‘টাকা পে’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 1 November 2023, 870 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ ১ নভেম্বর বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্ড উদ্বোধন করেছেন।

banner

কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি দেশের ভেতরে ব্যবহার করা যাবে। তবে অচিরেই এই কার্ডের ব্যবহার ভারতেও সম্প্রসারিত হবে।

গত ১৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ টাকা বা রুপি তুলতে পারবে। এটি ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিরা অর্থপ্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

গাজীপুরের মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানজট-ভোগান্তি

জাতীয়, সারাদেশ, 6 June 2025, 140 Views,

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর :
রাত পোহালেই ৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ ৬ জুন শুক্রবার সকাল থেকেই গাড়ি ও মানুষের ঢল নেমেছে।

banner

ফলে আজ ৬ জুন সকালে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঘরমুখো মানুষকে। সকাল ৭টার দিকে ভোগড়া বাইপাস মোড় ও চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ফ্লাইওয়ের মধ্যে ঘরমুখো যাত্রীবাহী সকল গাড়ি অনেকটা ঠাঁই দাড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘক্ষণ ধরে। যাত্রীদের অনেকেই গাড়ির ভেতরে গরমে অতিষ্ঠ ও দীর্ঘক্ষনের অপেক্ষায় বিরক্ত হয়ে রাস্তা তথা ফ্লাইওয়েতে নেমে যান। কখন গাড়ি চলবে সেই সময় গুনতে থাকেন।

নেত্রকোনাগামী নেত্র পরিবহনের এক বাসযাত্রী আবুল কালাম ৫বছরের শিশুসন্তান নিয়ে শুক্রবার ভোর চার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সকাল ৭টার দিকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড়ের ফ্লাইওয়েতে পৌঁছে যানজটের কবলে চল্লিশ মিনিট ধরে বাসে বসে আছেন। তার শিশুসন্তানটি গরমে অতিষ্ঠি হয়ে কান্না শুরু করলে নিচে নেমে অপেক্ষা করতে থাকেন।

ময়মনসিংহ থেকে পিকআপ যোগে মুরগী পরিবহন করে রাজধানী যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছানোর চার কিলোমিটার আগে থেকেই যানজটে আটকা পড়েন। যানজটের কবলে পড়ে গরমে ইতোমধ্যে তার ২০টির মতো মুরগী মারা গেছে। বৃহস্পতিবারও একই কারণে তার ১৮টি মুরগী মারা যায়। যানজট মানুষের যেমন ভোগান্তি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছে।

গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় বিকল্প যান মোটরবাইকও যাত্রী পরিবহণ করছে। এখানকার মোটর বাইকচালক জনি জানান, বৃহস্পতিবার যানজটের মধ্যেও যাত্রী নিয়ে চলা গেছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় খালি দেহ নিয়ে পার হওয়ার মতো অবস্থা নেই। তারপরও বিকল্প পথে যাত্রী নিয়ে তারা যেতে পেরেছেন। কিন্তু অন্য পরিবহণকে দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী নিয়ে ফিরছিলেন আলী। তিনিও শুক্রবার সকলে গাজীপুরের ভোগড়া ফ্লাইওয়েতে যানজটে আটকা পড়েন। প্রায় চল্লিশ মিনিট একইস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি গালাগালি শুরু করেন পুলিশকে। কিন্তু আশেপাশে কোন পুলিশ ছিলো না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এ ভোগান্তি থেকে কবে রক্ষা পাব। দীর্ঘক্ষণ গরমের মধ্যে আটকা পড়ে রোগীও অসুস্থ্য হয়ে উঠেছে।

এদিকে, সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশনরোডের উত্তরে চেরেগ আলী এলাকার পর থেকে চান্দনা চৌরাস্তার তেলিপাড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া একইসময়ে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। বৃহস্পতিবার বা তার আগে যারা বাড়ি যেতে পারেননি তারা আজ শুক্রবার সকাল থেকে রওনা হয়েছেন। ভোর থেকেই তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছেন বাস কিংবা গণপরিবহনের জন্য। যে যেভাবে পারছেন ট্রাক কিংবা পিকআপে করেও গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

রংপুর থেকে ছেড়ে আসা বাসের চালক আবুল কাশেম জানান, গতকাল যেসব বাস গাজীপুর থেকে ছেড়ে উত্তরাঞ্চলে গিয়েছিল তারা কালিয়াকৈর-চন্দ্রা মোড়, টাঙ্গাইল এবং যমুনা সেতুর উভয় প্রান্তে ব্যাপক যানজটের কবলে পড়ে। তাই নির্ধারিত সময়ের চাইতেও অধিক সময় লেগেছে গন্তব্যে পৌঁছাতে। এছাড়া যাত্রী নামিয়ে গাজীপুরে ফিরতেও অনেক সময় লেগেছে। যার কারণে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কমে গেছে।

গাজীপুর মহানগরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ ভোরে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি লরি বিকল পয়ে পড়লে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন আটকা পড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয় প্রায় এক ঘন্টা পর লরিটি উদ্ধার করলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে এর এক ঘন্টা পরও গাড়ির চাপ কমেনি। এদিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে কারা বেশি ভাড়া নিচ্ছে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার পোশাক শ্রমিক অনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ‘‘কারখানা ছুটি হয়েছে দুপুরে। এরপর শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় চন্দ্রায় যাই৷ সেখানে গিয়ে দেখি হাজার হাজার যাত্রী। কোন বাস-গাড়ি খালি নেই। কখন বাস পাব আর কখন বাড়ি পৌঁছব জানি না।’’ নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার ‘‘দুপুরে কলকারখানা ছুটির পর বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক, চন্দ্রা মোড় ও সফিপুর এলাকায় যাত্রীদের ঢল নামে। শুক্রবার সকালেও একই অবস্থা চলছে। যানবাহন সঙ্কটে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে।’’

ওসি সওগাতুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ সকালে সড়কে গণপরিবহন ও যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। তবে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম। শুক্রবার সকালে যাত্রীদের একটু চাপ বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় থাকায় যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই চাপ কমে আসবে।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি, গেজেট প্রকাশ

জাতীয়, সারাদেশ, 2 January 2025, 666 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ২০২৪ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। জীবনাবসানের পর কবিকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

banner

পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টাগণ কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেয সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে, সেহেতু তার ঢাকায় আগমনের তারিখ হতে (৪ মে ১৯৭২) জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে, সে কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো এবং ইহা সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।

কাল থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা শিক্ষকদের

জাতীয়, 31 July 2023, 1107 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করবেন।

banner

আজ ৩১ জুলাই সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা এ ঘোষণা দেন। গত ১১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা এ আন্দোলন করছেন।

আমরণ অনশন প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ মো. কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে দুই দফা পুলিশি কঠোরতার মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে আন্দোলনের সপ্তম দিনে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। ওই দিন শতাধিক লোক আহত হন। এতে আহত একজন মারা গেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা কয়েকটি সংগঠনের শিক্ষক নেতাসহ একটি বৈঠক করেছেন। তাদের বেশিরভাগ সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তারা।

এছাড়া বৈঠকে আগে ও পরে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেও পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তিনি; কিন্তু শিক্ষকরা এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছেন। মর্মাহত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলনে আছেন। দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে। এখন তারা আজ (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে আগামীকাল (১ আগস্ট) আমরণ অনশনে যাবেন।

প্রবাসীরা হাজার টাকা কিস্তিতে ১০ লাখ টাকার বীমা পাবেন

জাতীয়, 12 March 2023, 1475 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
বীমা সুবিধা বেড়েছে প্রবাসী কর্মীদের। বিদেশ যাত্রার সময় এক হাজার টাকা কিস্তি (প্রিমিয়াম) দেওয়া কোনো প্রবাসীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে বীমার আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন কর্মী ও তার পরিবার। আর চাকরি হারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ফিরলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।

banner

এসব সুবিধা রেখে আজ ১২ মার্চ রবিবার জীবন বীমা করপোরেশেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।

এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করে সরকার। ৯৯০ টাকা কিস্তিুতে দুই বছর মেয়াদী বীমায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো।

নতুন বীমা নিয়মে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বীমা করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পূর্ণের ৯০ দিন পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো ১০ লাখ টাকা পাবে কর্মীর পরিবার। দৃষ্টিহানী, হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি কাটা পড়লে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতের বা পায়ের একটি আঙ্গুল কাটা পড়লে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

তবে প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করলে ক্ষতিপূরণ পাবে না কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া এইডস ও মাদক গ্রহণে মৃত্যু হলে বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে না।

জীবন বীমা করপোরেশন মুনাফার ৫০ শতাংশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খরচ করবে। একে নজিরবিহীন সুবিধা বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।

বিদেশে কোনো মৃত্যু হলে সৎকারের জন্য ৩৫ হাজার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। তা অব্যহত থাকবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগকারী কর্মীরা চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীরা বিদেশে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে। যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, সেই দেশে বীমা করা যায় কিনা- তা দেখা যেতে পারে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন কর্মীরা বর্ধিত বীমা সুবিধা পাবেন। আগে থেকে যে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে রয়েছেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবার ও সন্তানরা অভিবাসনের সামাজিক মূল্য দিচ্ছে। তাদের জন্যও বীমা সুবিধা প্রয়োজন।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, যেসব নারী কর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার করে হয়ে দেশে ফিরেছেন, বীমায় তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নেই। কর্মীরা বিদেশে আইনের জটিলতায় পড়লে, এর জন্য বীমা থেকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। একজন কর্মী তিন চার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। চাকরি হারিয়ে ফিরলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়।

চুক্তিতে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুল হক চৌধুরী এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

জাতীয়, 14 September 2024, 395 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান ছাড়াও সুফি মাজারে যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েকদিনে কিছু দুর্বৃত্তের দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং সুফি মাজার সম্পর্কিত যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ধর্মীয় উপাসনালয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।

banner