চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন কলার ছড়ি প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন আম প্রতীক এবং জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরণ-বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি বলেন, আপনারা সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। নতুবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আপনাদেরকে জরিমানাসহ আইনি ঝামেলায় পরতে হতে পারে। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন আচরণ-বিধি মেনে চলেন। আমরা সকলের সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেব।
এদিকে প্রতীক পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি। আমি আশা করি জনগণের ভালবাসায় উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমি এরশাদ ও রওশন এরশাদের অনুসারী জাতীয় পার্টি করি। এর আগেও আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দুইবার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার জাতীয় পার্টি দুইভাগে বিভক্ত হওয়ায় আমি দলীয় প্রতীক চাইনি। আমাদের অনুসারীদের পছন্দে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কলার ছড়ি বিজয়ী হবে।
উল্লেখ্য এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করলে এই সংসদীয় আসনটি শুন্য হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের এক দিন পর কচুক্ষেত থেকে মো. রাহিম নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২০ জুন শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড় থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. রাহিম (১০) সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার আসাদ আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিশু রাহিম সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়ার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন। পরে ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ির কাছে সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড়ের কচুক্ষেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা শিশুটির স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুর বাবা আসাদ আলী জানান, বছর খানেক আগে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর শিশুটি তার নানি বাড়িতে থাকতেন। শিশুটির মা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার ছেলেকে কারা কী কারণে হত্যা করে থাকতে পারে – এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, নিহত শিশুটির মুখ এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবাসহ মো. কানু মিয়া (৩১) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সদস্যরা।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প।
আটক কানু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা আলাদাউদপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমান কাদের মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের মহরম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কানু মিয়াকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও। এ ঘটনায় কানুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে সজীব মিয়া (২৯) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের তার নিজ বাড়ির ঘরের তীরের সাথে দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।মৃত সজীব উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় তার নিজ ঘরের দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে সজীবকে ঝুলন্ত অবস্থান দেখতে পান।
সজীব দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পারিবারিক ভাবে জানা যায়। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার গতকাল রবিবার সরাইল উপজেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার সহ শিক্ষক মন্ডলী তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট সহ শিক্ষকদের স্টাফ বাথরুম নির্মাণের অপরিহার্যতা ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপন সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তাঁকে অবহিত করেন যে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭শত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ থাকা সত্তেও, মাত্র ৭জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়টির এই দূর্দশা শুনে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘‘শিক্ষা খাতকে’’ সর্বাধিক গুরুত্ব ও বাজেট বরাদ্দ দিয়ে আসছেন। তাই উপজেলা সদরের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠের এই সঙ্কট থাকার কথা নয়। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণ সহ অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্টাফদের বাথরুম নির্মাণ ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপনে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আশ^্যস্থ করেন।