চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর-ভবানীপুর সংযোগ সেতুর ভবানীপুর খালের পাশ থেকে নবজাতকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর খালের পাশে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, কে বা কারা কখন নবজাতক ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে তা জানা যায়নি। জন্মের পর হয়তোব কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল করিম নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার আলমনগর সড়কে অটোরিক্সা উল্টে গিয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে বিকেল আড়াইটার দিকে নরসিংদী এলাকায় তিনি মারা যান। নিহতের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন।
নিহতের ছেলে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয় জানান, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে একটি অটোরিক্সা যোগে আশুগঞ্জ বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় আলমনগর রোডে আরেকটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে তাকে বহন করা অটোরিক্সাটি উল্টে যায়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে নরসিংদী পৌঁছলে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাল গালিচায় হেটে প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে আসলেন আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: এমদাদুল হক। এসময় দু’পাশে দাড়িয়ে ফুল ছিটিয়ে দেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী। বাদ্যযন্ত্রে তখন বিদায়ের সুর। রোভার স্কাউট দলের এ আয়োজন ছাড়াও দিনভর কলেজে নানান আয়োজনে গুনী এই শিক্ষককে বিদায় জানানো হয়।
এমদাদুল হক কলেজটিতে তার ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টেনেছেন বৃহস্পতিবার। প্রিয় শিক্ষকের অবসর জনিত ছুটির এই দিনে অশ্রুসজল ছিলেন সবাই। এদিন সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যােগে বিভাগীয় প্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয় প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউসার পারভীন। বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান শামসুল আলম আরিফ ও মোশাররফ হোসেন, প্রভাষক সানজিদা বেগম ও ফাতেমা বেগম।
সঞ্চালনা করেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মিয়া। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রভাষক মাহমুদুল হাসান। এরপর বেলা সাড়ে ১২ টায় কলেজের উদ্যোগে উত্তরা ভবনে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয় এমদাদুল হককে। বিভাগীয় প্রধান খন্দকার মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউসার পারভীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সাফিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জিন্নাহ, সাবেক উপাধ্যক্ষ আহমদ উল্লাহ খন্দকার,সাবেক বিভাগীয় প্রধান শামসুল আলম শাহিন, সাবেক শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মিলন। বক্তব্য রাখেন প্রভাষক আবু হানিফ, প্রভাষক রাশেদ মোশাররফ।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রভাষক আশরাফুল আজিজ। কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রভাষক আবু নাঈম। গীতা পাঠ করেন প্রভাষক সমরেন্দ্র পাল। এসব অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এমদাদুল হক ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। কলেজের শিক্ষার সুনাম ছড়িয়ে দেয়ার অগ্রণী নায়ক। শিক্ষার্থীদের তার নীতি আদর্শ অনুসরন করে চলার আহবান জানানো হয়। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উপহার প্রদান করা হয় তাকে। এমদাদুল হক ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। সুনামের সাথে দীর্ঘ শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও শেষ কর্ম দিবস পর্যন্ত উপাধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও কলেজের রসায়ন বিষয়ের প্রভাষক ননী গোপাল দাসকে এদিন বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় ঔষধসহ বাবুল আহমেদ (২৬) ও রুবেল আহমেদ (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ঔষধ বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান ও জব্দ করা হয়। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাবুল আহমেদ সিলেট জেলার জৈয়ন্তাপুর উপজেলার রামপ্রসাদ গ্রামের আবদুন নূরের ছেলে ও রুবেল মিয়া একই গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। পরে তাদের কাভার্ডভ্যান তল্লাশী চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ ৯৬ হাজার পিস Diclo-m ট্যাবলেট, ৩৫৫ পিস Practin সিরাপ ও ১ লাখ ৮০ হাজার পিস Dekxon ট্যাবলেট ও ৩ লাখ ৬৮ হাজার পিস Cyproheptadin ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে ঔষধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ঔষধ আনা হয়েছে বিধায় তাদেরকে গ্রেফতার ও ঔষধ ও বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশুগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো মোজাম্মেল হক, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, লালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিয়া, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী, হাজী আব্দুল জলিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, চরচারতলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞান শিক্ষাকে বিকশিত করতে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, এই সরকার বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮টি ষ্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড।
ইউএনও ইফরান উদ্দিন অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার নামে নিবন্ধিত থাকা বাংলালিংকের একটি সিম অফিসের কর্মচারী জালালকে দিয়েছিলাম। এনআইডি কার্ড পাচ্ছিল না, তার নামে সিম নিবন্ধন করা যাচ্ছিল না বলে আমারটা দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে কিনে আনা একটি মোবাইল ফোনে সে সিমটি ব্যবহার করে। বিষয়টি যে এত দূর গড়াবে বুঝতে পারিনি।
এ ঘটনায় ভবিষ্যতের জন্য আমার একটা শিক্ষা হয়ে গেল। আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে।’
এদিকে আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি বেশ চাপে আছেন। মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসার জন্য থানা থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির ফয়সালা হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আশিকুর রহমান তার মামলায় ও এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামার একটি ইটভাটার সামনে থেকে তার স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস ছিনতাই হয়। তবে ছিনতাই মামলা পুলিশ নিতে চাইবে না বলে এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি তদন্ত করেন আশুগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। পুলিশের তদন্তে মুঠোফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আসামির নাম হিসেবে ইরফান উদ্দিনের (ইউএনও) নাম আসে।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলার আসামি হিসেবে ইউএনওর নাম আসার বিষয়টি আমিও নিশ্চিত হই। অফিস কর্মচারী ফয়সাল ফোনটি দেবে দেবে করে দেননি। উল্টো ফোনের কাগজপত্র দেওয়াসহ নানা কথা বলতে থাকেন। পরে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়েছে।’
হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধারের তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ওই ফোনে ব্যবহার হওয়া সিমটি ইউএনওর নামে। বাদী অভিযোগ করেছিলেন ফোন হারিয়েছে। এখন একজন সেটি পেয়ে ফেরত দিয়েছে। বাদীকে বলার পর তিনি সেটি নিচ্ছেন না।’