বিজয়নগর, 10 July 2024, 406 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন।

আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বীরপাশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ট্রাকচালক গৌরাঙ্গ পালের বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাবাড়ি উপজেলায় ও হেলপার আবদুল মমিন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা।

এছাড়া অপর একজন আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেট অভিমুখী একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চালকসহ তিনজন আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিজয়নগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের ভেতর আটকা পড়া ট্রাক চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

বিশ্বরোড খাটিয়াতা হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সান্যাল জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসটি অপর একটি যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাস ও ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি যানকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি যান অপসারণ করার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে অন্তত এক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে পরে ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রী সাধারণ।

বাংলাদেশকে এখন আর কেউ ভিক্ষুকের দেশ মনে করে না : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 15 January 2024, 433 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দুর্ভিক্ষের দেশ, ভিক্ষুকের দেশ মনে করে না। এখন সবাই মনে করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে এমন অবস্থায় ছিল, তখন বাংলাদেশ বললে মানুষ মনে করত একটা দুর্ভিক্ষের দেশ, দুর্যোগের দেশ; এদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেক দেশ বলেছে, তোমরা তোমাদের নেতাকে হত্যা করেছ? তখন খুনি দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত হই। সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও গেলে বলত বাংলাদেশ তো হাত-পাততে আসে। এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিটা পরিবর্তন হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই অফিসে ঢুকতে দিত না, চারদিকে পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল। কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য অনেক চক্রান্ত ছিল, অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচন করেছি।

নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ জয়ী হতে পারেনি। সেক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা বা কার কি অপরাধ এগুলো খুঁজে বের করা, এসব বন্ধ করতে হবে। আমাদের দল ছাড়া কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি সেটা কিন্তু কাজের স্বীকৃতি। দেশে মানুষের জন্য আমরা কাজ করেছি, দেশের মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে। সেখানে হয়ত কেউ জিততে পেরেছে, কেউ জিততে পারেনি। হারজিত যাই হোক সেটা সবাইকে মেনে নিয়ে অন্তত নিজের দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা যদি একে অপরের দোষ ধরতে ব্যস্ত থাকি, এটা আমাদের বিরোধী দলকে আরো উৎফুল্ল করবে, তাদের কিছু সুযোগ দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, যে দল নির্বাচন করে না, তারা তো গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন করায় অভ্যস্ত না। যেসব জরিপ আন্তর্জাতিকভাবে হয়েছিল তাতে স্পষ্ট ছিল বিএনপি নির্বাচন করলে কখনো সরকার গঠন করার মতো সাফল্য অর্জন করবে না। সেরকম সিটও তারা পাবে না। আওয়ামী লীগের বেলায় সার্ভে ছিল, শুধু একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগ পর্যাপ্ত সিট পাবে। এ কথা শোনার পর তারা নির্বাচনে আসবে না, এটা তো স্বাভাবিক। তাছাড়া ওদের সৃষ্টি হয়েছিল অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের পকেট থেকে। তারা জানে ক্ষমতায় বসে নির্বাচন করতে। জনগণের ভোট চুরি করা, নির্বাচনে কারচুপি করা, এসব কালচার বিএনপির আমলেই সৃষ্টি। তারা ওটাই ভালো বুঝত।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আগের চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। ১৩ সালে এভাবে মেরেছিল। সেই একই চিত্র আমরা আবার দেখলাম। তারা বলে ওখানে উসকানি দেওয়া হয়েছিল। যে অঞ্চলে পুলিশকে মারল সেখানে আওয়ামী লীগের কেউ ছিলই না। ওরাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করে। গাড়ি পোড়ায়। প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জাজেস কোয়ার্টার, সাংবাদিক, কেউ ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আমাদের মহিলারা মিছিল নিয়ে আসছিল, তাদের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে কাঁদে। তাদের মুরুব্বিদের কথামতো আবার কান্নাকাটি। তারা বলে সেটা উসকানি, আসলে উসকানিটা দিল কে? উসকানি দেওয়ার মতো তো কেউ ছিল না। পুলিশ তখন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। এরা এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটাবে, ঘটাতেই থাকবে। দুর্নীতি করা আর মানুষ খুন করা, এটাই হচ্ছে বিএনপির চরিত্র।

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির

জাতীয়, 19 August 2023, 700 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির। আজ ১৮ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে পার্বতীপুরের পুরাতন বাজার তিলাই নদীর রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন-চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের রানীবন্দর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুল মজিদ ওরফে বাবুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০) ও নাতনী মো. সাপিয়ার রহমানের মেয়ে সাথী (৭)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দাদি মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে নিয়ে পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নামাপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। সকালে মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় চারজন তিলাই নদীর রেল সেতু পার হওয়ার সময় দুইজন নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও দাদি ও নাতনি দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির ধাক্কায় মারা যায়।

পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নুরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘আমার লাশটা আপনারা বাড়িতে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন’

জাতীয়, 22 July 2023, 697 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২১ জুলাই শুক্রবার একাদশ দিনের মতো আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে যেয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে দাবি আদায় করতে গিয়ে রক্ত দেব, জীবন দেব।

আন্দোলন করতে যেয়ে মারা গেলে আপনারা আমার লাশটা বাড়ির স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া এসব কথা বলেন।
সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ চাই’ মিছিলে স্লোগানে মুখরিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।

সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে।

আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবি পূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে অব্যাহত রয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’

শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ওপর শিক্ষক সমাজের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। তিনি শিক্ষকদের মন্ত্রী নন। এ কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। শিক্ষকরা সাড়ে চার বছরে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়ে বৈঠক করেছেন। কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন। অথচ কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ নেই। আসলে তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরাও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কোনো বাছবিচার ছাড়াই বলে দিলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। এমনকি এও বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের সাফ কথা, ৬ শ স্কুল-কলেজ এই সরকার যার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করেছে, সেটিই হবে এমপিওভুক্ত সাড়ে ৯ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মানদণ্ড।

সমাবেশস্থলে বক্তৃতা শেষে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। একজন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক চাকরির শুরুতে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সরকারি স্কুলে দেওয়া হয় ১৬ হাজার। তারা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব-ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়) বা বোনাস পেলেও বেসরকারিতে দেওয়া হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সব চাকরিজীবী এমনকি এনজিও কর্মীদেরও শতভাগ উৎসব-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসা ভাতা এক মাসে ৫০০ টাকা পান তারা। যেখানে একজন ডাক্তারের ভিজিট সর্বনিম্ন ৬০০, ৮০০ বা ১০০০ টাকা, সেখানে একটি পরিবারকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দেওয়া হয় দেড় হাজার। আবার বাড়িভাড়া বাবদ এক মাসে এক হাজার টাকা পান। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪৫-৫০ শতাংশ দেওয়া হয়।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরো অনেক ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছেন। তাদের কোনো বদলি নেই। অনেকে পরিবার এবং বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু দূরে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু বদলি হয়ে নিজ এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এককালীন অবসর-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি জীবনে অবসর খাতে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ খাতে ৪ শতাংশ মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। অথচ অবসরে গেলে এককালীন কিছু টাকা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই টাকা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর সময়মতো অবসরের টাকা না পেয়ে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না।

অবসরে গিয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। অনেকে পেনশনের টাকা ভোগ না করেই মারা যান।

শিক্ষকরা আরো জানান, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এসব কষ্ট বা দুর্দশার কথা আমলে নেয়নি। তাই এখন লাখ লাখ শিক্ষক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান করছে। এখন একটাই দাবি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ করলে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি কোনো বৈষম্য আর থাকবে না।

পবিত্র শাবান মাসের চাঁদা দেখা গেছে

জাতীয়, 11 February 2024, 431 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে।

আজ ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

শবে বরাতের পরদিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। তাই এবার ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) এ ছুটি পড়ছে।

শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়ে থাকে। আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে এই রাতে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।