চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অটোরিক্সার চালকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত চারজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সড়কের আদু মাস্টার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়াচর গ্রামের অটোরিক্সা চালক মো. আলম মিয়া (৪২) ও হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (২৪)। সম্পর্কে তারা দাদা-নাতি। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে আসা অটোরিক্সার সঙ্গে বিপরীতমুখী বালুবাহী একটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
এতে অটোরিক্সাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে চালকসহ দুজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত আরো দুজনকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন ওই দুজনেরও মৃত্যু হয়।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুবই নিস্তব্ধ ও সুনসান নীরব দুলালপুর গ্রামটি। লালমাটির ওপর তৈরি পাঁকা সড়ক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দুই পাশে দেখা যায় হরেক রকমের বাগান। আর সেখানেই স্থানীয় আলমগীর ভূঞা গড়ে তুলেছেন চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক রঙিন কমলা। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম দুলালপুর। ২০১৯ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে চায়না জাতের কমলা বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসফেরত আলমগীর ভূঞা এই এলাকায় সর্বপ্রথম চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান চাষের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলক চাষেই তিনি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে দুলালপুরের এই কমলা বাগান। বিভিন্ন হণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আলমগীর ভূঞা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছিলেন। কমলা বাগানে কর্মরত মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলমগীর ভূঞা দুই বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের কমলার চাষ করছেন। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ১৭৫টি গাছ। তবে বাগানে পরিচর্যা ও যত্নে দিতে হয় অক্লান্ত শ্রম ও অর্থ। দুই বিঘা জমির কমলা চাষে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় যত্ন ভালো হওয়ায় ও স্থানীয় কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শে ১৬ খেকে ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা রাসেলের। জানা যায়, আলমগীর মিয়ার চাষ দেখে অনেকেই এখন কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে বিষ্ণপুর গ্রামে এখন পাঁচজন কমলাচাষ করছেন। তারা হলেন—ছতুরপুর গ্রামের খোকন মিয়া, মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, কালু মিয়া, ইগরতলির তৈয়বুর রহমান।
কথা হয় আরেক কমলা চাষি মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরেছেন চার বছর আগে। এলাকায় ফিরেই চাষাবাদ শুরু করেন। গত মৌসুমে আলমগীর মিয়াকে দেখেই নতুন উদ্যোক্তা হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের রঙিন কমলা চাষ করেন। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো মুনাফা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নুরুজ্জামান।
বাগানে প্রবেশ করলেই বাশের বেড়া দিয়ে বানানো হয়েছে একটি ছোট ঘর। তার পাশেই টেবিল চেয়ার ও মাপ নির্ধারণের জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসে রয়েছেন বাগানের কর্মরত লোকজন। পাশেই একটি বিশাল ঝুড়িতে রাখা আছে কমলা। বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অথবা কমলা নিতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেই ঝুড়িতে কমলাগুলো বাছাই করে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী অথবা দর্শনার্থী সবার কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় রঙিন কমলা। তবে অনেকেই আবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সেই কমলাগুলো পাকাপোক্ত হওয়ার আগেই এমন দরে বিক্রি করছে। বাগানের ভেতর ঢুকতেই দেখা মিলে মনোমুগ্ধকর অপূর্ব দৃশ্য। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন রঙিন কমলাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল উদুদ জানান, বিজয়নগর কৃষিতে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় নানা সবজি ও ফলমূল আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে। কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগন, আম, আনারস, বড়ই, গ্রিন মাল্টা চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না কমলা চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কমলা চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৯ বিঘা জমিতে চায়না কমলা আবাদ করেছেন পাঁচজন কৃষক। এ বছর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এই পাঁচ বাগানে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে আশা করি সেটি ছাড়িয়ে যাবে এবং সামনে কমলার বাগান আরও বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ মনে করেন।
এদিকে কমলা বাগানগুলো এখন ভ্রমণের স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। রঙিন কমলার স্বাদ নিতে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রতিনিয়ত। বাগান পরিদর্শন শেষে টাটকা কমলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
বাগানে ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, ফেসবুকের ছবি দেখে বাগানে এসেছেন নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে। কমলা বাগান দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়েছেন। এই বাগানের কমলা খেতে নাকি বেশ সুস্বাদু বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে একমত বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদ। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি। আনিসুল হক বলেন, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক, দুই লাখের অধিক বাংলাদেশি বাহরাইনে চাকরি করে। কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন সেখানকার রাজা কোনো পার্থক্য করেননি বাহরাইনি ও বাঙালির মধ্যে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায়, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক আছে। তিনি আরো বলেন, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবো বলেই আজকের আলাপ-আলোচনায় একমত হয়েছি আমরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করে অবৈধভাবে আইসক্রিম উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে এক কারখানার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।
আজ ১৯ জুন সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব ৬ এর যৌথ অভিযানে ফকিরহাটের শ্যামবাগাত এলাকায় ওই আইসক্রিম কারখানায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন আইসক্রিম ও আইসক্রিম তৈরির মালামাল ধ্বংস করা হয়।
বাগেরহাটের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় ‘নিউ ভিভো আইসক্রিম’ নামে একটি কারখানায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই লোগো ব্যবহার করে অবৈধভাবে আইসক্রিম উৎপাদন ও বিক্রির খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব ৬ এর যৌথ অভিযান চালানো হয়।
এসময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কারখানার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে। একই সাথে ওই আইসক্রিম কারখানায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন আইসক্রিম ও আইসক্রিম তৈরির মালামাল ধ্বংস করা হয়।
এসময় র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানির কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. রাসেলের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। আজ ১০ মার্চ সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
এদিকে, রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে এখন পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা।
শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান।
ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী সানজিদা আক্তার (৩০) মারা গেছেন। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
গতকাল বুধবার রাতে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে তার স্বজনরা জানান।
চিকিৎসকরা বলেন, রোগীর নিউমোনিয়া ও ভাইরাসজনিত সমস্যা অনেকটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। তবে স্থুলতা ও কিডনি সমস্যা ছিলো। অন্যান্য সমস্যার কারণে বাঁচানো যায়নি তাকে।
গত ১২ জানুয়ারি এই নারীর এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিলো না।
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের ‘ছেলে’ হিরু গ্রেফতার
এ ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলা হলেও পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নিয়ে সতর্কতাও জারি করে।
গত ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়— চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।