অনলাইন ডেস্ক :
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, আমরা শোকে মর্মাহত। আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে গাজায় আমাদের ২৯ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। এই সহকর্মীদের অর্ধেকই ছিলেন ইউএনআরডব্লিউএর শিক্ষক।
গত শনিবার এক পোস্টে তারা ১৭ কর্মীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল যা এখন বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়ালো।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ সংস্থার স্কুলগুলোতে ১২ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর প্রায় ৩৮টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় মজুদ জ্বালানি তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জ্বালানি ছাড়া পানি থাকবে না, কোনো কার্যকরী হাসপাতাল ও বেকারি থাকবে না। জ্বালানি ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অনেক বেসামরিক মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছাবে না। জ্বালানি ছাড়া কোনো মানবিক সহায়তা করা যাবে না।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টের একটি টার্মিনাল থেকে ছয়টি ট্রাক জ্বালানি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু তা গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দাদের দৈনন্দিন চাহিদার সিকি ভাগও নয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ বিশ্ব হিজাব দিবস। হিজাবভীতির বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে ও হিজাবের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতে দিবসটি পালিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে তা উদযাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের নারীরা দিবসটি উদযাপনে অংশ নেন।
এই বছর দিবসটির ১২তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য #VeiledInStrength অর্থাৎ শক্তিতে আবৃত।
দিবসটি উদযাপনকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে জানিয়েছে, ‘হিজাব দিবসের লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে, পারষ্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও সংহতি বৃদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অনুশীলন সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা। পোশাক ও অভিব্যক্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত পছন্দের বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা ও সচেতনতা প্রচার করতে দিবসটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। সেখানে গিয়ে হিজাব পরা শুরু করেন তিনি।
কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখি হন তিনি। তখন থেকে হিজাবের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্য ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে (ডাব্লিওএইচডি)-এর উদ্যোগে দিবসটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আরবি ভাষায় হিজাবের শাব্দিক অর্থ, বিভাজন বা পর্দা। ইসলামী শরিয়ত অনুসারে মুসলিম নারীদের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখার বাধ্য-বাধ্যকতা রয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের হিজাব পরা নিয়ে বাধা-বিপত্তি থাকলেও তা অনেক নারীর জন্য আশা ও অগ্রগতির প্রতীক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক নেত্রী তুলসী গ্যাবার্ড। দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট বুধবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি পদে নিয়োগ দেয় তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সিআইএ এবং এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ১৮টি। এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি এবং এ সংস্থাগুলো জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের কাছে জববাদিহিতা করে। জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হিসেবে এখন থেকে এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থা দেখভালের দায়িত্ব পেলেন তুলসী।
তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান করা হবে কি না- এ প্রশ্নে ভোট হয়েছিল সিনেটে। এই কক্ষের মোট ১০০ জন সদস্যের ৫২ জন তাকে এ পদে নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তুলসী গ্যাবার্ডের জন্ম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুদূরবর্তী অঙ্গরাজ্য অ্যামেরিকান সামোয়ার বৃহত্তম শহর তুতুলিয়ায়। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং বর্তমানের বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেট সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো সিনেট নির্বাচন হয়েছে, প্রতিটিতেই তিনি জয় পেয়েছেন।
হাইস্কুল পাশের পর তিনি হাওয়াইয়ের লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু পড়া শেষ না করেই সেই কলেজ ছেড়ে দিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তিনি। পরের বছর মার্কিন সেনাবাহিনীর মেডিকেল শাখার সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশ নিতে ইরাকে সফর করেন তিনি। ইরাক থেকে ফেরার পর ২০০৯ সালে হাওয়াই প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নেন তুলসী।
পেশাগত জীবনের প্রায় পুরো সময়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসগারীয় ইউনিটে কর্মরত ছিলেন তুলসী। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেয়ে সামরিক বাহিনীর মেডিকেল ইউনিট, পুলিশ ও অন্যান্য দাফতরিক শাখায় বেশি সময় থেকেছেন তিনি। সামারিক বাহিনীতে তার সর্বশেষ পদবী ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রথমে ডেমোক্রেটিক পার্টিতেই তুলসী যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধিত্বও করেছেন তিনি। ২০২২ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে সরে দাঁড়ান তুলসী, তারপর ২০২৪ সালে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চেয়ে তুলসী ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু কিছুদিন প্রচারাভিযান চালানোর পর নিজে থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদ বাগানো তুলসীর জন্য খুবই কঠিন ছিল। রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ট্রাম্পকে সমর্থনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে এই পদ দেওয়া হয়েছে তুলসীকে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির হোদেইদা বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ওয়াশিংটন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলাকে ‘আমেরিকান আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছে। চ্যানেলটি জানায়, লোহিত সাগর উপকূলে হোদেইদা বিমানবন্দর লক্ষ্য করে তিনবার হামলা চালানো হয়েছে।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অবিরাম অভিযান’ চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের ধ্বংস করার হুমকি দেন। পরে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের টেলিভিশন চ্যানেলটি বিমানবন্দরে হামলার তথ্য দেয়।
১৫ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে মুহুর্মুহু বিমান হামলার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, এসব হামলায় সিনিয়র হুথি নেতারা নিহত হয়েছেন।
বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওইদিন ইয়েমেনে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।
লোহিত সাগরে চলাচলকারী সব ইসরায়েলি জাহাজের ওপর হুথি বিদ্রোহীদের নতুন করে হামলার হুমকির পরই যুক্তরাষ্ট্র হুথি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে। সূত্র: সিনহুয়া, তেহরান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
রাতের আঁধারে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র (ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহান) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই হামলার উদ্দেশ্য ইরানের সরকার বদল করা নয় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান। তার মতে, মার্কিন হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র ইরানের পরমাণু হুমকি ঠেকানো, এই অভিযানের উদ্দেশ্য কখনোই সরকার পতনের ছিল না, এখনো না।
আজ ২৩ জুন সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বাহিনীর হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র পরমাণু হুমকি ঠেকানো, সরকার পরিবর্তন নয় বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ অভিযানের উদ্দেশ্য কখনোই সরকার পতন ছিলো না, এখনো না। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ছিলেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ-এর চেয়ারম্যান এয়ারফোর্স জেনারেল ড্যান কেইন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনে মার্কিন বাহিনী ফোর্দো, নাতাঞ্জা ও ইসফাহান-এ অবস্থিত ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ‘নির্ভুল ও পরিকল্পিত হামলা’ চালায়। হেগসেথ বলেন, এই হামলা “যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা” এবং “আমাদের সেনাদের সুরক্ষা” নিশ্চিত করতেই চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কার্যত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এটিকে ‘দুঃসাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি প্রমাণ করেছে-যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি কেবল কথা নয়, কাজেও রূপ নেয়।
হেগসেথ নিশ্চিত করেন, হামলার লক্ষ্য ইরানি সেনা বা জনগণ ছিলো না। কেবলমাত্র ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে ধ্বংস করাই ছিল উদ্দেশ্য।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেছেন ট্যামি ব্রুস।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, “বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক—যেমন ঢাকার একটি ছবিতে দেখা গেছে—তাও প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।”
জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো— ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন — এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি — বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে— যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।”
ট্যামি ব্রুস আরো বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে— তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।