চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১টায় শহরের কুমারশীল মোড়ে “আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারে” এর উদ্বোধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, ইনসেপটা ভ্যাকসিন ডিভিশন চট্টগ্রাম বিভাগের চীফ মোঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের কর্ণধার এইচ.এম মুরাদ।
দোয়া পরিচালনা করেন কুমারশীল মোড়ের মদিনা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জুনায়েদ আইয়ূবী।
সভায় বক্তারা বলেন আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যসেবার নব-দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এই সেন্টারে সকল রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
বক্তারা ভ্যাকসিন সেন্টারের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ও বিশেষ করে অভিজ্ঞ নার্সের মাধ্যমে মানুষকে ভ্যাকসিন পুশ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা সভা শেষে অতিথিগন ফিতা কেটে আল শিফা ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ফার্মেসীর মালিকগন ও জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধু সভার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সহমর্মিতার ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঈদের সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, বন্ধু সভার সদস্যরা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন করে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক কিনেছেন। প্রতি বছরই বন্ধুসভার সদস্যরা এই কাজটি করে আসছেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তারা নতুন কাপড় পছন্দ করে কিনে বিতরণ করেন। এবছর বন্ধু সভার সদস্যরা ৩০ হাজার টাকায় ৬০জনের হাতে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সভাপতি তুলি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সদস্য মোঃ মাইনুদ্দিন রুবেল, ইকবাল হোসেন, সাদ হোসেন, অনন্যা সাহা, মাজহারুল করিম অভি, আরেফিন শোভন, তুহিন ইসলাম, শারমিন আক্তার, সবুজ মোল্লা, জয় ইসলাম, জারা জেনি, তানজিলা আক্তার, শাহরিয়ার তানজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছবিআকাঁ ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু ও ৯ম আর্ট ক্যাম্প, আমাদের গ্রাম বাংলা শীর্ষক আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া সুলতানা এ্যানি, উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্র ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন মিতুল, ঢাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিফাত আমিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক দিপ্ত মোদক।
প্রধান অতিথি বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস বলেছেন, শিশুদের মানবিক মানুষ করে গড়ে তুলতে হলে শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তাদের কে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ছোট বেলার স্মৃতিচারণ করে বলেছেন খালে বিলে, পুকুরে নদীতে সাঁতার কেটে ও গ্রামের যে ফল গাছে উঠে ফল পেড়েছি আর এখন শিশুরা ইট-পাথরের দালান-কোঠায় বসবাস করে ফার্মের মুরগী বানিয়ে ফেলছি।
শিশু নাট্যম যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু এ ভাবনা নিয়ে গ্রামে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা শিশু মেধা বিকাশে ভালো একটি কাজ। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বা প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, আর্টিকেল লিখেননি বা ছবিআকাঁ ও ছবি তুলেননি পৃথিবীতে এমন কবি বা শিল্পী নেই। এ পৃথিবীতে আমরা শিশুদের পুতুল বানিয়ে ফেলেছি, এ জায়গা থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি পল্লী কবি জসীম উদ্দিন ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পূর্বে শিশু নাট্যমের ছবি আঁকা বিভাগের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় দেবনাথ প্রান্ত ও আবদুল্লাহ আল জিহাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে জহির উদ্দিন রানা।
মা-বাবার একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটাতে ১৯ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সেখানকার বেলকম শহরে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
কথা ছিল, ঈদের পর বাড়ি এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে চলছিল প্রস্তুতিও। তবে সব স্বপ্নই ধূলিসাৎ করে দেয় সেদেশের সন্ত্রাসীরা।
গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিহত হন জহির উদ্দিন।
আর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ফরিদ মোল্লার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহির উদ্দিনের বাবা-মা।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার রাতেই জহিরের পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার বাবার নম্বরে ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। এরপর থেকে পরিবারে চলেছে শোকের মাতম।
নিহত জহির উদ্দিনের বাবা ফরিদ মোল্লা ও মাতা আছিয়া খাতুন জানান, তাদের একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান প্রায় দুই দশক আগে। মাঝখানে ১০ বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন। পরিবারকে বলেছিলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে এসে এবারের ঈদের পরই বিয়ে করবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে নিয়ে প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় এখন পরিবারটির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহিরের মা-বাবার একটাই দাবি, প্রিয় সন্তানের মরদেহ যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহত জহির উদ্দিন রানার পরিবারে মা-বাবা ছাড়া তার একটিমাত্র বোন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।