চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কলেজ মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পীরজাদা মাওলানা রিয়াজুল করিম আল-কাদরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আতাউর রহমান গিলমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজি, মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, মাওলানা সাহাবুদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুরুল আলম শেখ, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা শেখ নুরুল আলম, যুবসেনার মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাজহারুল হক রাব্বি পাঠান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিসহ সেখানকার মুসলমাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি প্রতীক) সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেছেন, নাসিরনগরে এখন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় নাসিরনগরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের একটা চাপ ছিলো তাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে জনগণের বিরাট সাড়া পাচ্ছি। জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণ এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নেই নির্বাচনী পরিবেশ ভালো। আশাকরি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরিবউল্লাহ সেলিম) আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। বর্তমান পরিবেশ যদি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। তাই আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী মাঠে আমার জন্য কাজ করছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকেও বিপুল সাড়া পাচ্ছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নিরাপদ নাসিরনগর বির্নিমান করবো। নাসিরনগর সরকারি কলেজে অনার্স, মাস্টার্স কোর্স চালু করে শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নয়ন করবো।
তিনি বলেন, নাসিরনগরের জেলেরা উপেক্ষিত। তাদের যে দাবি-দাওয়া গুলো আছে, প্রয়োজনে আমি নিজে জেলে হয়ে জেলেদের দাবি-দাওয়া আদায় করবো। তিনি বলেন, জাল যার জলা তার নীতির ভিত্তিতে জেলেদেরকে সুযোগ-সুবিধা করে দিবো।
তিনি বলেন, সব জায়গায় বিশেষ শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়না। তিনি বলেন, ঢাকায় নাসিরনগরের প্রায় ২ হাজার কুটির শিল্পের উদ্যোক্তা আছে। আমি নির্বাচিত হলে ওই শিল্পটা নাসিরনগরে এনে শিল্পটা প্রসারিত করবো।
নির্বাচনী মাঠ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষের অনবরত হুমকি পাচ্ছি। এর মধ্যে যে গুলো জরুরি মনে করছি সে গুলোর বিষয়ে অভিযোগ করছি। কিছু কিছু বিষয় আমলে নিচ্ছি না। কারণ কিছু বিষয় থাকে সব বিষয় আমলে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমাদের ভোটারদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা বলছে তোমরা যেখানেই ভোট দাও রেজাল্ট আমার পক্ষেই আসবে। এটা ভোটারদের জন্য বড় হুমকি। যার কারণে ভোটাররা মনে করছে ভোট দিয়ে তাহলে কি হবে। ভোট যদি ওরা পাল্টে ফেলে। তখন তাদেরকে আমি বলি আপনারা এ গুলোতে কান দেবেন না। তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়তা দিয়েছেন,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নাসিরনগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা সন্তোষজনক। তবে শেষের কথা এই মূহুর্তে বলতে পারছিনা।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকগণসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্যবাহি শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য।
উপজেলা সদরের কুলিকুন্ডা গ্রামের উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় মাঠে বসে এই মেলা। মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশ জেলা থেকে ভোজন রসিকরা আসেন এই মেলায় শুঁটকি কিনতে। পছন্দের শুঁটকি কিনে ক্রেতারা তৃপ্ত হন। শুঁটকি মেলায় প্রায় দুই শতাধিক জাতের শুঁটকির পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা। এসব শুঁটকির মধ্যে ছিলো বোয়াল, গজার, শোল, বাইম, ছুড়ি, লইট্টা, পুটি ও টেংরাসহ নানা জাতের দেশীয় মাছের শুঁটকি। এছাড়াও মেলায় ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকিও উঠে।
মেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে শুঁটকি নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় সামুদ্রিক অনেক বিরল জাতের মাছের শুঁটকি ছাড়াও ইলিশ ও কার্প জাতীয় মাছের ডিমের শুটকি উঠে।
স্থানীয়রা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামে এই শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তারা বলেন, প্রায় দুইশ বছরেরও অধিক সময় ধরে পহেলা বৈশাখে এখানে শুটকি মেলা বসে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। এই শুঁটকি মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য। ভোরে মেলা বসার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত বিনিময়ের মাধ্যমে চলে বেচা কেনা। এ কারণেই ধারণা করা হয় এই মেলার ইতিহাস অনেক পুরনো।
মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়া ও উপজেলার নুরপুর গ্রামের মতি মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন বাপ-দাদার সাথে এই মেলা এসেছি। এবারো শুঁটকি কেনার জন্য মেলায় আসছি।
উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান সর্দার বলেন, এখানে শত বছরের বেশী সময় ধরে নিয়মিত ভাবে এই মেলা বসছে। এই মেলায় এখনো বিনিময় প্রথা চালু থাকায় আমরা ধারণা করছি, এ মেলা আদিম কালের। এই মেলা আমাদের কুলিকুন্ডা গ্রামের ঐতিহ্য বহন করে।
মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের মহব্বত আলী বলেন, প্রাচীনকালে যখন কাগজের মুদ্রা প্রচলন হয়নি তখন থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে এখান থেকে শুঁটকি কিনতেন। কালের বির্বতনে এই মেলার জৌলুস অনেকটা কমেছে। হ্রাস পেয়েছে বিনিময় প্রথাও। তিনি বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে এই মেলায় শুঁটকি কেনার জন্যে এসেছি। ছোট বেলায় বাবার সাথে এই মেলায় আসতাম।
মেলায় শুঁটকি নিয়ে আসা ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে হ্রাস পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিনিময় প্রথা। এখন নামে মাত্র এই প্রথা চালু আছে। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরই শুঁটকি নিয়ে মেলায় আসি।
স্থানীয়রা জানান, একদিনের মেলায় লাখ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা শুঁটকি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যায়। এছাড়াও মেলায় গৃহস্থালী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা বিক্রি হয়। তবে এবার শুঁটকির আমদানি বেশী হলেও দাম ছিল চড়া।
মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওহাব আলী জানান, বিনিময় প্রথার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যে আজো অল্প পরিসরে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে কিছুক্ষনের জন্যে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে শুঁটকি বেচা-কেনা শুরু হয়। পরে চলে টাকা দিয়ে বেচা-কেনা।
তিনি জানান, “বাংলা পুঞ্জিকা অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সহ আশপাশের জমিতে বসে ঐহিত্যবাহী শুটকি মেলা। তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শুনেছি, মোগল আমল থেকেই এখানে শুঁটকি মেলা হয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক হলেন শাওন রায় টিটন ও সদস্য সচিব কাঞ্চন ভূইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টি উপজেলা শাখার আহ্বায়ক শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম।
গতকাল সোমবার জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ঝুটন ও সদস্য সচিব ফয়সাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান নাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, নিয়ামুল খান, ডায়মুল ইসলাম, দুলন, ইসমাইল আলী, জিসান, আবুল কাসেম, সাকিব আহম্মেদ ও আমিরুল হক জমির।
সদস্যরা হলেন- শরিফ মিয়া, ফাইজুল ইসলাম, রবিন চৌধুরী, জাবের মিয়া, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার মিয়া, খোরশেদ মিয়া, শেখ রুবেল, টিটু মিয়া, মোস্তাক মিয়া, আশরাফুল, শরিফুল মিয়া, রতন দাস, হৃদয়, জাবেদ হুসাইন, মোহাম্মদ নয়ন, এমরান হুসাইন, নয়ন দাস, রাজিব মিয়া প্রমুখ।
জেলা ছাত্রসমাজের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই আহ্বায়ক কমিটির চিঠি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে একটি সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রসমাজের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নাসিরনগর উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় ও মাসিক সমন্বয় সভার মধ্যদিয়েই প্রথম সরকারি কাজ শুরু করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান সুখন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান সুখন।
আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন।
প্রধান অতিথি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি বলেন সরকারের সকল পরিকল্পনা ও সেবা তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরো বলেন অপরাধ প্রবণতা বন্ধে ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সকলের সহযোগিতায় এ উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আমি এ উপজেলাকে গড়ে তুলব শান্তিময়, সুন্দর উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকল কর্মকর্তাকে জনগনের সেবক হিসেবে দাপ্তরিক সেবা প্রদানসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এরপর সংসদ সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দেন।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার। তিনি জানান, আহত সবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বায়জিদ মিয়া, মো. শাহআলম মিয়া, খাদিজা আক্তার, লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম, অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়া। এর মধ্যে লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম,অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ থেকে পালকি পরিবহনের একটি ঢাকাগামী বাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা লাখাইগামী সিএনজি অটোরিকশা আশুরাইল এলাকায় আসার পর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সায় থাকা সকল যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় নারী-শিশুসহ নয়জনকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
ওসি হাবিবুল্লা সরকার জানান, দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।