চলারপথে রিপোর্ট :
“যুব উন্নত দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর যুব র্যালি, যুব ঋণের চেক ও সনদপত্র বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাউসার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুরুল আলম।
আলোচনা সভা শেষে যুব ঋণের চেক বিতরণ, যুব সংগঠনের নিবন্ধন সনদ প্রদান, যুব প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ করা হয়। সফল আত্মকর্মী হিসেবে একজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সফল যুব সংগঠক একজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন- আমাদের বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গুলির মধ্যে একটি উপজেলাতে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, লেখাপড়ার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, সফল উদ্যোক্তা তৈরি করা এবং সফল যুবকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা। সরকারি ঋণ নিয়ে ঘরে বসে না থেকে ঋণের টাকায় স্বাবলম্বী হতে হবে তাহলে আপনার পরিবার ও দেশ উপকৃত হবে। সভাপতির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- সফল মানুষের সফলতার গল্প শুনতে সকলেরই ভাল লাগে, আজ যে রকম সফল মানুষদের কথা শুনলাম প্রত্যেকেই নিজেদের পরিশ্র্রমের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই সকলকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে দলের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এমপি’র নেতৃত্ব একটি বিশাল র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফয়জুর রহমান বাদল এমপি বলেন, ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে দ্রুত একটি শক্তিশালী উপজেলা আওয়ামীলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে এবং সাংগঠনিক কাঠামোকে গতিশীল করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিগুলিকে নতুন করে সাজানো হবে। বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, মেয়র অ্যাড. শিব সংকর দাস, বোরহান উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. সুজিত কুমার দেব, ইয়াবের হাসান জামিল, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, নুরুন্নাহার বেগম, আবদুর রউফ, পিন্টু ভদ্র, মাহাবুব আলম লিটন, গৌরাঙ্গ দেব নাথ, জহির রায়হান, মাহমুদা আক্তার শিউলি, প্রবীর ভট্টাচার্য, চেয়ারম্যান মাসুম আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, সঞ্জয় সাহা, শামস আলম, সালাউদ্দিন বাবু, খলিলুর রহমান, শামীম, আব্দুল্লাহ আল রোমান, আব্দুল্লা আল মামুন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘শুভ কাজে, সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের নবীনগর উপজেলা শাখার নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধীজনদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু সভাপতিত্বে এবং কালের কণ্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি মো. মাজেদুল ইসলাম সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা শেষে গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুকে সভাপতি ও মো. মাজেদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যাপক একেএম রেজাউল করিম, নবীনগর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্লা রাণী দেব এবং নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু মোছাকে উপদেষ্টা করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—সহসভাপতি: বাবুল আহমেদ সরকার (শিক্ষক), জাকির হোসেন (সঙ্গীতশিল্পী), সহ-সাধারণ সম্পাদক: মনিরুল ইসলাম কালন (শিক্ষক), আল মামুন (ক্রীড়া সংগঠক), সাংগঠনিক সম্পাদক: প্রদীপ আচার্য (আবৃত্তিশিল্পী)
অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক: মাহাবুবুর রহমান (সাংবাদিক), ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: আহসান শিপার (সঙ্গীত প্রশিক্ষক)
তথ্য, প্রযুক্তি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: আবদুর রহমান শাহ পরাণ (কম্পিউটার প্রশিক্ষক), ত্রাণ, দুর্যোগ ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম (ক্রীড়া সংগঠক, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক: আইনুল চৌধুরী (সমাজকর্মী), গবেষণা ও আপ্যায়ন সম্পাদক: ইকরাম হোসেন (সাংবাদিক), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: কনক লতা দেবী (শিক্ষক)
কার্যকরী সদস্য:
কমিটির কার্যকরী সদস্যরা হলেন- মো. মনির হোসেন (শিক্ষক), তিতাস বিপ্লব (আবৃত্তিশিল্পী), গোলাম মোস্তফা (শিক্ষক), লুৎফুর রহমান (শিক্ষক), মাইনউদ্দিন (শিক্ষক), নজরুল ইসলাম (শিক্ষক), পঙ্কজ দাস (তবলাশিল্পী), এস এ রুবেল (সাংবাদিক), নাছির চৌধুরী (নাট্যাভিনেতা), মো. তারেক (সমাজকর্মী), অজয় মুখার্জী (সঙ্গীতশিল্পী) ও সীমু সাহা (সঙ্গীতশিল্পী)।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় নৌকা ডুবে রিয়াদ নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় শিশুটির মা বিউটি বেগম গুরতর আহত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই নৌকার মাঝি আতিক মিয়া পলাতক রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু রিয়াদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উরখুলিয়া গ্রামের আতিক মাঝির নৌকা সদরের চাল বাজার থেকে উরখুলিয়া প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। দুপুরে নবীনগর নৌকা ঘাট থেকে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে একটি মালবাহী নৌকা উরখুলিয়া যাবার জন্য রওয়ানা হয়। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার সময় হঠাৎ ডুবে যায়। নৌকার ডুবির কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেতরের মধ্যেই নৌকার ভেতরে মহিলাকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণ পর শিশু বাচ্চাটি নদীতে ভেসে ওঠে। নৌকায় বেশি যাত্রী ছিল না। নৌকায় সিমেন্ট ও রড অতিরিক্ত বোঝাই হওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবেছে বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত শিশুটির নানা মোঃ হেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে নবীনগরে বাজার করতে আসছিলাম। বাজার শেষ করে দুপুরে নৌকা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ার সময় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় আমার নাতি রিয়াদ মারা যায়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাফিছা বলেন, আজকে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই জন রোগীকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। একজন হচ্ছে মা, পরে এসেছেন তিন বছরের একটি বাচ্চা। মা জীবিত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। শিশু বাচ্চাটি আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন।
ফায়ার ফাইটার আব্দুল জব্বার বলেন, ৯৯৯ একজন নারী আমাদের ফোন করে অবগত করলে আমার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আধা ঘন্টা পর নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এই ঘটনার একটি শিশু মারা গেছে। অতিরিক্ত মালমাল থাকায় কারণে নৌকাটি ঘাটেই তলিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ সতেরই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহ তিন তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ ০৫ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সহান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার ওসি তদন্ত মো. সোহেল , বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম শাহন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাদক মুক্ত নবীনগর চাই ও মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওসার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধান এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি নির্দেশনার আলোকে প্রথমে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতিথিগণ বলেন সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য পৌঁছে দিতে হবে, সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করতে হবে।
পর্যায়ক্রমে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, সকাল ১০ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাত ১০ঃ৩০ মিনিট হতে ১০ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট থাকার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মহান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে কুচ কাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা সহ দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে একটি কারখানার এক সিকিউরিটি গার্ড নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন আরো একজন। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের (৫৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কুটুরিয়া এলাকার একটি কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবরের ছেলে। ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে ও বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, যাওয়ার সময় মামুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাড়িওয়ালা ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আশুলিয়ার থানা পুলিশ।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।