চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৬৫) বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কণ্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া বেশ কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া গত কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে সোমবার বাদ জোহর শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ও বাদ আসর তার নিজের গ্রাম বিজয় উপজেলার চর-ইসলামপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
বিজয়নগরে পৃথক অভিযানে ১৫৪ স্কপ সিরাপ এবং ১৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে এসব মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই সেলিম আহমেদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ইকরতরী বাজার রোডের পাকা রাস্তার ওপর চট দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় চার প্যাকেটে ১৫৪ স্কপ সিরাপ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের আ. হাসেমের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে আউলিয়া বাজার তদন্ত ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাসুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বড়মোড়া থেকে ১৪২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা আনারস বাগানে ফেনসিডিলের বস্তা রেখে পালিয়ে যায়।
বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় পৃথক দুটি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিখাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সারোয়ার হোসেন জানান, রাতে উপজেলার শশই এলাকায় যাত্রীবাহী এনা পরিবহনের বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মুরগি বহনকারী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে এর চালকসহ তিনজন আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩ইং উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রানী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূঁইয়া, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুল, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম শামীউল হক চৌধুরী, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সদস্য সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
ভোক্তা অধিকার দিবসের আলোচনা সভা শেষে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ১০৩তম জন্মদিন, ২৫ মার্চ কালো রাত্রী ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরের (জাবেদ) বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টায় জনসভায় আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। বিজয়নগরের ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ প্রচার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারণ কাজ বন্ধ করেননি আল জাবের। এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধির পরিপন্থি।
আল জাবেরের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুখিনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সুখিনার শ্বশুর মৃত্যুর কথা শুনে তার লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখেই পালিয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সুখিনা চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সাথে অভিমান করে কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট (চালের পোকা দমনের একজাতীয় ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী সুখিনাকে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী তার পুত্রবধূ সুখিনার লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান।
সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমে ফাসিয়ে বিয়ে করেন। তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠান। সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানান ভাবে অত্যাচার করেন সাইদুল। সাইদুল আমার মেয়েকে কোন কিছুতেই স্বাধীনতা দিতো না। আজকে (গত শুক্রবার) সাইদুলের কারণে আত্মহত্যা করেছে। তিনি মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ প্রেক্ষিতে আইনী ব্যবস্থা নিবো।