অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম চারজনের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাত্রিকালীন নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি, মেস ও হোটেলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে হরতাল চলাকালে রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। এর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এর ফলে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদিকে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রোববারের হরতালে নাশকতার বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশসহ সব ইউনিটকে। একই সঙ্গে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। শনিবার মহাসমাবেশে পুলিশ হত্যা, পুলিশ আহত, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ি, মেস, হোটেলে রেড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। রাস্তায় চেকপোস্ট আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। কমপক্ষে চারজন পুলিশকে অস্ত্রসহ টহল দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বার ও আবাসিক হোটেলগুলোর রেজিস্টার চেক করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। পুলিশ ও র্যাবের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছে রোবাস্ট পেট্রোল ডিউটি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় থাকা সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে না পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও। পুলিশের সব সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবারের মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাইবার মনিটরিং থেকে শুরু করে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। রবিবারের হরতালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবারের ঘটনার পর হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। রবিবারের হরতালে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র্যাব। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যারা মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। র্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত, শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন। অন্তত ১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি, কাকরাইল চার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৪.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ ১২ মে শুক্রবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘পরিবর্তনগুলো এতই বেশি ছিল যে, তখন যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (নাম) রাখা হতো, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইন হতো। এটি বিভ্রান্তিকর হতো। এ জন্য এটিকে সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা এবং সেগুলোর শাস্তি এখন কী হবে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে দিতে আদালত বাধ্য। কিন্তু সেখানে চিন্তাভাবনা করা হবে, এই (প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন) আইনে যেহেতু শাস্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো হয়েছে এবং সেই কমানোটিই সরকারের এবং আইনসভার উদ্দেশ্য। তাই সেই কমানোটি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।’
তার আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নতুন আইনটি হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানি মামলার জন্য কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে, সেটি এখনো তিনি (গোয়েন লুইস) সম্পূর্ণভাবে দেখেননি। দেখেননি বলেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। এটির যে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যেটি শুনেছেন, সেটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে এটি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গতকাল আপনাদের যা বলেছি, ওনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও একই কথা বলেছি। সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি দফায় (ধারা) আছে এটিকে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হয়েছে এবং এটিকে রহিত করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব কারিগরি ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আছে। সে জন্য সব সময় বলে আসছি, এটি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশোধনও হয়নি, আবার কেউ যদি বলে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে না। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে পৃথক অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের EK 0587 নম্বর ফ্লাইটযোগে যাত্রা করবেন। সেখানে তিনি ফ্লোরিডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ২৮তম এশিয়ান ট্রেড, ফুড ফেয়ার অ্যান্ড কালচারাল শো-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন।
ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে ৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে তিনি প্যারিসের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন। প্যারিসে তিনি বিল্ডিং অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে অংশ নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরার পথে মরক্কো ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তার যাত্রা বিরতি করার কথা রয়েছে। আগামী ১০ মার্চ তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK 0712 নম্বর ফ্লাইটযোগে ঢাকা ফিরবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামীকাল ২৬ নভেম্বর রবিবার। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তরের পর বেলা ১১টায় স্ব স্ব কলেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এবার শিক্ষার্থীরা কলেজে না গিয়ে ঘরে বসেই ফল দেখতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, কলেজ নোটিশ বোর্ড ছাড়াও বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমেwww.educationboardresults.gov.bd এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
গত ১৭ আগস্ট এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক নারী মারা গেছেন। আজ ২৭ আগস্ট রবিবার বিকেলে উপজেলার উচাপাড়া রেল গেটের পাশে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম আয়শা বেগম (৬৫)। তিনি অনন্তরাম উচাপাড়া গ্রামের কমল মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই নারী পদ্মরাগ মেইল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার জেনারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি রেলওয়ে বোনারপাড়া থানায় জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন।