চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চার মণ ভারতীয় গাঁজাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে সৈয়দবাদ বাসস্ট্যান্ড অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৮), পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯) ও ফুলতলী গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া ওরফে মহারাজ (৩৬)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে গাঁজার একটি বড় চালান আসছে। পরে পুলিশ সৈয়দবাদ বাসস্ট্যান্ডে অভিযানে গেলে ভাই ভাই ট্রান্সপোর্টের (ঢাকা মেট্রো-ন ২০-৬১৫৩) বড় একটি কাভার্ড ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। পুলিশের সন্দেহ হলে ভ্যানের ভেতর তল্লাশির কথা বললে চালকসহ চোরাকারবারিরা গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের তিনজনকেই আটক করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্যানের ভেতর নয়টি পাটের বস্তা ও তিনটি কালো বড় ট্রলি ব্যাগের ভেতরে থাকা ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি কাঠের পুল এলাকায় প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কজাত করায় এক অটো রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে দেখেন- স্থানীয় বাসিন্দা মো. শামীম (৫০) তার অটো রাইস মিলে সরকারি নির্দেশনা না মেনে চাল প্লাস্টিকের বস্তায় প্যাকেজিং করছেন। জাতীয় পাটনীতি ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে পরিবেশবান্ধব পাটজাত বস্তা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ আইন লঙ্ঘন করায় মো. শামীমকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনায় উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করেন কসবা উপজেলার পাট পরিদর্শক মো. আবদুল হান্নান এবং কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিস।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, সরকার পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এ নিয়ম না মানলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৩ জুলাই শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় গুদামের মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।
কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহাম্মেদ জানান, শনিবার রাতে নয়নপুর বাজারের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান ও অমিত হাসান জয়ের গোডাউন থেকে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর চলমান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জান-মাল ও নিরাপত্তায় উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা পৌরশহরে শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরে এই সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রীতি সভায় সভাপত্বিত করেন গোবিন্দ জিউর মন্দিরের সভাপতি দিলীপ চন্দ্র রায়।
এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইলিয়াস, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকলিল আজম, উপজেলা বিএপি সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন, পৌর বিএনপি আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান দীপু, সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল ও জেলা ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।
এসময় উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ সকল অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দ জিউর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা, সহ সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহাসহ অন্যরা।
সভায় বক্তাগণ বলেন, চলমান সহিংসতায় আমাদের দলীয় লোকজন দ্বারা আপনার কোনো প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আমরা হিন্দু মুসলিম যুগ যুগ ধরে একসাথে বসবাস করছি। আমরা একে অপররের ভাই ভাই। আমরা আপনাদের পাশে আগেও ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীগণ হিন্দু সম্প্রদায়ের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পুলিশের অভিযানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার বাগমারা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে শহিদ (৫৭), চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইজের বাড়ি এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২০), একই জেলার কচুয়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাদরাসা এলাকার আলী এক্কাবর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মাঠখোলা বাজার এলাকার রফিক হাসান ওরফে রবির ছেলে মো. জনি মিয়া (২১)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।