চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ডাকা মহাসড়ক অবরোধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের নিরাপত্তা এবং চালকদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য আজ ১ নভেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিশেষ টহল দিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পৌনে দুইটা পর্যন্ত এই দুই মহাসড়কে টহল দেয়া হয়।
সকালে জেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি গাড়ি বহর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত মহাসড়কে বিশেষ টহল দেয়। এ সময় দেখা যায় মহাসড়কে ট্রাক,মাইক্রোবাস, আন্তঃজেলা লোকাল বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকসাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়াও দূরপাল্লার বাস এনা পরিবহনের কয়েকটি বাসও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিশেষ টহল দেয়ার সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নাশিদ হাসান, জেলা আনসার ও ভিডিপির অ্যাডজুটেন্ট, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার উদ্দিনসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টহল শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অবরোধ থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল একটু কম হলেও সময়ের সাথে সাথে তা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, কেউ কোন ধরনের বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, অবরোধের শুরু থেকেই আমরা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। তথাকথিত অবরোধ থাকলেও মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। সব কিছু স্বাভাবিক আছে। তবে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা একটু কম। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যাত্রী স্বল্পতা। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি পালিত হয।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। সকালে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালিবাড়ীতে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ গ্রহনকারী জেলা ব্রাহ্মণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী জানান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করার জন্য তিনি যুগে যুগে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার তার ৫ হাজার ২৪৯ তম জন্মতিথি পালন করছেন তারা। তিনি বলেন, মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে ধ্বংস করে তিনি সেখানে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট প্রণব দাস উত্তম বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে র্যালি বের করা হয়। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় প্রতি বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উৎসব মুখরভাবে পালন করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, জন্মাষ্টমীর র্যালি উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে শহরের আনন্দময়ী কালিবাড়িতে পূজার্চনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘দেশকে ভালোবাসব, নীতির পথে চলবো’ এই শ্লোগান নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অসচ্ছল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদানের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে জেলার ৯টি উপজেলার ১৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সহ সকলকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী সহ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, অভিভাবক ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত গরমে আবারো বাঁকা হয়ে গেছে রেললাইন। আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর আবারো সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় ফের রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার খবর পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম। এর পর পরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এই লাইন দিয়ে উপক‚ল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বলেন, অতিরিক্ত গরমে দাড়িয়াপুর এলাকায় রেললাইন আবারো বাঁকা হয়ে গেছে। পরে রেল লাইনটি ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে এর মেরামত কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী (ডাউন লাইনে) ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, ডাউন লাইনের অবস্থাও ভালো নেই। গরমে বেঁকে যেতে পারে। রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ট্রেনের সর্বোচ্চ ৩০/৪০ কিলোমিটর গতিসীমায় চলাচল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ইতিমধ্যেই বেঁকে যাওয়া রেল লাইনের মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড গরম থাকায় লাইনটি ঠান্ডা করতে পানি ঢালা হয়েছে এবং কচুরিপানাও দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত গরমের কারণে গত বৃহস্পতিবার দুপুর গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার ২৭ ঘন্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনার ৩০ ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী মোঃ সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা- ২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রাসেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের বনিকপাড়া স্টেশন রোড এলাকায়। নগদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
ওই ভবনের চার নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন মঈন জানান, তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালায়। পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আজ বিকেলে ফোন পান তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এসে দেখেন সব এলোমেলো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আলমারি ভেঙে নগদ আড়াই লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, একটি ট্যাব, মোবাইলফোন, দুটি ইন্টারনেট রাউডার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
দ্বিতীয়তলা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হুমায়ুন খালেদ বলেন, ‘আমি পেশায় ঠিকাদার। দুপুরে দাওয়াত খেতে রুমে তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। এসে দেখি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’
ষষ্ঠতলার এক প্রবাসীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রসাধনী নিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্মরণে ব্রাহ্মণবাডিয়া জেলা কমিটির পক্ষ হতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপ পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল মালেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন আলহাজ্ব অ্যাড. কাজী মাওলানা মোঃ ইসলাম উদ্দিন (দুলাল)।
প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক জোটের আহবায়ক অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ, আরিফুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, আব্দুর রহমান (বুলবুল), মো: হারুন আল রশিদ, মো: রফিকুল হাসান সোহাগ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাডিয়া সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এম এ মুসা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ শাহ আলম বক্স ও রফিকুল হাসান সোহাগ। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তাগণ মরহুম সাংবাদিক আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর স্মৃতি চারণ করেন।
মিলাদ ও দোয়া পরিচালনায় হাফেজ মাওঃ ইসহাক আল মামুন।