চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় ডোবার পানিতে ডুবে মিনহাজ নামে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিহত মিনহাজ খেলা করার সময় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় মিনহাজ।
স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে তাকে ভাসতে দেখে। দ্রুত উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাহিদূজ্জামান সূর্য জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি কেনাবেচা চক্র। বিত্তবান কিডনি গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনি প্রতি ৫০ লাখ টাকা চুক্তি করলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন তারা। চক্রটি অবৈধ উপায়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকা থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব–১।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– চক্রের মূলহোতা আনিছুর রহমান ও তার চার সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন। তাদের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রের সদস্যরা। কখনও তারা বলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটির বেশি কিডনি দরকার নেই। কখনও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসার খরচ দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে যেতেন। টাকার লোভে কিডনি হারিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে অসহায় মানুষগুলো।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন টাঙ্গাইলের আনিছুর। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হন তিনি। পরে দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানে ভারতে অবস্থানরত কিডনি কেনাবেচা চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র গড়ে তোলেন। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জীবন বাঁচাতে কিডনি ক্রেতারা ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকার থেকে চার–পাঁচ লাখ টাকা পান ডোনার। আর দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্টসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ৫-১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ হয়।
‘চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। দ্বিতীয় গ্রুপ দেশে থাকা মূলহোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয় তদারকি করে।’
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ এবং তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হাতে প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসতেন। চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন।
সম্প্রতি সরকারি একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতারণার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এই প্রতারণার সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, না..। তাদের জড়িত থাকার এমন কোনো তথ্য পায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে আকাশ (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়।
আকাশ গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামের কুমার পাড়ার রহিদুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় করমদী ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে আকাশ তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এক সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক দেয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ না হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নগরকান্দা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলাম অফিস থেকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহার মোটর সাইকেল যোগে ফরিদপুরের যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাটকৃষ্ণপুর সড়কের স্বাধীপুর ব্রিজে ঢাল ওঠার সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, আইরিন ফরিদপুর শহরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে ফরিদপুরের বাসায় পথে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৩ জুন রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।
বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।