চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ম্যুরালের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ জেড এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রুবেল ও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ খান শ্রাবন।
এছাড়া সভায় জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ম্যুরালটি নির্মাণ ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে জেলার সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সভূক্ত ৯টি সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাকিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম, কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ ইউসুফ খান, ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শহিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বান্দরবান ও থানচিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে ব্যাংক ও ব্যাংকারদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় শঙ্কা প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফলে তাহিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার উঠেছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমান তালিকায় চারবার তার নাম উঠে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে এক শিক্ষার্থীর নাম পাঁচবার উঠে। একই ছবি ও জন্মনিবন্ধন নম্বরে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে পৃথক নাম রয়েছে তালিকায়। এ ধরণের ‘অদ্ভুত’ ফলাফলে নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে হতবাক। তবে কি কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪১ জন ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা সোমবার বিকেলে স্কুলের ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলাফল দেখতে ভীড় জমে। ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায়, তাহিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আটবার ও অপেক্ষমান তালিকায় ছয়বার রয়েছে। ফলাফলে তাহিয়ার একই ছবি রয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর ভিন্ন। তাহিয়ার বাবার নাম রুবেল মিয়া ও মা লাভলী বেগম। তাহিয়ার নাম মেধা তালিকার ৫, ১৩, ১৭, ২৪, ৩২, ৩৬, ৬৬, ৬৭, ৯৮, ১১৬ তে রয়েছে। অপেক্ষমান তালিকার ৮১, ১০৮, ১১৬ ও ১১৮ তে রয়েছে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি নামে আরেক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় তিনবার ও ফারিয়ার আরফা দুইবার রয়েছে। ফারিয়ার ক্ষেত্রে সব ছবি এক থাকলেও নামের ক্ষেত্রে কোথাও ফারিয়া জামান জেসি, ফারিয়া আরফা রয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন নম্বর ও মোবাইল নম্বর একই রয়েছে।
ফারিয়ার বাবার নাম আবু জামিল ও মায়ের নাম তানিয়া আক্তার। ফারিয়ার জামানের নাম ১, ১০৮, ১৩৩, ফারিয়া আরফা নাম মেধাতালিকার ৯৩ ও ১৩৫ এ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক পারভীন আক্তার বলেন, ‘ফলাফল দেখার সময় বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে। তাহিয়া নামে শিক্ষার্থীর নাম দুই তালিকায় ১৪ বার উঠেছে। তবে কিভাবে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
টেকসই উন্নয়ন, অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা আজ ১৫ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় আলোকিত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে এই প্রকল্পের অধিকাংশ শিক্ষক হলেন নারী। এতে প্রকল্পটি নারীর ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখছে।
বক্তারা এই প্রকল্পের আরো উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রকল্পের ৯০জন শিক্ষক, হিন্দু নেতৃবৃন্দ, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবকসহ ১৫০ জন অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ, এমআরপি তে সিগারেট বিড়ি বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল ৩১ মে বুধবার সকালে তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক ও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম. বাবুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী লোকমান হোসেন ও শিপনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রাহিম, এসএম মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে আরো বলেন, তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে উক্ত ভূমিতে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য ফলাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।