চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হাজেরা নামের চার মাসের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাজেরা বিদ্যাকুট গ্রামের প্রবাসী অলিউল্লার মেয়ে।
শিশুর মা রোমা বেগম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিশুসন্তান হাজেরাকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ২টায় ঘুম থেকে উঠে তিনি টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। তখনো হাজেরা বিছানায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং পাশে তার সন্তান নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বেলা ১২টায় বাড়ির পাশের পুকুরে হাজেরার মরদেহ ভাসতে দেখেন।
নবীনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মো. মকবুল নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য।
গতকাল শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মকবুল ওই ওয়ার্ডের টানচারা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ১১ জুন মকবুলসহ আরো দুজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই নারী তিনজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ২ আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যায় প্রাঙ্গনে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম মোকাদ্দছের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি সুজিত কুমার দেব ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, উপপ্রচার সম্পাদক প্রনয় কুমার ভদ্র।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে এম পি বলেন লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আমার পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার আমি তা করব এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হলে আপনারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকলে মিলে ভোটারদেও স্ব স্ব অবস্থানে গিয়ে বুঝিয়ে ভোট সংগ্রহ জন্য কাজ করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন লাউর ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল্লা আল মাসুম। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রশাদ চত্রবতী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, সাধারণ সম্পাদক মো.মাজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মাটি চুরির অপরাধে এসআই জাহাঙ্গীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় এসআই বাদে ৮ জনকে সমনজারি করেছেন আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের হলে ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নিয়ে আগামী ২ মে আসামিদের সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মো. হাসান উদ্দিন আজ ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে ঘটনার চিত্র তুলে ধরে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়া ও সগির মিয়া, জিনদপুর গ্রামের মামুন মিয়া, আল-আমিন, মো. জসিম, জয়নাল মিয়া, নজরুল মিয়া, পৌর সদর কলেজ পাড়ার ক খ ম হযরত আলী।
বাদী অভিযোগ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাদীর ভিটেবাড়ি ও নাল শ্রেণির ভূমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলির মাধ্যমে রাতেই মাটি চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্যে হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। চুরির ঘটনাটি পুলিশকে জানালে এস আই জাহাঙ্গীর আলম সরজমিন গিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে সোহেল মিয়া বলেন, আমরা মাটি চুরি করি নাই, সরকারি খাল উদ্ধারের মাটি নিলামে কিনে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি কাউকে পাননি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, সরকারি খাল উদ্ধারের দিন বিধি মোতাবেক খালের অংশের মাটিগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চারদিন পরে মাটি চুরি ঘটনা যখন শুনেছি তখন পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর-কড়ইবাড়ি স্থানের দুই পাশে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ভূমিদুস্যু সিন্ডেকেটের দখলে থাকা সরকারি খাল করে উপজেলা প্রশাসন। মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন করায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান এ অভিযান চালান। অভিযানকালে অবৈধ দখলদারদের কাউকে না পেয়ে খালের উপর থাকা অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে দুইপাশের খালের মাঝে থাকা মাটি ভেকু দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি জলাশয় ভরাট। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ জালশুকা গ্রামের মোঃ শওকত, আলি মিয়া, রহিম মিয়া, নান্টু মিয়া ও খবির উদ্দিন জলাশয় ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিএস, আরএস ও বিএসসহ সকল কাগজপত্রে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে পানি প্রবাহিত হওয়ার খাল বিদ্যমান রয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে পুরো ইউনিয়নের লোকজন কৃষি পন্য নৌকা দিয়ে জমি থেকে বাড়িতে আনা-নেওয়া করত। স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালটির বিভিন্ন অংশে দখল করেছেন।
উপজেলার জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জলাশয় ভরাটের দায়ে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি নবীনগর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অভিযুক্তদের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। অভিযানের সময় বালু ভরাট কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাইপ নষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ১ সপ্তাহ পর থেকে জলাশয়টি ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দাবি করে রাতের আধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জালশুকা গ্রামের আবেদ হোসেন ও তার ভাই মোঃ রহমান জলাশয়টি ভরাট করছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি জলাশয়ের পাশে মানুষের চলাচলের জন্য থাকা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭শতক জায়গাও ভরাট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৫ ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবে না।
এ ছাড়া এ ধরনের জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর করা যাবে না। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
ভূমি কার্যালয়ের একটি নথিতে দেখা গেছে, ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১২১ দাগে মানুষের চলাচলের জন্য ১৭শতক চলার পথ রয়েছে। ইতোমধ্যে জায়গাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি জলাশয় রয়েছে। ওই জলাশয়ের নিচের দিকে বেশিরভাগ অংশ বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর দক্ষিণদিকে গোকর্ণ-কৃষ্ণনগর সড়ক সংলগ্ন একটি খাল রয়েছে। তবে ওই খালেরও অনেকটা জায়গা বালু ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করার পরও কিছু অংশে পানি দেখা যায়। ওই জায়গা বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীকে খেলা করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নায়েব মো. রাসেল জানান, অনুমতি না নিয়ে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে জরিমানা করা হয়। তবে যতদূর জানি জরিমানা করার পর জায়গাটিতে আর বালু ফেলা হয়নি।
ভরাটের সাথে যুক্ত আবেদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের অভিযানের পর আমরা আর বালু ফেলিনি। জায়গাটি আমাদের নিজস্ব। স্কুলের মাঠের জন্য এখান থেকে মাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন জলাশয় হয়ে যাওয়ায় অনুমতি না নিয়ে ভরাটের কারণে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। তারা বলছে ভরাটের অনুমতি লাগবে।
এ ব্যাপারে মোঃ রহমান বলেন, ‘এটি খাল বা জলাশয় নয়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া এখানে আমাদের ৪০শতক জমি রয়েছে। আমাদের জমির মাটি দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ এবং গোকর্ণঘাট-কৃষ্ণনগর সড়ক নির্মানের জন্য দেয়া হয়েছে। খালের কোনো জায়গা ভরাট করা হয়নি। বরং আমাদের জমির উপর দিয়ে সেচের পানির নালা গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এলাকায় থাকি না। একটি চক্র আমাদের জমি ভরাটকে জলাশয় ভরাটের নাম দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর থেকে জলাশয় ভরাট বন্ধ রয়েছে। তবে আমি যতদূর জানি এটি তাদের ব্যক্তিগত জায়গা। একসময় জমি ছিল। স্কুলের মাঠ ও রাস্তা নির্মাণের সময় তাদের জমি থেকে মাটি নিয়েছিল। এটাকে এলাকায় মরা ডোবা বলে। বর্তমানে ভরাট বন্ধ আছে। শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদের সাথে যোগাযোগগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে গভর্ণিংবডির সভাপতি, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নাতনি খিলখিল কাজী।
সহকারী শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ও অধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহাম্মদ এর স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমূল হুদা, আশুগঞ্জ একেএম ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. দুলাল মিয়া প্রমুখ।
এ সময় গভর্ণিং বডি সদস্যবৃন্দ, ছাত্র ও শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কবির নাতনি বলেন, তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমরা এখনো তাকে পৌঁছে দিতে পারিনি। বৈচিত্র্যময় জীবনের অধিকারী নজরুল ছেলেবেলায় পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ‘দুখু মিয়া’ নামে। পিতৃহীন কবি একে একে হারিয়েছেন কাছের স্বজনদের। আর্থিক অসচ্ছলতা তার জীবনকে কঠিন করে তুলেছিল। সব বাধা অতিক্রম করে একসময় তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। সাম্য ও মানবতার চেতনায় সমৃদ্ধ ছিল তার লেখনী। কবিতায় বিদ্রোহী সুরের জন্য হয়ে ওঠেন ‘বিদ্রোহী কবি’।
এছাড়াও উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিষারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. সায়েমুল হুদার সভাপতিত্বে কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভায় অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।