অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা ও খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা ও দিল্লির গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারা এ প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেল সংযোগটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। রেলপথটির বাংলাদেশের অংশ ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
অন্যদিকে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। এই রেলপথ দেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। দুই প্রতিবেশী দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষমতাসম্পন্ন।
চলারপথে ডেস্ক :
সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ তথ্য জানান তিনি।
হতাহত বাংলাদেশিদের মধ্যে অধিকাংশই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৮ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এ তালিকার ৮ জনই মৃত নয়। মন্ত্রণালয় বলছে, এটি নিখোঁজ বা মৃতের তালিকা।
এ তালিকায় যে ৮টি নাম রয়েছে সেগুলো হলো- শহিদুল ইসলাম (সেনবাগ, নোয়াখালী), মামুন মিয়া (মুরাদনগর, কুমিল্লা), মো. হেলাল (নোয়াখালী), সবুজ হোসাইন (লক্ষীপুর), রাসেল মোল্লা (মুরাদনগর, কুমিল্লা), মো. আসিফ (মহেশখালী, কক্সবাজার), মো. ইমান হোসাইন রনি (টঙ্গি, গাজীপুর) এবং বকু মিয়া (চাঁদপুর)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সৌদি আরবে যে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৩৫ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাংলাদেশিদের সৌদি আরবের বাংলাদেশ মিশন দেখভাল করছে বলেও জানান পররাষ্ট্রের মুখপাত্র।
এদিকে সৌদি আরবের আল-এখবারিয়া টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, সোমবার মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চ্যানেলটি নির্দিষ্ট সমস্যার কথা উল্লেখ না করে জানায় দুর্ঘটনা কবলিত ‘গাড়ির সমস্যা’ হয়েছিল।
অন্যদিকে সৌদির বেসরকারি সংবাদপত্র ওকাজ বলেছে, দুর্ঘটনাটি বাসের ব্রেকের সমস্যার কারণে হয়েছে। এর ফলে বাসটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
আসির প্রদেশের ঘটনাটি ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা ও মদিনায় নিরাপদে যাওয়ার বিষয়টিকে কার্যত চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। রমজানে বহু মানুষ ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন এবং হজের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটল।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত চলছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে শুরু হয় এই রক্তক্ষয়ী লড়াই। ইসরায়েলে রকেট হামলার বিপরীতে গাজায় অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরই মধ্যে শুরু করেছে স্থল অভিযানও। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দখলদারদের হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার নয়শ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সাত দিনে ৬১৪ শিশু, ৩৭০ জন নারীসহ কমপক্ষে ১৯০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় আট হাজার ফিলিস্তিনি।
এর আগে উত্তর গাজায় বসবাসকারী ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইসরায়েল। তাদের দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এরপর স্থলপথে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ জানিয়েছিল, এত কম সময়ে লাখ লাখ মানুষের সরে যাওয়াটা অসম্ভব। এতে বিপর্যকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উত্তর গাজা থেকে যারা পালিয়ে যাচ্ছে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ফটো সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল-জাজিরা, রয়টার্স, এপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রায়টার্স নিশ্চিত করেছে ১৩ অক্টোবর শুক্রবার ওই হামলায় তাদের ফটো সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ মারা গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের নতুন চেয়ারম্যান হলেন ব্যারিস্টার গহর আলী খান। এর আগে ইমরান খান তাকে দলের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন। বেশ কয়েকটি মামলায় এই মুহূর্তে কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি ফলাফল ঘোষণা করে বলেছেন, শনিবার অনুষ্ঠিত আন্তঃদলীয় নির্বাচনের পর ব্যারিস্টার গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নিয়াজি বলেন, উমর আইয়ুব খান পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এবং আলী আমিন গন্ডাপুর ও ড. ইয়াসমিন রশিদ যথাক্রমে খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের আদেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দলের নতুন চেয়ারম্যান নির্ধারণ করতে হবে। পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর জানিয়েছিলেন, দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ইমরান খান অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তার আইনজীবী ব্যারিস্টার গহর আলী খানকে মনোনীত করেছেন।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, তোশাখানা মামলা বা উপহার হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান খান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না।
আইনজীবী শের আফজাল মারওয়াত বলেছিলেন, আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। সেখানে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে দলের নেতৃত্বের বিষয়টিও ছিল।
পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর বলেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে না থাকলেও দলের প্রধান নেতা হিসেবেই থাকবেন ইমরান খান। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে এমন একজনকে চাইছিলেন ইমরান খান, দলে যার স্থায়ী পদ নেই।
সূত্র: জিও নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গাজায় আর গণহত্যা চালাবে না ও ‘কথিত’ গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রায়ে আদালত ইসরায়েলকে আরো নির্দেশ দেন, ‘সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।’
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছতে দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ এছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে।
তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন; সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সূত্র : আল-জাজিরা।
অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগর ও এডেন উপ-সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরীতে হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান সমর্থিত সংগঠন হুথি। খবর আল জাজিরার।
আজ ৯ মার্চ শনিবার সংগঠনটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া স্যারি এক টেলিভিশন ভাষণে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, লোহিত সাগর ও এডেন উপ-সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার বা ছোট রণতরীতে হামলা চালানো হয়েছে। ৩৭টি ড্রোনের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়।
হুথিদের হামলার দাবির আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের জন্য হুমকি ১৫টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই লোহিত সাগরে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে হুথি গোষ্ঠী। পশ্চিমাদের জাহাজ লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে কার্যত অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।